E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking,...
আউয়াবিন নামাজের ফজিলত কি? কিভাবে আউয়াবিন নামাজ পড়তে হয়? আওয়াবিন নামাজ সুন্নত না নফল? এটি কত রাকাত? এরকম অনেক প্রশ্ন রয়েছে আউয়াবিন নামাজকে ঘিরে। যাইহোক, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা একম যে যে প্রশ্নগুলো প্রচলিত রয়েছে, সেগুলো কাভার করার চেষ্টা করবো। ( দুরুদে নারিয়া সহ দরুদে তুনাজ্জিনা ও দরুদে ফুতুহাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন )
প্রথমে জানতে হবে যে, সালাতুল আওয়াবিন অর্থ কি? মূলত সালাতুল আওয়াবিন অর্থ হলো আল্লাহ তা’আলার দিকে প্রত্যাবর্তকারীদের সালাত। আউয়াবিন নামাজ নফল নামাজ নামে পরিচিত। কেননা বিভিন্ন শায়েখদের মতে হাদিস ও কোরআনে এর শক্ত কোনো দলিল পান নি, যে বিধায় নফল হিসেবে পড়লেই সবচেয়ে বেশি নিরাপদ জুনে থাকা যায়।
তাহলে ধারাবাহিকভাবে এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে আউয়াবিন নামাজ কি বা কাকে বলে? মূলত মাগরিবের ফরজ ও সুন্নাত নামাজের পর থেকে এশার ওয়াক্ত হওয়ার আগ মূহর্ত পর্যন্ত ২রাকাত করে মোট ৬রাকাত যে নফল নামাজ আদায় করা হয়, তাকেই আউয়াবিন নামাজ বলে।
আশা করি আওয়াবিন নামাজ কি, সে সম্পর্কে মোটামোটি হলেও কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। আলোচনা বিলম্বিত না করে এবার চলুন আউয়াবিন নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক। ( Durood Sharif Bangla এবং একইসাথে নামাজের জন্য দশটি সূরা সম্পর্কে জানুন )
আউয়াবিন নামাজের ফজিলত সমূহ
নামাজ হলো ইসলামের দ্ধিতীয় সর্বোচ্চ ইবাদত, যা দ্ধারা মানুষের সাগরের ফেনা পরিমাণ গুণা মাফ হয়ে যায়। আর আউয়াবিন নামাজের মাধ্যমেও একজন মুমিন অনেক সাওয়াব এবং ফজিলত লাভ করতে পারে। এখন স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসতে পারে সে আউয়াবিন নামাজের কি সেই ফজিলত? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আউয়াবিন নামাজের বহুমুখী ফজিলত সমূহ-
- হজরত আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, ‘মাগরিবের নামাজের পর যে ব্যক্তি ছয় রাকাআত নফল নামাজ পড়বে তার গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ)
- হজরত সালে রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তার পিতা হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাআত নামাজ পড়বে তার পঞ্চাশ বছরের গোনাহ মাফ হয়ে যাবে।’ (নাইলুল আওতার)
- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজের পর এ নামাজ পড়বে তার মর্যাদা জান্নাতের উঁচু স্থানে হবে।’ (ইতহাফুস সাদাহ)
- অন্য বর্ণনায় এসেছে- ‘এ নামাজে গুরুত্বারোপকারী বান্দা আওয়াবিন তথা আল্লাহমুখী, আনুগত্যকারী ও নেককার বান্দাদের গণ্য হবে।’
- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাআত নামাজ পড়বে তাকে আউয়াবিন তথা নেককার, আনুগত্যকারী বান্দাদের মধ্যে লেখা হবে এবং কুরআনের এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন-নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদের জন্য ক্ষমাশীল; বনি ইসরাইল : আয়াত ২৫ । (বাহরুর রায়েক : ২/৫০)
নামাজ পড়া যে কেমন ফজিলতপূর্ণ তা কেবল একজন প্রকৃত মুমিন বলতে পারবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুধাবন করতে সক্ষম হবে। যাইহোক, নামাজ হলো দুনিয়াবী সকল অস্ত্রের প্রধান অস্ত্র একজন মুমিনের নিকট। এই জন্যই একটি হাদিসে এমন আসছে যে,
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মাগরিবের পর বিশ রাকাআত নফল নামাজ পড়বে আল্লাহ তাআলা তার জন্য বেহেশতে একটি ঘর তৈরি করবেন (অর্থাৎ সে বেহেশতে যাবে)।’ (তিরমিজি)
অর্থাৎ আখিরাতে মুক্তি ও আল্লাহর দোয়া ও প্রিয় নবীর সুপারিশ পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে আর যাইহোক না কেন, নামাজ পড়ে যেতে হবে। রাসূল সা: মৃত্যুর আগ মূহর্তেও নামাজ নামাজ বলে মুখে উচ্চারিত করে গেছেন। এখন বোধহয় বিষয়টার/নামাজের গুরুত্ব এর দিকটি বোঝতে সক্ষম হয়েছেন।
প্রত্যেহ দিনের ৫ ওয়াক্ত নামাজ শেষে আমরা সাধারণত দুনিয়াবী সকল কাজ-কর্ম করে থাকি। তবে যদি কোনো বান্দা এই কাজ-কর্মের সময়ের মধ্যে আল্লাহ তা’আলার জন্য সময় বের করে, তাহলে মহান আল্লাহ তা’আলা সেই ব্যক্তির জন্য বিশেষ ফজিলত ও পুরুষ্কার রেখেছে।
আর গুণাহ মাফ ও অধিক ফজিলতের জন্য নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত আমাদেরকে আল্লাহর নিকট তাওবা করতে হবে। গুণাহগুলো মাফ চাইতে হবে। দুনিয়াবী কোনো রকম কর্মে অবিরত লিপ্ত থাকা উচিত নয়। যদি কোনো ব্যক্তি আল্লাহর জন্য সময় না বের করে অবিরত ব্যস্ত থাকে, তাহলে মহান আল্লাহ তা’আলা তাকে আরো ব্যস্ত করে দিবে। তাই আপনারা বেশি বেশি নফল ইবাদত করার চেষ্টা করবেন। যা আপনারা আউয়াবিন নামাজের মাধ্যমেও করতে পারেন। যেহেতু আওয়াবিন নামাজ হলো নফল এবং এর ফজিলতও ব্যাপক, তাই বেশি বেশি চেষ্টা করবেন আউয়াবিন সালাত আদায় করতে।
যাইহোক, উপরোক্ত আউয়াবিন নামাজের ফজিলত সম্পর্কে আশা করি জানতে পেরেছেন এবং নিয়মিত আমলের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন।
আউয়াবিন নামাজের ফজিলত নিয়ে শেষ কথা
আর্টিকেলের উপরের অংশে আমরা আউয়াবিন নামাজের ফজিলত নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছি। আর এটাও ঠিক যে, আউয়াবিন নামাজ নিয়ে যে সকল কনফিউশান টাইপ প্রশ্ন রয়েছে, সেগুলোর কিছু ইতিমধ্যে আমরা দিয়েছি আর কিছু নিম্নে দেওয়া হয়েছে প্রশ্ন-উত্তর সেকশনে। তাই আপনারা আগ্রহী হলে নিম্নের প্রশ্নের উত্তর সেকশনটি চেক করে আউয়াবিন নামজ ও নামাজের ফজিলত নিয়ে প্রচলিত চলমান কিছু প্রশ্ন ও উত্তর জেনে নিতে পারেন।
যাইহোক, যেহেতু আপনাদের বিরাট একটি অংশ এতোদিন আউয়াবিন নামাজের ফজিলত নিয়ে দ্ধিধা-দন্ধতায় ছিলেন, আশা করি আর্টিকেলটি পড়া শেষ হলে এমন নেতিবাচক ভাব আর থাকবে না। সর্বপরি যদি সামগ্রিকভাবে বলি, তাহলে আশা করি আউয়াবিন নামাজের ফজিলত ও আনুসাঙ্গিক সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরে আপনারা উপকৃত হতে পেরেছেন।
আউয়াবিন নামাজের ফজিলত নিয়ে প্রশ্ন-উত্তর
আওয়াবিন নামাজ কে মূলত আল্লাহভীরুদের নামাজ বলা হয়ে থাকে। আর আওয়াবিন অর্থ হলো আল্লাহ তা’আলার দিকে প্রত্যাবর্তকারীদের সালাত।
সাধারণত আওয়াবিন নামাজ সুন্নত না নফল, এই নিয়ে নানা রকম বাক-বিতর্ক রয়েছে। তবে অধিকাংশ আলেম এটাকে নফল নামাজ হিসেবে অভিহিত করেছে। কেননা হাসিদ ও কোরআনে এর কোনো রকম শক্ত দলিল নেই।
আওয়াবিন নামাজ নিয়ে প্রচলিত বিতর্কের অন্যতম একটি হলো রাকাত নিয়ে। আওয়াবিন নামাজ কত রাকাত? সাধারণ অবস্থায় আওয়াবিন নামাজ হলো ৬ রাকাত। দুই রাকাত করে মোট ছয় রাকাত পড়তে হয়।
আউয়াবিন নামাজের ফজিলত সম্পর্কে আরো জানতে
E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.