আযানের পর ৩ শব্দের দোয়ার বিষ্ময়কর ফজিলত

আযানের পর ৩ শব্দের দোয়ার বিষ্ময়কর ফজিলত
BanglaTeach
E-Haq
Digital Marketer at- BanglaTeach

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking,...

Sharing is caring!

আযানের পর ৩ শব্দের দোয়ার বিষ্ময়কর ফজিলত
আযানের পর ৩ শব্দের দোয়ার বিষ্ময়কর ফজিলত

আযানের পর ৩ শব্দের দোয়ার বিষ্মকর ফজিলত রয়েছে এছাড়াও রয়েছে আযানের দোয়ার ফজিলত। এরকম অনেক রকমের ফজিলত রয়েছে ইসলামের পবিত্র আযানকে ঘিরে। আজকের আর্টিকেলে আমরা আযানকে ঘিরে যতগুলো ফজিলত ও আমল রয়েছে, সবগুলো নিয়ে বিস্তর আলোচনা করবো। প্রথমে আমরা জেনে নিবো আযানের পর ৩ শব্দের দোয়ার বিষ্মকর ফজিলত। এর এরপর ধারাবাহিকভাবে আযানের উত্তর দেওয়ার ফজিলত, আযানের দোয়া বাংলা অর্থ সহ আজানের উত্তর দেওয়ার সঠিক নিয়ম সহ নানা রকম আযান সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরগুলো সম্পর্কে জানবো। তাহলে চলুন আলোচনা দীর্ঘায়িত না করে আযানের ajan পর তিন শব্দের দোয়ার বিষ্মকর ফজিলত সম্পর্কে জেনে নেই। ( আরো জানুন ইসলামি দৃষ্টিতে স্বপ্নে সাপ দেখিলে কি হয় এবং আধুনিক মিষ্টি মেয়েদের নামগুলো সম্পর্কে )

আযানের পর ৩ শব্দের দোয়ার বিষ্ময়কর ফজিলত সমূহ

আযানের পর ৩ শব্দের দোয়ার বিষ্ময়কর ফজিলত সমূহ

মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে দ্ধীন হিসেবে ইসলামকে ধার্য করেছেন। আর মহানবী সা: আমাদের জীবনকে সহজ করার জন্য এবং আখিরাতের জীবনকে সুন্দর ভাবে সাজানোর জন্য নানা রকম আমলের দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমরা মুসলিমরা নবীর দেখানো সহজ সহজ আমলগুলোকে পরিহার করে কঠিনের দিকে ধাবিত হচ্ছি। আর যে বিধায় আমরা গুরুত্বপূর্ণ বেশ অনেকগুলো আমলের কথা দিন দিন ভুলে যাচ্ছি। তারই প্রেক্ষিতে আজকের আর্টিকেলে আমরা আযানের পর এমন ৩টি শব্দ সম্পর্কে জানবো, যা আযানের ফজিলতগুলো পাওয়ার পর এক্সট্রা আরো ৫টি ফজিলত পাবো। এই সম্পর্কে হাদিসে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ অনেকগুলো কথা বলেছেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। ( ইংলিশ টু বাংলা উচ্চারণ সম্পর্কে জানুন )

নিয়ম অনুযায়ী আযানের সাথে সাথে আমরা আযানের azan জবাব দিবো এবং একই সাথে আযান শেষে দুরূদ শরীফ পড়ে এরপর আমাদেরকে উক্ত ৩টি শব্দ অতিরিক্ত বলতে হবে। আর আযানের পর ৩ শব্দ হলো-

  • রাদিতু বিল্লাহে রাব্বা,
  • ওয়াবিল ইসলামে দ্বীনা,
  • ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা

উপরোক্ত এই ৩টি অতিরিক্ত শব্দ যদি আযানের পর কোনো মুসলমান বলে থাকে, তাহলে সে এমন ফজিলত পাবে, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। তাহলে কি সে ফজিলত সমূহ? চলুন জেনে নেওয়া যাক আযানের পর ৩ শব্দের বিষ্মকর ফজিলত সমূহগুলো সম্পর্কে।

আযানের পর শব্দের দোয়ার বিষ্ময়কর ফজিলতগুলো

আমাদের ইসলাম ধর্মে আযানের যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি আযানের পর দরুদ শরীফ পড়ে যদি উপরোক্ত এই ৩টি শব্দ কেউ আমল করে, তাহলে সে কল্পনাও করতে পারবে না যে, কেমন সোয়াব ও ফজিলত সে অর্জন করছে। রাসুলুল্লাহ (দঃ) এরশাদ করেন (মান সামিআন নিদা ছুম্মা এয়াকুলু মিছলানা এয়াকুলুল মুয়াজ্জিন ) যে ব্যক্তি আযান শুনে এবং মুয়াজ্জিন যা বলে সে জবাবে হুবহু তা বলে, (ইল্লাল হাইয়্যা আলাতাইন) আর হাইয়্যা আলাছ ছালাহ ও হাইয়্যা আলাল ফালাহতে (লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাহ বিল্লাহ) বলে এবং আযানের পর দরুদ পাঠ করে এবং ৩টি বাক্য বেশী বলে (রাদিতু বিল্লাহে রাব্বা, ওয়াবিল ইসলামে দ্বীনা, ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা) এ ৩টি বাক্য বলে দেয়, তার জন্য ৫টি পুরস্কার।  চলুন জেনে নেওয়া যাক বিষ্মকর সে ৫টি ফজিলতসমূহ-

প্রথম পুরুষ্কার

”গুফিরা লাহু মা তাকাদ্দামা মিন জানবিহ” আল্লাহ তাঁর পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন।

দ্ধিতীয় পুরুষ্কার

আল্লাহ তায়ালা সে বান্দার ঈমানের স্বাধ মধুর মত মিষ্টি করে দেয়।সে বান্দা খুব বেশী ঈমানের স্বাধ ভোগ করে।

তৃতীয় পুরুষ্কার

”মান কালা হিনা ইউছবিহু ছালাছান ওয়া হিনা ইউমছি ছালাছান রাদিতু বিল্লাহে রাব্বা ওয়াবিল ইসলামে দিনা ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা” যে সকালে ও সন্ধ্যায় ৩ বার এ বাক্য গুলি পড়ে আল্লাহর রাসুল ঘোষনা দেন (ওয়াজাবাত লাহুল জান্নাহ) তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। আর যে আযানের পর দরুদ পাঠ করে এবং এ ৩টি বাক্য পড়ে হুযুর বলেন (হাল্লাত লাহু শাফাআতি এয়াউমাল কিয়ামাহ) হে আমার সাহাবগন আমার সুপারিশ সে বান্দার জন্য হালাল হয়ে যাবে। আমি তাঁর জন্য জান্নাতে প্রবেশের জন্য সুপারিশ করব।

চতুর্থ পুরুষ্কার

”লা আ খুজান্না বিআদি আনাজ জাঈম” হে লোকেরা আমি জামানতদার, আমি আমার হাত দ্বারা তার হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাব।

পঞ্চম পুরুষ্কার

এর সম্পর্ক দুনিয়ার সাথে, তবে এটা আপনার আমার প্রয়োজন।(মান খাফা মিন আমিরিহি জুলমা) যে ব্যক্তি তার সময়কার বাদশা, আমিরের পক্ষ থেকে জুলুমের ভয় করে, এবং সে যদি এ তিনটি বাক্য বলে (রাদিতু বিল্লাহে রাব্বা) হে রব তুমি আমার রব তাতে আমি সন্তুষ্ট। (ওয়াবিল ইসলামে দ্বিনা) ইসলাম আমার ধর্ম তাতে আমি সন্তুষ্ট (ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা) মুহাম্মদ (দঃ) আমার নবী তাতে আমি রাজি, তাতে আমি খুশি। এর সাথে সাথে যদি সে ৪র্থ বাক্য এটাও বলে দেয় (ওয়াবিল কুরআনি হাকামান ওয়া ঈমামা) আল্লাহ আমি কুরআনকে আমার হাকেম ও ইমাম মান্য করি। (নাজ্জাহুল্লাহু মিনহু) আল্লাহ সে বান্দাকে ঐ জালেম বাদশার জুলুম থেকে হেফাজত করবেন।

উপরোক্ত এই ফজিলত সমূহ আপনি পেতে পারেন, যদি আপনি আযানের শেষে উপরোক্ত এই তিনটি শব্দ অতিরিক্ত বলে থাকেন। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে, আযানের পর ৩টি শব্দের ফজিলত সমূহের গুরুত্ব কতটা। আশা করি আজ থেকে আপনারাও উক্ত ফজিলত সমূহ গ্রহণ করবেন আমলের মাধ্যমে।

আজানের উত্তর দেওয়ার ফজিলত

আজানের উত্তর দেওয়ার ফজিলত

সাধারণত আজানের উত্তর দেওয়া কিংবা জবাব দেওয়া হলো মুস্তাহাব। এটি ফরজ কিংবা ওয়াজিব নয়। নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্য সাধারণত আজানের উত্তর দেওয়া হলো মুস্তাহাব। তবে আমাদের যে ৫ ওয়াক্ত নামাজ, সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে আযান দেওয়া বাধ্যতামূলক সবার জন্যই। আল্লাহর কাছে প্রিয় হওয়ার সহজ মাধ্যম হলো আযানের জবাব দেওয়া। আর এর ফজিলতও রয়েছে ব্যাপক। কি সে ফজিলতসমূহ? চলুন জেনে নেওয়া যাক আজানের উত্তর দেওয়ার ফজিলত সমূহ-

ইবনুস (সারহ রহ.) আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) হতে বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর বলেন, এক ব্যক্তি বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! মুয়াজ্জিনরা তো আমাদের ওপর ফজিলত প্রাপ্ত হচ্ছে (আমাদের চেয়ে বেশি সওয়াবের অধিকারী হচ্ছে)। আমরা কিভাবে তাদের সমান সওয়াব পাব? তিনি বলেন, মুয়াজ্জিনরা যেরুপ বলে, তুমিও তদ্রুপ বলবে। অত:পর যখন আজান শেষ করবে, তখন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে তুমিও তদ্রুপ সওয়ার প্রাপ্ত হবে। (সহীহ আবু দাউদ- ইসলামিক ফাউন্ডেশন: হাদিস/৫২৪)

আযানের দোয়া বাংলা অর্থ

আযানের দোয়া বাংলা অর্থ

আযানের দোয়া বাংলা অর্থ জানতে চেয়ে আমাদের মধ্যে অনেকে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকে। আর যে বিধায় এখানে আয়ানের দোয়া বাংলা অর্থসহ আরবি এবং উচ্চারণ দেওয়া হলো। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

« ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟﺪَّﻋْﻮَﺓِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺔِ، ﻭَﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺍﻟْﻘَﺎﺋِﻤَﺔِ، ﺁﺕِ ﻣُﺤَﻤَّﺪﺍً ﺍﻟْﻮَﺳِﻴﻠَﺔَ
ﻭَﺍﻟْﻔَﻀِﻴﻠَﺔَ، ﻭَﺍﺑْﻌَﺜْﻪُ ﻣَﻘَﺎﻣَﺎً ﻣَﺤﻤُﻮﺩﺍً ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻭَﻋَﺪْﺗَﻪُ، ‏[ﺇِﻧَّﻚَ ﻟَﺎ ﺗُﺨْﻠِﻒُ ﺍﻟْﻤِﻴﻌَﺎﺩَ ]».
বাংলা উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা রববা হা-যিহিদ্ দা‘ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি ওয়াস সালা-তিল ক্বা-’ইমাতি আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদীলাতা ওয়াব্‘আছহু মাক্বা-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়া‘আদতাহ, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ।
বাংলা অর্থ : “হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব্ব! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে ওসীলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফযীলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না।”

আযানের পর ৩ শব্দের দোয়ার বিষ্ময়কর ফজিলত নিয়ে শেষ কথা

আযানের পর ৩ শব্দের দোয়ার বিষ্ময়কর ফজিলত নিয়ে শেষ কথা

উপরোক্ত সম্পূর্ণ আলোচনাটিই হলো আযানের পর ৩ শব্দের দোয়ার বিষ্মকর ফজিলত সম্পর্কে। আশা করি ইতিমধ্যে জেনে গেছেন অতিরিক্ত সেই তিন শব্দের ফজিলত কেমন তা নিয়ে। এছাড়াও জেনেছি আযানের দোয়া ও দোয়ার ফজিলত সম্পর্কে। সর্বপরি বলা চলা যে, আজকের আর্টিকেরটি দ্ধারা পাঠকগণ বেশ চমৎকারভাবে উপকৃত হতে পারবে। ( ইসলামিক নাম পড়ুন )

আযানের পর শব্দের দোয়ার বিষ্ময়কর ফজিলত নিয়ে প্রশ্ন-উত্তর

আজানের উত্তর দেওয়া কি?

আজানের উত্তর দেওয়া সুন্নাত।

ইকামতের জবাব দেওয়া কি?

ইকামতের জবাব দেওয়া সুন্নাত নয় কিন্তু ইকামতের জবাব দেওয়া মুস্তাহাব।

ইকামত ছাড়া কি নামাজ হবে?

যে স্থানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতে পড়া হয় সেখানে একা একা নামাজ পড়লে ইকামত দেয়ার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া অন্য জায়গায় যেখানে আজান দিয়ে নামাজ পড়া হয় না সেখানে ইকামত দিতে হবে।

আযানের পর শব্দের দোয়ার বিষ্ময়কর ফজিলত সম্পর্কে আরো জানতে

BanglaTeach
E-HaqDigital Marketer at- BanglaTeach

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.

About E-Haq

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.

View all posts by E-Haq →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *