E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking,...
প্রথমে বলে রাখি, এখানে উল্লেখিত নামাজের জন্য ১০টি সূরা যে পড়তে হবে, ব্যাপারটি কিন্তু তা নয়। নামাজ বা সালাত, মুসলিমদের জন্য ফরজ একটি ইবাদত এবং বাধ্যত্বামূলক প্রত্যেক মুসলিমদের উক্ত ইবাদত দৈনিক কমপক্ষে পাঁচ-ওয়াক্ত পড়তে হয়। এছাড়াও নফল অথবা তাহাজ্জুদ নামাজও রয়েছে। যাইহোক, প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজে আমাদের কে সূরা পড়তে হয়। হোক সেটা দুই রাকাত নামাজ, ৩ রাকাত নামাজ অথবা ৪ রাকাত নামাজ। অর্থাৎ প্রত্যেক নামাজেই আমাদেরকে সূরা ফাতিহার সাথে যেকোনো একটি সূরা মিল করে নামাজ পড়তেই হয়। এমতোবস্থায় অনেক মুসলিম ভাই-বোন রয়েছে, যারা নামাজের মধ্যে কোন সূরা পড়তে হয়, সেটি জানে না অথবা অনেকে জানলেও সূরাগুলো মুখস্ত নয় কিংবা সূরার উচ্চারণ অথবা এর অর্থ সম্পর্কে অবগত নয়। যে বিধায় আজকের আর্টিকেলে আমরা পবিত্র কোরআন থেকে ছোট ছোট ১০টি সূরা উল্লেখ করবো, যেগুলো দ্ধারা একজন মুমিন তথা মুসলিম ব্যক্তি তাঁর দৈনিকের ফরজ, সুন্নত ও নফল নামাজগুলো আদায় করতে পারে। আলোচনা দীর্ঘায়িত না করে, চলুন জেনে নেওয়া যাক নামাজের জন্য ১০টি সূরা সম্পর্কে। ( আযানের পর ৩ শব্দের দোয়া ও হাসবুনাল্লাহ এর ফজিলত সম্পর্কে জানুন )
নামাজের জন্য ১০ টি সূরা pdf download
আর্টিকেলের শেষ দিকে আমরা নামাজের জন্য ১০টি সূরা pdf download আকারে দিয়ে দিয়েছি। এখান হতে আপনারা সেগুলোকে পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে পারেন। তবে প্রথমে আমরা নামাজের জন্য ১০টি সূরা এখানে তুলে ধরবো। যাইহোক, যারা যারা নামাজের সূরা পড়ার সিরিয়াল খুঁজছেন কিংবা নামাজের ছোট সূরা সমূহ PDF Download করার জন্য আর্টিকেলটি পড়ছেন, তাদের জন্য পরোক্ষণে আরো আর্টিকেল প্রকাশ করার মাধ্যমে তথ্যগুলো দিয়ে দিবো। এখন শুধুমাত্র নামাজের জন্য সেই দশটি সূরা সম্পর্কে জানবো। চলুন নামাজের জন্য ১০টি সূরা পড়া যাক-
সুরা আল–ফাতিহা
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রহমা-নির রহি-ম।
অনুবাদ : শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আ -লামি-ন।
অনুবাদ : যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণ : আররহমা-নির রাহি-ম।
অনুবাদ : যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
উচ্চারণ : মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন।
অনুবাদ : বিচার দিনের একমাত্র অধিপতি।
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
উচ্চারণ : ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-ন
অনুবাদ : আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
উচ্চারণ : ইহদিনাস সিরাতা’ল মুসতাকি’-ম
অনুবাদ : আমাদের সরল পথ দেখাও।
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
উচ্চারণ : সিরাতা’ল্লা যি-না আনআ’মতা আ’লাইহিম গা’ইরিল মাগ’দু’বি আ’লাইহিম ওয়ালা দ্দ-ল্লি-ন।
অনুবাদ : সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
সূরা ইখলাস
আরবিঃ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদঃ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
(১)
আরবিঃ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
আরবি উচ্চারণঃ কুল্ হুওয়াল্লা-হু আহাদ্।
বাংলা অনুবাদঃ বল, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।
(২)
আরবিঃ اللَّهُ الصَّمَد
আরবি উচ্চারণঃ আল্লা-হুচ্ছমাদ্।
বাংলা অনুবাদঃ আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী।
(৩)
আরবিঃ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
আরবি উচ্চারণঃ লাম্ ইয়ালিদ্ অলাম্ ইয়ূলাদ্।
বাংলা অনুবাদঃ তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি।
(৪)
আরবিঃ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَد
আরবি উচ্চারণঃ অলাম্ ইয়া কুল্লাহূ কুফুওয়ান্ আহাদ্।
বাংলা অনুবাদঃ আর তাঁর কোনো সমকক্ষও নেই।
সূরা আন নাস
আরবিঃ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ﴿١
ক্বুল আউযু বিরাব্বিন নাস।
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি মানুষের পালনকর্তার।
SAY: “I SEEK refuge with the Lord of men
مَلِكِ النَّاسِ ﴿٢
মালিকিন্নাস
মানুষের মালিকের
The King of men
إِلَـٰهِ النَّاسِ ﴿٣
ইলাহিন্নাস।
মানুষের মা’ বুদের
The God of men
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ﴿٤
মিন শাররীল ওয়াস ওয়াসিল খান্নাস।
তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্মগোপন করে
From the evil of him who breathes temptations into the minds of men
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ ﴿٥
আল্লাযি ইউওয়াস ইসু ফী সুদুরিন্নাস।
যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে
Who suggests evil thoughts to the hearts of men
مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ﴿٦
মিনাল জিন্নাতি ওয়ান নাস।
জিনের অথবা মানুষের মধ্যে থেকে
From among the jinns and men.
সূরা ফালাক
আরবিঃ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
ক্বুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক।
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,
Say: I seek refuge with the Lord of the Dawn
مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
মিন শাররি মাখালাক্ব।
তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে,
From the mischief of created things;
وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
ওয়া মিন শাররি গাসিক্বিন ইযা অক্বাব।
অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়,
From the mischief of Darkness as it overspreads;
وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
ওয়া মিন শাররিন নাফ্ফাসাতি ফিল্ উকাদ।
গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে
From the mischief of those who practice secret arts;
وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইযা হাসাদ।
এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
And from the mischief of the envious one as he practices envy.
সূরা কাফিরুন
আরবিঃ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
কু’ল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন ৷
বলুন, ‘হে কাফিররা!
لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
লাআ বুদু মা তা’আবুদুন ৷
আমি তার ‘ইবাদাত করি না যার ‘ইবাদাত তোমরা কর।
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
অলা আনতুম আবিদুনা মা আ’বুদ ৷
এবং তোমরাও তাঁর ‘ইবাদাতকারী নও যাঁর ‘ইবাদাত আমি করি।
وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
অলা আনা আবিদুম মা আবাত্তুম ৷
এবং আমি ‘ইবাদাতকারী নই তার যার ‘ইবাদাত তোমরা করে আসছ।
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
অলা আনতুম আবিদুনা মা আ’বুদ ৷
তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি।
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
লাকুম দিনুকুম অলিয়া দিন ৷
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
সূরা আন নাসর/নাছর
আরবিঃ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
إِذَا جَاء نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ
ইযা জা- আনাসুরুল্লহি ওয়াল ফাতহু।
যখন এসে গেছে আল্লাহর সাহায্য ও (মক্কা) বিজয়
وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا
ওয়ারা আইতান্না-সা ইয়াদখুলুউনা, ফি দ্বীনিল্লাহি আফওয়া-জা।
এবং আপনি মানুষকে দেখবেন তারা দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে (ইসলামে) প্রবেশ করছে
فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا
ফাসাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াস্তাগ ফিরহ্; ইন্নাহু কা-না তাও-ওয়া-বা।
তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।
সূরা কওসার
আরবিঃ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
(১) إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
(বাংলা অনুবাদ)- নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি।
(আরবি উচ্চারণ)- ইন্না আ’তাইনা-কাল্ কাওছার
(২) فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
(বাংলা অনুবাদ)- অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন।
(আরবি উচ্চারণ)ফাসাল্লি লিরাব্বিকা ওয়ান্’হা’র ৷
(৩)إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ
(বাংলা অনুবাদ)- যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।
(আরবি উচ্চারণ)ইন্না শানিয়াকা হুয়া’আলআবতার ৷
সূরা মাউন
আরবিঃ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ (১)
উচ্চারণঃ আরাআইতাল্লাযী ইউকাযযি বুবিদ্দীন।
অর্থঃ আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?
فَذَلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ (২)
উচ্চারণঃ ফাযা-লিকাল্লাযী ইয়াদু‘‘উল ইয়াতীম।
অর্থঃ সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
وَلَا يَحُضُّ عَلَى طَعَامِ الْمِسْكِينِ (৩)
উচ্চারণঃ ওয়ালা-ইয়াহুদ্দু‘আলা-তা‘আ-মিল মিছকীন।
অর্থঃ এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ (৪)
উচ্চারণঃ ফাওয়াইঁলুলিলল মুসাল্লীন।
অর্থঃ অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর।
الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ (৫)
উচ্চারণঃ আল্লাযীনাহুম ‘আন সালা-তিহিমি ছা-হূন।
অর্থঃ যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর।
الَّذِينَ هُمْ يُرَاؤُونَ (৬)
উচ্চারণঃ আল্লাযীনা হুম ইউরাঊনা।
অর্থঃ যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে।
وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ (৭)
উচ্চারণঃ ওয়া ইয়ামনা‘ঊনাল মা-‘ঊন।
অর্থঃ এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।
সূরা কুরাইশ
আরবিঃ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
لِاِیۡلٰفِ قُرَیۡشٍ ۙ﴿۱
লিঈলা-ফি কুরাইশ।
যেহেতু কুরাইশের আসক্তি আছে,
(It is a great Grace and Protection from Allah), for the taming of the Quraish,
اٖلٰفِہِمۡ رِحۡلَۃَ الشِّتَآءِ وَ الصَّیۡفِ ۚ﴿۲
ঈলা-ফিহিম রিহলাতাশশিতাই ওয়াসসাঈফ।
আসক্তি আছে তাদের শীত ও গ্রীষ্ম সফরের,
(And with all those Allah’s Grace and Protections for their taming, we cause) the (Quraish) caravans to set forth safe in winter (to the south), and in summer (to the north without any fear),
فَلۡیَعۡبُدُوۡا رَبَّ ہٰذَا الۡبَیۡتِ ۙ﴿۳
ফালইয়া‘বুদূরাব্বা হা-যাল বাঈত।
অতএব তারা ইবাদাত করুক এই গৃহের রবের,
So let them worship (Allah) the Lord of this House (the Ka’bah in Makkah).
الَّذِیۡۤ اَطۡعَمَہُمۡ مِّنۡ جُوۡعٍ ۬ۙ وَّ اٰمَنَہُمۡ مِّنۡ خَوۡفٍ ٪﴿۴
আল্লাযীআতা‘আমাহুম মিন জূ‘ইওঁ ওয়া আ-মানাহুম মিন খাওফ।
যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার্য দান করেছেন এবং ভয় হতে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।
(He) Who has fed them against hunger, and has made them safe from fear.
সূরা ফীল
আরবিঃ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
اَلَمۡ تَرَ کَیۡفَ فَعَلَ رَبُّکَ بِاَصۡحٰبِ الۡفِیۡلِ ؕ﴿۱
আলাম তারা কাইফা ফা‘আলা রাব্বুকা বিআসহা-বিল ফীল।
তুমি কি দেখনি যে, তোমার রাব্ব হস্তি অধিপতিদের কিরূপ (পরিণতি) করেছিলেন?
اَلَمۡ یَجۡعَلۡ کَیۡدَہُمۡ فِیۡ تَضۡلِیۡلٍ ۙ﴿۲
আলাম ইয়াজ‘আল কাইদাহুম ফী তাদলীল
তিনি কি তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেননি?
وَّ اَرۡسَلَ عَلَیۡہِمۡ طَیۡرًا اَبَابِیۡلَ ۙ﴿۳
ওয়া আরছালা ‘আলাইহিম তাইরান আবা-বীল।
তাদের বিরুদ্ধে তিনি ঝাঁকে ঝাঁকে পক্ষীকূল প্রেরণ করেছিলেন –
تَرۡمِیۡہِمۡ بِحِجَارَۃٍ مِّنۡ سِجِّیۡلٍ ۪ۙ﴿۴
তারমীহিম বিহিজা-রাতিম মিন ছিজ্জীল।
যারা তাদের উপর প্রস্তর কংকর নিক্ষেপ করেছিল।
فَجَعَلَہُمۡ کَعَصۡفٍ مَّاۡکُوۡلٍ ﴿۵
ফাজা‘আলাহুম কা‘আসফিম মা’কূল।
অতঃপর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণ সদৃশ করে দেন।
উপরোক্ত সূরাগুলো দ্ধারাও আপনি খুব সহজেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আপনি কায়েম করতে পারেন। এছাড়াও এখানে যে সমস্ত সূরাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে, আশা করি আমাদের অধিকাংশেরই এগুলো মুখস্থ আছে। কেননা আমরা ছোট অবস্থায় যখন মাদ্রাসায় যেতাম, তখনই আমরা এগুলো জ্ঞাত করেছি। আর যদি এমন কেউ থেকে থাকে যে, প্রকৃতপক্ষে একটি সূরাও মুখস্ত করতে সক্ষম হোন নি,তাহলে আশা করি যেহেতু ছোট ছোট সূরা এগুলো, আপনি খুব দ্রুত এগুলো মুখস্থ করে আয়ত্ত করতে পারবেন। মূলত নামাজের জন্য প্রয়োজনীয় ১০টি সূরার মধ্যে এগুলোই হলো অন্যতম। ( স্বপ্নে কোন রং এর সাপ দেখলে কি হয় সে সম্পর্কেও জানুন )
নামাজের জন্য ১০টি সূরা নিয়ে শেষ কথা
এখানে নামাজের জন্য যে ১০টি সূরা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনাদের ইচ্ছা অনুযায়ী এখানে হতে যেকোনো সূরা নিয়ে আপনার নামাজ পড়তে পারেন। তবে চেষ্টা করবেন সিরিয়ালের দিক থেকে ছোট হতে বড় দিকে পড়া আসার।
আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মুসলিম উল্লেখ্য সূরা গুলো নিজেদের আয়ত্ত রেখেছে। কিন্তু তারপরও যারা যারা আমাদের মধ্যে উক্ত সূরা গুলো নিজেদের আয়ত্ত করতে ব্যর্থ হয়েছি, তাদের জন্যই মূলত আজকের আমাদের এই আর্টিকেল। আশা করি আপনারাও নামাজের জন্য ১০টি সূরা সম্পর্কে বেশ সম্মুখ অবগত হয়েছেন। সর্বপরি, আশা করি আপনারা যারা যারা নামাজ বা সালাত পড়ার উদ্দেশ্যে সূরা খুঁজছেন বাংলা অর্থসহ, যে সকল পাঠকগণ আজকের নামাজের জন্য ১০টি সূরা দ্ধারা বেশ চমৎকারভাবে উপকৃত হতে পারবে।
নামাজের জন্য ১০টি সূরা সম্পর্কে আরো জানতে
E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.