ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ উপায় – ১০টি কার্যকারী উপায়

ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ উপায়
BanglaTeach
E-Haq
Digital Marketer at- BanglaTeach

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking,...

Sharing is caring!

ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ উপায়
ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ উপায়

সাধারণত ইন্টারনেট থেকে আয় করার অনেক পদ্ধতি বা উপায় রয়েছে – Easy way to earn money from internet কিন্তু ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ উপায় বলার কথা যখন সামনে আসে, তখন ব্যাপারটা/পরিস্থিতিটা আর পূর্বের প্রশ্নের ন্যায় থাকে না। এখন আমাদের অনেকের জানা আছে যে, ইন্টারনেট অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে পৃথিবীতে কিছু একটা আছে আর সেখান থেকে ঘরে বসে আয় করাও সম্ভব। হয়তো ৫-১০ পূর্বে বাংলাদেশে আমাদের মতো তরুণ কিংবা বয়স্কদের মধ্যে উক্ত জিনিসটা খটকা লাগার মতো ছিল, কিন্তু বিশ্বের প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির কম্ভিনেশন তা বাস্তবে রূপ দিয়েছে। ( আরো জানুন এডসেন্স থেকে টাকা তোলার উপায় সম্পর্কে )

এখন প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক যে, কিভাবে একজন নিওবি অথবা নতুন কেউ ইন্টারনেট থেকে আয় করতে পারে সহজেই? মূলত উক্ত প্রশ্নের জবাবেই আজকের সুগঠিত আমাদের আর্টিকেলটি। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে একজন নিউবি ও শেখতেছে এমন নিওবিরাও সঠিক উত্তর ও গাইড-লাইন পাবে। ইন্টারনেটে টাকা ইনকাম করার ‍উপায় জানার পাশাপাশি বেশ কিছু আনুসাঙ্গিক প্রশ্নের উত্তরও তুলে ধরা হয়েছে আর্টিকেলের শেষ দিকে। যা একজন বিগেইনার বা নতুনদের জন্য চমৎকার গাইড হিসেবে কাজ করবে। আলোচনা বিলম্ব না করে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ উপায় সম্পর্কে।

ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ ১০টি উপায়

ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ ১০টি উপায়
ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ ১০টি উপায়

যদিও ইন্টারনেটে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় অনেকগুলো রয়েছে, কিন্তু স্থায়ীভাবে অবিরত ইন্টারনেট থেকে প্যাসিব ইনকাম করার কয়েকটি সুনির্দিষ্ট উপায় রয়েছে যা সম্পর্কে আজকে আলোচনা করবো। এমন কিছু নিয়ে আলোচনা করা হবে না কিংবা এমন কোনো বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করবো না, যা থেকে কয়েকদিন কিংবা কয়েক ঘন্টা ইনকাম করার পর আর সম্ভব নয়। আজকের আর্টিকেলে যে ১০টি উপায় নিয়ে আলোচনা করবো, তা সংক্ষেপে নিম্নে তুলে ধরা হলো। ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ ১০টি উপায় হলো-

  • ব্লগ থেকে আয়
  • কন্টেন্ট লিখে টাকা আয়
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়
  • ভিডিও এডিটিং করে আয়
  • সিপিএ মার্কেটিং করে আয়
  • সার্ভে করে আয়
  • ফেসবুক থেকে আয়
  • ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন
  • ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার সহজ উপায় হিসেবে উপরোক্ত এই ১০টি উপায় নিয়েই বিস্তর আলোচনা করবো। এখানে প্রোগ্রামিং কিংবা হ্যাকিং সহ ওয়েব ডাবোলপমেন্ট এর মতো কোনো একটি সিঙ্গেল বিষয় কিংবা টপিককেও তুলে ধরা হয় নি। কেননা মূলত এখানে থাকা পয়েন্ট কিংবা সেক্টরগুলোর উপর খুব সহজেই আপনি স্কিলড হতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে।

ব্লগ থেকে আয় – Income from the blog

ব্লগ থেকে আয়

ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় বোধহয় ব্লগ থেকে আয়। ব্লগিং Blogging করে খুব সহজেই একজন নতুন মার্কেটার অনলাইন থেকে আয় করতে পারে কোনো রকম অতিরিক্ত প্রচেষ্টা ছাড়াই। আর সে কারণেই আজকের আর্টিকেলের প্রথমে ব্লগিংকে আমরা প্রথম স্থানে রেখেছি।

এখন নতুনদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, ব্লগ কিংবা ব্লগিং কি? সহজে বলতে গেলে, ব্লগিং হলো কোনো একটি নির্দিষ্ট নিস কে কেন্দ্র করে সে টপিকের উপর নানা বিষয় সম্পর্কে খুঁটি-নাঁটি সহ বিস্তারিত একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে লিখা এবং তা থেকে টাকা আয় করাকেই মূলত ব্লগিং কিংবা ব্লগ বলে। আর যে এই ব্লগিং করে থাকে, তাকে ব্লগার বলে থাকে। এখন আরো কিছু প্রশ্ন আসতে পারে যে, ব্লগিং করার স্টেপগুলো কি কি ? ওকে, চলুন সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক ব্লগিং করার স্টেপগুলো সম্পর্কে।

প্রথমে আপনাকে আপনার ভালো লাগে কিংবা যে টপিকে আপনার অভিজ্ঞতা অথবা স্কিলড রয়েছে, এমন কোনো একটি টপিক সিলেক্ট করুন। এবার সেই টপিকের উপর ভিত্তি করে ইন্টানেট হতে বেশ ভালো ও লো-কম্পেটিটিভ কি-ওয়ার্ডস সিলেক্ট করুণ। কিওয়ার্ড বাচাই এর পর আপনাকে প্রথমে একটি যেকোনো কোম্পানি হতে ডোমেইন এবং হোস্টিং Hosting Company রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। ডোমেইন-হোস্টিং রেজিস্ট্রেশন Domain and Hosting registration করার পর আপনি সাইটটি সুন্দরভাবে ডিজাইন করে নিবেন। যদি নিজে না পারে, তাহলে একজন সাইট ডিজাইনারকে হায়ার করতে পারেন এইক্ষেত্রে। তারপর আপনি সেই রিসার্চকৃত কিওয়ার্ড এর উপর অনবরত আর্টিকেল দিয়ে যান আপনার সেই সাইটে। এভাবে অনেকগুলো আর্টিকেল প্রকাশের পর ধীরে ধীরে আপনার সাইট গুগলে রেংক করবে এবং ট্রাফিক কিংবা ভিজিটর সাইটে প্রবেশ করতে শুরু করবে। এরপর আপনার সাইটে যেহেতু এনাফ ট্রাফিক রয়েছে, সেহেতু ট্রাফিক থেকে আপনি বিভিন্নভাবে বেনিফিটেড হতে পারেন। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা আয় করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট করে আয় করতে পারে কিংবা যেকোনো অন্যসকল অ্যাড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। কারো প্রতি প্রমোশনাল ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমেও আপনি ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে পারেন। এভাবেই মূলত একজন নতুন হিসেবে আপনি ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন। যা অনলাইনে ইনকাম এর সহজ একটি উপায় মাত্র।

কন্টেন্ট লিখে টাকা আয় – Earn money by writing content

কন্টেন্ট লিখে টাকা আয়

আর্টিকেল কিংবা কন্টেন্ট লিখে অনলাইন থেকে আয় হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উপায়। এই সেক্টরটি এমন একটি সেক্টর, যা বর্তমানে কয়েক বিলিয়ন ডলারে রূপান্তর হয়েছে এবং এর ভবিষ্যৎও নিঃসন্দেহে বেশ ভালো। বর্তমানে এমন উদ্যোগক্তা রয়েছে কিংবা মার্কেটার, যারা তাদের সাইটের জন্য আর্টিকেল লিখার জন্য একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত কন্টেন্ট রাইটার পাচ্ছে না। অনলাইনে স্কিলফুল যোগ্য কন্টেন্ট রাইটারের অনেক বড় একটি গ্যাপ রয়েছে।

এখন প্রশ্ন করতে পারেন যে, কোথায়, কিভাবে এবং কখন এই কাজ অনলাইনে করতে পারবো? তবে এইসব প্রশ্নে চেয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো আপনাকে যেকোনো একটি ভাষায় দক্ষ হতে হবে। হোক সেটা বাংলা কিংবা ইংলিশ।

আপনি যদি ইংলিশে বেশ এক্সপার্ট হোন, তাহলে আপনি ইংলিশ ওয়েবসাইটগুলোর জন্য আর্টিকেল লিখে বেশ ভালো একটি অর্থ ইনকাম করতে পারেন। অথবা আপনি যদি বাংলা ভাষায় বেশ দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে বাংলা সাইটগুলোতে কন্টেন্ট লিখেও টাকাও আয় করতে পারেন।

এই ক্ষেত্রে আরেকটি উপায় হলো আপনি নিজেই একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে সে ভাষায় কিওয়ার্ড রিসার্চ করে আপনি নিজে নিজে নিজের সাইটের জন্য কন্টেন্ট লিখুন এবং দিন শেষে এর ফল উপভোগ করুন। কন্টেন্ট লিখে এভাবেও বেশ বিরাট এমাউন্ট আয় করা সম্ভব।

কোথায় কন্টেন্ট লিখে আয় করবেন? বর্তমানে ইন্টারনেটে অনেকগুলো প্লাটফর্ম রয়েছে, যেখানে আপনি কন্টেন্ট রাইটং এর সার্ভিস সেল sell your content writing service দিতে পারেন। এমন কয়েকটি হলো-

  • Freelancer
  • Fiverr
  • Upwork Inc.
  • TaskRabbit
  • PeoplePerHour
  • Angi
  • Udemy

উপরের সাইটগুলো ছাড়াও আরো অনেকগুলো প্লাটফর্ম রয়েছে, যেখানে আপনি একটি একাউন্ট করে আপনার সার্ভিস সেল দিতে পারেন। এবং সেটা বেশ চড়া প্রাইজে। তাই আপনি যদি একজন ভালো এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট রাইটার SEO friendly Content Writer হয়ে থাকেন, তাহলে আজ থেকেও আপনি এসব প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ইন্টারনেট থেকে আয় করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় – Earnings from affiliate marketing

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ আরেকটি উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়। প্রথমে আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো আপনি কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের কিংবা ই-কমার্সের প্রোডাক্ট প্রোমোশন করে সেখান থেকে সেলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ একটি পারসেন্টেজ আয় করা। এটা অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে। আর এটাকেই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।

এখন আপনি কি নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন? আপনি যখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে একটু গবেষণা করবেন, তখন যদিও এর সঠিক উত্তরটি পেয়ে যাবেন। তবে এখানেও আপনি সংক্ষেপে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। ধরুণ আপনার একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। সেটি হলো বিউটি এন্ড ফ্যাশন রিলেটেড। এমতোবস্থায় আপনার সাইটে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর রয়েছে। এখন আপনি চাচ্ছেন যে, অ্যামজনের বিউটি এন্ড ফ্যাশন রিলেটেড সকল ধরনের প্রোডাক্টগুলো আপনার সাইটের মাধ্যমে সেল দিতেন। এবং অ্যামাজনে একটি নতুন একাউন্ট create an Amazon account করে আপনি আপনার সাইটে অ্যামাজনের রেফারাল লিংক বসালেন। সর্বশেষ আপনার সাইট হতে সেই রেফারাল লিংক ধরে লোকজন অ্যামাজনে গিয়ে বিউটি এন্ড ফ্যাশন রিলেটেড সহ নানা ক্যাটাগরির পণ্য ক্রয় করছে। এখন অ্যামাজন আপনাকে সেই কারণে প্রত্যেকটি প্রোডাক্টে একটি ক্যাটাগরি ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পে করবে। আর এটাই হলো অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এর সংক্ষিপ্ত একটি ধারণা মাত্র।

এখন আশা করি আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং Affiliate marketing সম্পর্কে মোটামোটি একটি ধারণা পেয়েছেন। এখন এটাও জানেন যে, কিভাবে এবং কি উপায়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়। তবে এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, শুধু কি অ্যামাজনেই অ্যাফিলিয়েট করা হয় নাকি আরো অনেকগুলো ই-কমার্স সাইট রয়েছে, যেগুলোতে অ্যাফিলিয়েট করার সুযোগ দিয়ে থাকে? হ্যাঁ, অবশ্যই বর্তমানে বেশ অনেকগুলো ই-কমার্স সাইট রয়েছে, যেগুলোতে আপনি অ্যাফিলিয়েট করার মাধ্যমে ভালো একটি আর্ণিং করতে পারেন। চলুন এমন কয়েকটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানা যাক।

  • Amazon
  • eBay
  • Walmart
  • Flipkart
  • Alibaba
  • Rakuten
  • Target
  • Newegg
  • Costco

বর্তমান বিশ্বে উপরোক্ত ই-কমার্স সাইটগুলো হলো সবচেয়ে জনপ্রিয়। তবে বাংলাদেশেও বেশ কয়েকটি ইকামর্স প্রতিষ্ঠান অ্যাফিলিয়েট করার সুযোগ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো-

  • Daraz
  • bdshop
  • Pickaboo
  • Chaldal
  • PriyoShop
  • Bikroy
  • Rokomari

এখানে উল্লেখিত সাইটগুলো হলো বাংলাদেশ ভিত্তিক। এবং বাংলা যেকোনো একটি সাইট দিয়ে আপনি ইচ্ছা করলেই উপরোক্ত সাইটগুলো থেকে অ্যাফিলিয়েট করতে পারেন অন্য সকল ই-কমার্স সাইটের ন্যায়। সুতরাং আপনি যেহেতু ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে, কিভাবে একজন  খুব সহজেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারে ইন্টারনেট হতে, তাহলে এখন থেকেই আপনিও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে দিতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় – Earnings by designing graphics

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়

বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ অনলাইন মার্কেটগুলোতে যে গ্রাফিক্স ডিজাইন কেমন রুল প্লে করবে তা এখনই ধারণা করা যায়। বর্তমানেও এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক এবং ভবিষ্যৎ এ তো এর চাহিদা আকাশ-চুম্বি হবে। আর এতে কোনো রকম সন্দেহ নেই।

তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো অনলাইনে স্থায়ীভাবে আয় করার অন্যতম একটি উপায়। আপনি যদি সেই লোক হোন, যে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ এর অবস্থার উপর ভিত্তি করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে বেস্ট চয়েজ।

এখন কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন – How to learn Graphic Design, কিসের মাধ্যমে তা অ্যাপ্লাই করবেন এবং কিভাবে সেটি দ্ধারা ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করবেন, তা নিয়ে চলুন আলোচনা করা যাক।

প্রথমে আলোচনা করা যাক কিভাবে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন। আপনি যদি ইউটিউবে গিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন লিখে সার্চ করেন, তাহলে আপনি হাজার হাজার ভিডিও পাবেন। এবং এমন অনেক চ্যানেল পাবেন যারা পার্ট বাই পার্ট সিরিয়ালে শিখিয়েছে এবং তা হাতে কলমে। সুতরাং আপনি কোনো রকম কোর্স ছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন ইন্টারনেট তথা ইউটিউবের মাধ্যমে।

এবার আসি কিভাবে আপনি তা প্র্যাক্টিস করবেন। এই ক্ষেত্রে ভালো একটি পিসি বা কম্পিউটারের মাধ্যমে আপনি এটি করতে পারেন। এরপর গ্রাফিক্স ডিজাইনের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার তথা অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি আপনার স্কিলকে বাড়াতে পারেন। এখন বলতে পারেন কি কি সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও বর্তমানে অনেকগুলো গ্রাফিক্স ডিজাইনের সফটওয়্যার মার্কেটে রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার হলো-

  • Adobe Photoshop
  • Adobe Illustrator
  • GIMP
  • CoreIDRAW
  • Blender
  • Sumo Paint
  • Autodesk 3ds Max

উপরোক্ত এই গ্রাফিক্স ডিজাইনকৃত সফটওয়্যারগুলো ছাড়াও আরো অনেকগুলো ডিজাইন রিলেটেড অ্যাপস রয়েছে, যেগুলো দ্ধারা আপনি খুব সহজেই আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইন স্কিল উন্নত করতে পারেন। তবে আপনি যে ভিডিও গুলো দেখে শিখবেন, সেখানে রিকমান্ডেড সফটওয়্যারটি আপনার জন্য বেস্ট হবে। সুতরাং জেনে গেলেন কিভাবে এবং কি কি সফটওয়্যার ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোথায় আপনি উক্ত সার্ভিসটি প্রদান করবেন?

এটার উত্তর যদিও ইতিমধ্যে দিয়েছি। অর্থাৎ উপরে যে সমস্ত মার্কেট প্লেসগুলো দেখিয়েছি, আপনি সেখানেই উক্ত সার্ভিসটি প্রোভাইড করতে পারেন। তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য সবচেয়ে সেরা প্লাটফর্ম হলো-

  • Fiverr
  • Upwork

এই দুটি প্লাটফর্মে গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা খুব ভালো পারফর্ম করছে। আর আপনিও গ্রাফিক্স ডিজাইন করে উক্ত প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে খুব সহজেই আয় করতে পারেন। আশা করি বোঝতে সক্ষম হয়েছেন যে, কিভাবে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইন্টারনেট হতে হাজার হাজার টাকা খুব সহজেই আয় করতে পারেন।

ভিডিও এডিটিং করে আয় – Income from video editing

ভিডিও এডিটিং করে আয়

ভিডিও এডিটিং করে অনলাইন থেকে আয় হবে ভবিষ্যৎ এর জন্য এক মাইলফলক। ইতিমধ্যে এর গুরুত্ব বোঝতে শুরু করছে ভিডিও মার্কেটিং প্রজেক্টগুলো। একজন ভালো ও স্কিলফুল ভিডিও এডিটর ভবিষ্যৎ এ দেশের জন্য হবে সম্পদ। বর্তমানেও এর ভেল্যু অনেক রয়েছে। আপনি যদি জাস্ট গুগলে কিংবা ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটগুলোতে গিয়ে সার্চ দিন, ভিডিও এডিটিং লিখে, এবং পরোক্ষণে আপনি দেখতে পাবেন যে, এর সার্ভিস ভেল্যু কেমন! একটা ভিডিও এডিট করতে হাজার হাজার ডলার সার্জ করে থাকে একজন এডিটর।

এখন কিভাবে আপনি একজন সেরা ভিডিও এডিটর হতে পারবেন? কিভাবে ভিডিও এডিটিং শিখবেন? কিভাবে ভিডিও এডিটিং সার্ভিস প্রোভাইড করে ইন্টারনেট থেকে আয় করতে পারেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক এসব প্রশ্নের উত্তরগুলো সম্পর্কে।

একজন সেরা ভিডিও এডিটর হতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম ক্রিয়েটিভ হতে হবে। এডিটিং বিষয়ক নানা বিষয় বস্তু খুঁটিনাটি সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান নিয়ে ফেলতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে আপনি অভিজ্ঞ ভিডিও এডিটর হতে পারবেন। এখন কিভাবে শিখবেন? এই ক্ষেত্রেও আপনি সেই ফর্মূলা অ্যাপ্লাই করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের ন্যায় আপনি ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুণ যে, কিভাবে ভিডিও এডিটিং Video Editing করে কিংবা ভিডিও এডিটিং। এরপর আপনার সামনে অনেকগুলো ভিডিও এডিটিং সম্পর্কিত ভিডিও চলে আসবে। এখান থেকে আপনি যেকোনো একটি নির্দিষ্ট ইউটিউব চ্যানেলকে ফলো করতে পারেন। আর সেই চ্যানেলের সবগুলো ভিডিও কাভার করে অন্য চ্যানেলের ভিডিও দেখতে পারেন। এখানে আপনাকে কোর্স ক্রয় করে কোর্স করতে হবে না। সম্পূর্ণ ফ্রীতে। এসব ভিডিও দেখেও আপনি ভিডিও এডিটিং শিখতে learn video editing পারেন। পরে যদি মনে করেন যে, অ্যাডভান্স ভিডিও এডিটিং এর জন্য আপনার কোর্স করা দরকার এবং তার সামর্থ্য থেকে থাকে আপনার, তাহলে অবশ্যই আপনি কিছু জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান হতে ভিডিও  এডিটিং শেখতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই ফিডব্যাক সহ আনুসাঙ্গিক সব কিছু দেখে এরপর আপনি কোর্স করবেন।

এবার আসি প্র্যাক্টিস নিয়ে। চেষ্টা করার বিকল্প কোনো কিছুই এই পৃথিবীতে নেই। ঠিক একই সূত্র এখানেও প্রযোজ্য। ইউটিউবে ভিডিও দেখার পর যত বেশি প্র্যাক্টিস করতে পারবেন, ততো এডিটিং এ আপনি দক্ষ হতে পারবেন। এর পর অনেকগুলো ডেমো প্রজেক্ট নিজে থেকেই তৈরি করুন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এডিটিং এর সাথে মিল করে দেখেবেন। এভাবে শুধু প্র্যাক্টিস আর প্র্যাক্টিস করবেন। আশা করা যায কয়েক মাসের ভিতর আপনি একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর হয়ে উঠবেন এবং সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারবেন।

এখানেও সেইম একই প্রশ্ন যে, কোথায় আপনি আপনার সার্ভিসটি প্রোভাইড করবেন? সেই একই উত্তর! উপরে যে সমস্ত ফ্রীল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোর নাম উল্লেখ করেছি, সেগুলোতে আপনি দিব্ব্যি সার্ভিস দিয়ে যেতে পারেন। যেহেতু বর্তমানে ভিডিও এডিটিং এর ভেল্যু খুব বেশি, তাই আপনি ইচ্ছা করলে লোকলিও সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারেন। আর দিন শেষে ভিডিও এডিটিং করে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করতে পারেন।

সিপিএ মার্কেটিং করে আয় – Income from CPA marketing

সিপিএ মার্কেটিং করে আয়

সিপিএ মার্কেটিং এর পূর্ণ রূপ হলো কস্ট পার ক্লিক Cost per click যা সিপিএ মার্কেটিং নামে পরিচিত। এখন স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসতে পারে যে, কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং করতে হয় কিংবা সিপিএ মার্কেটিং দ্ধারা কি বোঝায়? কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করা যায় সহ নানা রকম প্রম্ন। তাহলে চলুন এসব সম্পর্কে জেনে নিই।

CPA Marketing এর কাজ হলো কোনো একটি নির্দিষ্ট সাইটে ট্রাফিক বাড়িয়ে বিভিন্ন কাজ সম্পূর্ণ করা। কিন্তু কিসের মাধ্যমে টা সম্ভব! মাধ্যম হবেন আপনি, আপনি হবেন পাবলিশার।

আরো সহজ ভাবে বললে, ধরুন আপনার কোনো একটি নিসে সাইট রয়েছে এবং তাতে প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক রয়েছে কিংবা যথেষ্ট পরিমাণ। এখন আপনি চাচ্ছেন, এসব ট্রাফিক দিয়ে এক্সট্রা কিছু টাকা আয় করতে। এখন কি ভাবে করবেন? হ্যা, এই ক্ষেত্রে আপনি সিপিএ মার্কেটিং করে পারেন। ইন্টারনেটে বেশ কিছু জনপ্রিয় সিপিএ মার্কিটিং সাইট রয়েছে। আপনি সেসব সাইটে রেজিস্ট্রিশন করবেন এবং তাদের লিংকগুলো আপনার সাইটে বসাবেন। ব্যাস, আপনার কাজ প্রায় শেষ। অর্থাৎ এখন আপনার সাইটের সে রেফারেল লিংকে যে ক্লিক করবে, তার থেকে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ একটি অর্থ পেয়ে যাবেন অটোমেটিক। আর এটিকেই সংক্ষিপ্তে সিপিএ মার্কের্টিং বলে থাকে।

আশা করি সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে মোটামোটি একটি ধারণা পেয়েছেন। সুতরাং আপনি যদি সিপিএ মার্কেটিং করে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করতে চান, তাহলে এইভাবে কাজ করে আজকে থেকেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

সার্ভে করে আয় – Survey income

সার্ভে করে আয়

আপনাকে সর্বপ্রথম বোঝতে হবে যে, সার্ভে জিনিসটি কি? মূলত অনলাইন সার্ভে এমন একটি সেক্টর বা টপিক, যেখানে আপনি ছোটো-ছোটো কিছু কাজ করে বিপুল পরিমানে অর্থ বা টাকা ইনকাম করতে পারেন। বাড়িতে অযথা বসে না থেকে যদি স্বল্প কিছু কাজের মাধ্যমে ইনকাম জেনারেট করা যায় এবং তা অবিরত চলতে থাকে।

সার্ভে কারা করে থাকে? আর সার্ভে জিনিসটি কি? সার্ভে একটি ইংলিশ শব্দ যার বাংলা অর্থ হলো কোনো কিছু জরিপ করা। হতে পারে সেটা কোনো একটি পণ্য কিংবা প্রোডাক্ট। বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি থেকে এই জরিপ গুলো করা হয়ে থাকে। তাদের কোম্পানির পন্য গুলো ব্যবহার করে মানুষ কতটুকু সেটিসফাইড। মূলত এই বিষয়টি জানার জন্য বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি গুলো এই জরিপ করে থাকে।

এই সার্ভে বড় বড় কোম্পানিগুলো কেন করে থাকে? এই জপিরের মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত পন্য গুলো কোন শ্রেনীর মানুষ ব্যবহার করছে। এবং কোন বয়সের মানুষ ব্যাবহার করছে ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে অনুমান করা যায়। আর সে কারণেই মূলত বড় বড় জায়ান্ট কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত সার্ভে করে যাচ্ছে।

আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি দিয়েও সার্ভের কাজটি করতে পারেন। যেহেতু সার্ভের জন্য বাংলাদেশকে চয়েজ করে না, সেহেতু আপনাকে একটি ভার্চুয়াল আইপি ক্রয় করতে হবে। এরপর আপনি ইন্টারনেটে সার্চ দিবেন সার্ভে সাইট লিখে। এবার আপনার সামনে অনেকগুলো সার্ভে সাইট আসবে। সেগুলোকে আপনি ব্যবহার করে ইন্টারনেট সার্ভে করতে পারেন। এর আগে অবশ্যই আপনাকে আপনার আইপি পরিবর্তন করে নিতে হবে। এবং দিন শেষে আপনি বেশ ভালো একটি পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। মূলত এভাবেই আপনি সার্ভে করে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করতে পারেন।ু

ফেসবুক থেকে আয় – Earnings from Facebook

ফেসবুক থেকে আয়

ফেসবুক থেকে আয় হলো বর্তমানে আরেকটি ট্রেন্ডি টপিক। বর্তমানে যদি আপনি ফেসবুকের ভিডিও সেকশানে যান এবং ভালোভাবে  লক্ষ্য করেন তাহলে আপনি বেশ অনেকগুলো ভিডিও দেখতে পাবেন এবং ক্রমাগত স্ক্রলিং করলে তো ভিন্ন ধর্মী নানা প্রকার ভিডিও সামনে শো করবে। এখন কিভাবে আপনি আপনার হাতে থাকা একটি মাত্র স্মার্ট ফোন দিয়েই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে পারবেন?

আপনি যেকোনো একটি নিস চয়েজ করে সেই নিসের উপর ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে পারেন। মাস শেষে সেই ভিডিওগুলোর ভিউস হিসেবে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারেন। এবং একই ভাবে আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারেন। ড্রপ-শিপিং করেও টাকা আয় করতে পারেন কিংবা অ্যাফিলিয়েট করেও টাকা আয় করতে পারেন। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, ফেসবুকের মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট করে টাকা আয় করা সম্ভব? এর উত্তর  হলো হ্যাঁ, সম্ভব। তাহলে কিভাবে? সেই একই পদ্ধতি অবলম্বণ করতে হবে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট একটি নিসে ক্রমাগত ভিডিও এবং পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে আপনিও ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। এতে করে আপনার সেই নিসের উপর পছন্দকারী বেশ ভালো একটি কমিউনিটি তৈরি হয়ে যাবে। এবং সোশ্যাল ইনফ্লুয়্যান্সার একাউন্ট খুলে আপনিও ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে পারেন।

মূলত এই কয়েকটি উপায়ে আপনি ফেসবুক থেকে একদম সহজ উপায়ে টাকা আয় করতে পারেন। তবে যেকোনো একটি স্কিলের উপর গুরুত্ব দিয়েও আপনি সেই সার্ভিস সেল দিতে পারেন ফেসবুক বুস্ট করে । আশা করি সংক্ষিপ্তে ফেসবুক থেকে কি কি উপায়ে টাকা আয় করা সম্ভব, তা সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পেয়েছেন।

ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন – Making Money from YouTube

ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন

ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন অনেকটাই ফেসবুক থেকে টাকা আয়ের ন্যায় তবে এই ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধাকতা রয়েছে। কি সে বাধ্যকতা? সেটা জানার পূর্বে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে একজন নিওবি খুব সহজেই ইউটিউব হতে টাকা উপার্জন করতে পারে, সে সম্পর্কে।

কিভাবে আপনি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করবেন? এই ক্ষেত্রেও সেইম একই উপায় যেমনটি আমরা ফেসবুকের ক্ষেত্রে অ্যাপ্লাই করেছি। অর্থাৎ ভিডিও কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে টার্গেট ফুল-ফিলাপ করা। এখন এটা হতে পারে আপনি শুধুমাত্র আপনার ভিউয়ার্সদের তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন, অথবা কোনো পণ্য বা প্রোডাক্টের উপর মার্কেটিং করছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমনও হতে পারে যে, আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ, সে বিষয়ের খুঁটিনাটি নানা তথ্য ভিডিও এর মাধ্যমে তুলে ধরছেন। অথবা ফ্রাঙ্ক ভিডিও কিংবা দৈনিক দেশের সত্য খবর ভিডিও আকারে প্রকাশ করেও ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা সম্ভব।

তাহলে অবশ্যই সম্মুখ একটি ধারণা পেয়েছেন যে, কিভাবে আপনি ইউটিউব থেকে বেশ ভালো পরিমাণ একটি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। কেমন ইনকাম কিংবা কত সময় লাগবে, এটা নির্ভর করে আপনি কোন দেশকে টার্গেট করে ভিডিও তৈরি করছেন এবং আপনি  এই সেক্টরে কেমন সিরিয়াস এগুলোর উপর।

তবে লেগে থাকা এবং কন্টিনিও করার উপর কোনো ম্যাজিক নেই। ক্রমাগত ভিডিও আপলোড দিয়ে যেতে পারলে, আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি ইউটিউব থেকেও টাকা উপার্জন করতে পারবেন। সুতরাং আপনি এখনই ইউটিউবে চ্যানেল খুলে আপনার পছন্দের নিস অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করুণ এবং টাকা আয় করুণ।

ফ্রিল্যান্সিং করে আয় – Income from freelancing

ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করাকে অনেকে ছোট কিংবা কিভাবে করে, সেটা নিয়েও অনেকে দ্ধিধায় থাকে। কোন কোন সেক্টরে কিংবা টপিকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করা সম্ভব, তা নিয়েও অনেকের মধ্যে রয়েছে হেজিটেসন। তবে ভবিষ্যৎ এ ফ্রিল্যান্সাররা যে অনলাইন মার্কেটগুলোতে ধাপিয়ে বেড়াবে, তা স্পষ্ট। সুতরাং আপনি যদি সে হোন, যে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান এবং কোন বিষয় নিয়ে করতে চান, তাহলে নিম্নোক্ত সাজেশনগুলো আপনার জন্য।

উপরে যে সমস্ত টপিকগুলোকে আমি হাইলাইট করেছি, আপনি ইচ্ছা করলে উক্ত টপিকগুলোর উপরও ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, সিপিএ মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, ব্লগিং সহ আরো অনেকগুলো সহজ সেক্টর রয়েছে, যেগুলোতে একজন নতুন খুব সহজেই অভিজ্ঞতা অর্জন করে সে বিষয়ে দক্ষ হয়ে, অনলাইন মার্কেটগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে পারে এবং তা থেকে টাকা আয় করতে পারে।

এখন আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী এবং আপনি যে টপিকে সবচেয়ে বেশি পারদর্শী কিংবা অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ, সে বিষয়গুলো নিয়ে আপনি আপনার সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারেন। কিভাবে সার্ভিস প্রোভাইড করবেন? সে একই মার্কেটপ্লেসগুলো ব্যবাহর করতে পারেন। যেমন Fiverr, Upwork সহ অথবা দেশী লোকালী কাজ করেও ফ্রীল্যান্সিং করতে পারেন। এর এর মাধ্যমেই ইন্টারনেট থেকে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারেন। আশা করি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বেশ ভালো একটি ধারণা পেয়েছেন।

ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ উপায় নিয়ে শেষ কথা

ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ উপায় নিয়ে শেষ কথা

যদিও ইতিমধ্যে ইন্টারনেটের ইনকাম সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। আশা করি কিভাবে একজন নিউবি ইন্টারনেটে আয় করবে এবং কোন কোন সেক্টরে তাঁর যাওয়া দরকার কিংবা ক্যারিয়ার গঠন করা দরকার, সে বিষয়ে পাঠকগণ স্পষ্ট একটি ধারণা পেয়েছে।

আর আজকের আর্টিকেলে এমন কোনো বিষয় কিংবা টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয় নি, যার বর্তমান অথবা ভবিষ্যৎ খারাপ কিংবা নেই । অবশ্যই এখানে উল্লেখিত যেকোনো একটি বিষয়ে যদি আপনি দক্ষ হোন এবং সে বিষয়ে নিয়ে পরে থাকেন, তাহলে আশা করি ১-২ বছরের মধ্যে আপনি ভালো একটি জায়গায় গিয়ে উঠবেন।

আর আপনি যেহেতু ইন্টারনেট হতে আয় করার উপায় খুঁজছেন, সেহেতু এখান থেকে যেকোনো একটিকে পিক করে নিতে পারেন। এখানে প্রোগ্রামিং অথবা কোডিং এর মতো কঠিন কোনো টপিককে তুলে ধরা হয় নি। জাস্ট কয়েকটি টপিক যা সহজে শিখতে পারবেন এবং অল্প দিন থেকেই আয় শুরু করতে পারবেন। সর্বশেষ, আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ উপায় খুঁজে থাকেন এবং আয় করতে চান, তাহলে সময় এবং অর্থ উভয় ব্যয় না করে এখান থেকে যেকোনো একটিতে সিদ্ধান্ত স্থির করে আপনি কাজে লেগে পরেন। আশা করি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনি ভালো কিছু করতে পারবেন। সর্বপরি, আশা করি আজকের আর্টিকেল তথা ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ উপায় সম্পর্কে জেনে বেশ ভালোভাবে উপকৃত হতে পারবেন।

ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ উপায় নিয়ে প্রশ্ন-উত্তর

কিভাবে ইন্টারনেট থেকে আয় করব?

যদিও ইন্টারনেটে আয় করার অনেকগুলো মাধ্যম বা উপায় রয়েছে, তবে এখানে যে ১০টি উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি, আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী এখান থেকে যেকোনো একটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়ে ইন্টারনেট থেকে আয় করতে পারেন।

ঘরে বসে মোবাইলে আয় করা সম্ভব?

হ্যাঁ, সম্ভব। তবে আপনি যদি স্থায়ী একটি ক্যারিয়ার চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই পিসিতে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নির্ভর কাজ করতে হবে।

ইন্টারনেট থেকে আয় করার সহজ উপায় সম্পর্কে আরো জানতে

BanglaTeach
E-HaqDigital Marketer at- BanglaTeach

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.

About E-Haq

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.

View all posts by E-Haq →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *