E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking,...
খতমে আম্বিয়া পড়ার নিয়ম সহ এর বহুমুখি ফজিলত সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। পড়ার নিয়ম এবং ফজিলত সম্পর্কে জানার পূর্বে জানার দরকার খতমে আম্বিয়া কি বা কাকে বলে? চলুন ক্রমান্বয়ে জেনে নেওয়া যাক খতমে আম্বিয়া নিয়ে বিস্তারিত।
খতমে আম্বিয়া কি? আমাদের প্রিয় রাসূল সা: বলেছেন সবচেয় শ্রেষ্ঠ জিকির হচ্ছে “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু। অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই” আর উক্ত জিকির কোনো মৃত ব্যক্তির মাগফিরাত কামনা করার উদ্দেশ্যে পরহেজগার মুমিনদের নিয়ে সর্বমোট ১ লক্ষ্য ২৫ হাজার বার পড়াকেই খতমে আম্বিয়া বলে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটিকে খতমে তাহলীল ও বলা হয়ে থাকে।
যাইহোক, যেহেতু ইতিপূর্বে আমরা খতমে আম্বিয়ার সংজ্ঞা জেনেছি, চলুন এবার ধীরে ধীরে খতমে আম্বিয়া পড়ার নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। ( বাংলায় দরুদ শরীফ ও দোয়া কুনুত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন )
খতমে আম্বিয়া পড়ার নিয়ম
খতমে আম্বিয়া পড়বেন কিভাবে? এটি পড়ার কি নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম-কানুন রয়েছে? হ্যা, অবশ্যই রয়েছে। এটিকে সঠিকভাবে পড়তে হলে আপনাকে বেশ কিছু জিনিস লক্ষ্য রেখে যৌথভাবে পড়া শুরু করতে হবে। তাহলে কি সেই নিয়মগুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
খতমে আম্বিয়া পড়ার নিয়ম হলো-
- যেহেতু এক লক্ষ্য পঁচিশ হাজার বার পড়তে হবে, সেহেতু একা/সিঙ্গেল কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই আপনার সাথে খতমে আম্বিয়া পড়ার জন্য কয়েক জন মানুষ যোগ করতে পারেন। এতে করে উক্ত কালিমাটি পড়ে সম্পন্ন করা আপনার ক্ষেত্রে খুবই সহজ হবে।
- একটি জিনিস উল্লেখ্য যে, অবশ্যই যখন লোক সিলেক্ট করবেন, তখন সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন যেন ঐ ব্যক্তিগুলো মুত্তাকিন ব্যক্তি হোন।
- এরপর আপনারা একটি পবিত্র বিচানা বা চাদরে বসে এক সাথে ১ লাখ ২৫ হাজার বার ”লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু” দোয়াটি পড়বেন।
- পড়ার সংখ্যাটি ঠিক রাখার ক্ষেত্রে আপনারা ফলের বিচি কিংবা পবিত্র কোনো কিছু রাখতে পারেন। এতে করে গণনাই কোনো রকম ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
- পড়া শেষ হলে সম্মেলিতভাবে সকলেই দোয়া করবেন।
মূলত উপরোক্ত উপায়ে খতমে আম্বিয়া পড়বেন এবং অবশ্যই মোত্তাকি ব্যক্তিদের রাখবেন। এতে করে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভবনা অনেক ক্ষেত্রেই বেড়ে যায়। যাইহোক, আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন যে, কিভাবে সঠিক উপায়ে খতমে আম্বিয়া পড়তে হয়। এবার চলুন এর ফজিলত সম্পর্কে জানা যাক।
খতমে আম্বিয়ার ফজিলত
এখন একজন সাধারণ মানুষের নিকট স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসতেই পারে যে, খতমে আম্বিয়ার ফজিলত কি? আর এই কারণেই নিম্নে আমরা বেশ কিছু ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করেছি। চলুন তাহলে খতমে আম্বিয়ার ফজিলত সমূহ সম্পর্কে জেনে নিই।
খতমে আম্বিয়ার ফজিলতগুলো হলো-
- যেকোনো প্রকারের বালা-মসিবত, রোগ-বালাই হতে মুক্তি পেতে উক্ত দোয়া বা আমল বেশ উপকারী।
- রোগীর রোগ আরগ্যের জন্য ও বেশ কার্যকারী।
- মামলা-মোকদ্দমা হতে মুক্তি পেতে এটি বেশ কার্যকারী একটি আমল।
- কোনো মৃত ব্যক্তির নাজাতের উদ্দেশ্যে উক্ত দোয়া পঠিত হয়।
মূলত খতমে আম্বিয়ার ফজিলত হিসেবে এগুলো ছাড়াও আরো অনেকগুলো ফজিলত রয়েছে, যা থেকে একজন মুমিন মুসলাম উপকৃত হতে পারে।
নোট: একটি বিষয় স্পষ্ট যে, উক্ত তথ্যগুলো সম্পূর্ণ ইন্টারনেট নির্ভর। তাই কোনো একটি আমল করার পূর্বে আবশ্যই একজন অভিজ্ঞ আলেমের নিকট যেয়ে নিশ্চিত হয়ে নিবেন।
খতমে আম্বিয়া নিয়ে শেষ কথা
আপনারা যারা যারা খতমে আম্বিয়া পাঠের নিয়ম এবং এর বহুমুখী ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন, আশা করি এই বিষয়ে ইতিমধ্যে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমরা প্রথমে খতমে আম্বিয়া পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। এর পূর্বে জেনেছি খতমে আম্বিয়া কি বা কাকে বলে এই সম্পর্কে। যাইহোক, সর্বপরি জেনেছি খতমে আম্বিয়ার অসংখ্য ফজিলত সম্পর্কে। ( হাসবিয়াল্লাহু এর ফজিলত নিয়ে জানুন )
সর্বপরি বলা যায় যে, আপনারা যারা যারা আজকের আর্টিকেল তথা খতমে আম্বিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত পড়েছেন, আশা করি উক্ত আমল এবং দোয়া সম্পর্কে জানতে পেরে বেশ উপকৃত হতে পেরেছেন।
খতমে আম্বিয়া সম্পর্কে আরো জানতে
E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.