নাকের মাংস কমানোর ঘরোয়া উপায়

নাকের মাংস কমানোর ঘরোয়া উপায়
BanglaTeach
E-Haq
Digital Marketer at- BanglaTeach

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking,...

Sharing is caring!

নাকের মাংস কমানোর ঘরোয়া উপায়
নাকের মাংস কমানোর ঘরোয়া উপায়

”নাকের মাংস বৃদ্ধি” বা ”নাকের পলিপাস” এই দু’টি একই অর্থ বহন করে। যদিও সচারারচর আমরা এই দুইটি টার্ম তথা অসুখের কথা আলাদা আলাদা অনেকে বলে থাকে। আচ্ছা যাইহোক, নাকের মাংস বৃদ্ধি অথবা পলিপাস যাইহোক না কেন, এই ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর প্রধান লক্ষ্য থাকে কিভাবে সে এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাবে। এখন ধরে নিলাম কোনো একজন ব্যক্তির নাকের মাংস বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন সে নাকের মাংস কিভাবে কমিয়ে আনতে পারে? এমন পরিস্থিতিতে ঘরোয়া চিকিৎসা বেটার নাকি একজন অভিজ্ঞ নাক,কান,গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি? অসুখের তীব্রতার উপর নির্ভর করে নাকের মাংস কমানোর ঘরোয়া উপায় অ্যাপ্লাই করেও এর থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। ( গরম পানি পান করার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানুন )

যাইহোক, আজকের আর্টিকেলে আমরা নাকের মাংস বৃদ্ধি তথা পলিপাস নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। আলোচনা বিলম্ব না করে তাহলে চলুন মূল অংশে প্রবেশ করা যাক।

নাকের মাংস বৃদ্ধি কেন হয়?

নাকের মাংস বৃদ্ধি কেন হয়
নাকের মাংস বৃদ্ধি কেন হয়

সাধারণত নাকের মাংস বৃদ্ধি প্রক্রিয়াটি হুট করেই শুরু হয় না। বরং দীর্ঘদিনের একটি অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া চলার মাধ্যমেই নাকের মাংস বৃদ্ধি পায়। আচ্ছা যাইহোক, চিকিৎসা বিজ্ঞান এই ক্ষেত্রে কি বলে? মূলত আমাদের নাকের মধ্যে সর্বমোট তিনটা শেল্ফের মত স্ট্রাকচার আছে। যেগুলিকে সাধারণত টারবিনেট বলে থাকি। যখন খালি চোখে আমাদের নাকের ভেতরের অংশ পরীক্ষা করে থাকে ডাক্তারহল, তখন কেবল মাত্র নিচের টারবিনেটের সামনের অংশ দেখতে পারে ডাক্তারগণ। বাকী অংশগুলী দেখা যায়না নাকের এন্ডোস্কোপি ছাড়া। তখন সেই অংশগুলো স্পষ্ট দেখার জন্য ডাক্তারগণ আমাদেরকে নাকের এন্ডোস্কোপি নাক পরীক্ষা করে থাকে। বিভিন্ন কারনে আমাদের নাকের এই টারবিনেটগুলি বড় হয়ে যায় বিশেষ করে মধ্যের এবং নিচের টারবিনেট । এটা হতে পারে এলার্জি থেকে কিংবা সাইনাসের প্রদাহ থেকে পাশাপাশি বেশি ধুলাবালি থেকেও নাকের এই টারবিনেটগুলো বড় হয়ে যেতে পারে।। অধিকাংশ মানুষেরই টারবিনেট হাইপারট্রফি থাকে কিন্তু খুব কমই আছে যাদের একারনে কোন অসুবিধা হয়। মূলত এই কারণেই আমাদের নাকের মাংস বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে, নাকের মাংস বৃদ্ধি/বাড়া বা নাকের পলিপাস, উভয় শব্দ দুটি একই অর্থ বহন করে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আমরা নাকের পলিপকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করি। আর সেগুলো হলো-

  • ইটময়রেল পলিপ
  • এনট্রোকনাল পলিপ

চলুন তাহলে এবার ইটময়রেল পলিপ ও এনট্রোকনাল পলিপ সম্পর্কে সংক্ষিপ্তে জানার চেষ্টা করি।

ইটময়রেল পলিপ:

ইটময়রেল পলি কি? ইটময়রেল পলিপ, এগুলোর ক্ষেত্রে নাকের যে ওপরের অংশ, যাকে নাকেরসেতু বলা হয়, এখানে অনেক কোষ থাকে। মূলত আমাদের নাকের ঝিল্লিতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করে ফুলে পলিপ সৃষ্টি হয়। আর সাধারণ অবস্থায় কোষের দেয়ালগুলো পাতলা থাকে,, যার ফলে এগুলো ফুলে মাংসপেশি হিসেবে ঝুলে পুরোটাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এবার চলুন ইটময়রেল পলিপ সম্পর্কে জানা যাক।

এনট্রোকনাল পলিপ:

মলত এনট্রোনাল পলিপ কি? এনট্রোকনাল পলিপ, যেটা আমাদের মেক্সিলারি এনট্রোকন, দুই দিকে দুটো সেখানে হয়। তবে সাধারণত একদিকেই হয়, একটিতে হয়। এনট্রোকনাল পলিপ যেটা, সেটা সাধারণত নাকের পেছনের দিকে গিয়ে গলায় গিয়ে বড় হয়ে নাকের আকৃতিটাই বন্ধ করে দেয়। এমন ভয়ংকর অবস্থায় তখন আমাদের শ্বাস নিতে তুলনামূলক কষ্ট হয় এবং মাঝে মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস পুরো বন্ধ হয়ে যায়। আবার ইটময়রাল পলিপ, যেটি এটাতে দুই দিকে অনেকগুলো হয়ে নাক পুরোটা বন্ধ করে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।

আশা করি নাকের মাংস বৃদ্ধির কারণগুলো আপনাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। যদিও সংখ্যাঘরিষ্ঠদের বোঝতে সমস্যা হতে পারে। কেননা এখানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেগুলো টার্ম একত্রে ইউজ করা হয়েছে। তারপরও আশা করি কিছুটা হলেও আপনারা ধারণা করতে পেরেছেন।

নাকের মাংস বৃদ্ধি হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়?

নাকের মাংস বৃদ্ধির লক্ষণ
নাকের মাংস বৃদ্ধির লক্ষণ

যদিও নাকের মাংস বৃদ্ধি হলে প্রাথমিক অবস্থায় প্রকট আকার ধারণ করে না। যে বিধায়, যখন অবস্থার অবনতি হয়, ঠিক সেই মূহর্তেই আমাদের টনক নড়ে। যাইহোক, কিছু কিছু কমন প্রতিক্রিয়া বা লক্ষণ রয়েছে, যেগুলো আপেক্ষিভাবে দেখে আমরা বোঝতে পারবো যে আমাদের নাকের মাংস বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন চলুন এমন কয়েকটি লক্ষণ বা নমুনা সম্পর্কে জানা যাক, যেগুলো আমাদের মধ্যে উপস্থিত দেখলেই বোঝতে পারবো যে আমাদের নাকের মাংস বৃদ্ধি পেয়েছে বা নাকে পলিপাস হয়েছে।

  • প্রথমত, নাকের ঘ্রাণ শক্তি ক্রমেই হ্রাস পায়।
  • নাক দিয়ে সর্দি ঝরা সহ নাক বন্ধ হয়ে আসা।
  • ঘন ঘণ ঢোক গিলা এবং গলা পরিষ্কার করার মতো প্রবণতা তৈরি হতে পারে।
  • কিছুক্ষণ পর পর নাক বন্ধ হয়ে আসা। এবং একবার নাকের এক পাশ এবং পরোক্ষণে অন্য পাশ বন্ধ হয়ে যায়।
  • তুলনামূলক বেশি হাঁচি থাকা। একটু ঠান্ডা বা ধূলোবালির সংস্পর্শে আসলেই এলার্জির ন্যায় চোখ চুলকানি সহ ঠান্ডি হওয়া ও বেশি বেশি হাঁচি দেওয়া।
  • প্রায় সময় নাকে দূর্গন্ধের ন্যায় ঘ্রাণ পাওয়া।
  • প্রাথমিক অবস্থায় মাথা ব্যথা তুলনামূলক কম থাকে। তবে পলিপের আকার যখন ক্রমেই বড় হয়ে উঠে, তখন মাথা ব্যথা প্রকট আকার ধারণ করে। বিশেষ করে কপালের সম্মুখ অংশটুকু।
  • রোগীর গলায় সব সময় খুসখুস একটা ভাব থাকে।
  • মাঝে মাঝে কান বন্ধ হয়ে যাওয়ার একটা ভাব তৈরি হতে পারে। অর্থাৎ মনে হবে কানে কম শুনছেন বা এমন কিছু।
  • প্রায় সময় মাথা ঘুরাতেও পারে।
  • মাঝে মাঝে বমি বমি ভাব তৈরি হতে পারে।
  • ধীরে ধীরে নাকের মাংস বৃদ্ধি পেয়ে নাসিকার ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়।
  • ধীরে ধীরে নাকের পলিপাসটি আাঙ্গুরের ন্যায় আকার ধারণ করে।

উপরোক্ত লক্ষণগুলো হলো হলো নাকের মাংস বৃদ্ধি পাওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। তবে নাকের মাংস বৃদ্ধি বা পলিপাস নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। এক কথায় নাকের পলিপাস বা মাংস বৃদ্ধি হওয়ার জন্য মূল কারণ হলো নাকের এলার্জি। আর এর থেকেই উক্ত লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় এবং ক্রমান্বয়ে মাংস বৃদ্ধি পায়।

নাকের মাংস বৃদ্ধির ছবি-

নাকের মাংস বৃদ্ধির ছবি
নাকের মাংস বৃদ্ধি ছবি

নাকের মাংস বৃদ্ধি হলে কি কি সমস্যা হয়?

নাকের মাংস বৃদ্ধি হলে আমাদেরকে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে কিছু কিছু সহনীয় পর্যায়ে থাকে এবং কিছু কিছু অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়। যাইহোক, সবার কিন্তু সব রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। যার মধ্যে কমন কিছু সমস্যা রয়েছে, যেগুলো নাকে মাংস বাড়া সব ব্যক্তিকেই সহ্য করতে হয়। চলুন তাহলে নাকে মাংস হলে যে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সেগুলো ক্রমান্বয়ে জেনে নিই-

  • ঘন ঘন মাথা ব্যথা হয়।
  • সর্দি-ঠান্ডি লেগে থাকে।
  • মাঝে মাঝে নাক ফুলে যায় এবং ব্যথা অনুভব হয়।
  • নিশ্বাস নিতে কিছুটা কষ্ট অনুভব হয়।

মূলত কমন কয়েকটি সমস্যার মধ্যে উপরোক্ত সমস্যাগুলোই হলো অন্যতম। যদি কারো নাকের মাংস বৃদ্ধি পায়, তাহলে উক্ত সমস্যাগুলো ফেস করতে হয়। তবে শারীরিক অবস্থা, বয়স ও আনুসাঙ্গিক অনেক কিছুর উপর এই বিষয়গুলো নির্ভর করে।

নাকে মাংস বাড়লে কি করনীয়?

যখন আমাদের মধ্যে কারো নাকের মাংস বেড়ে যায়, ঠিক তখন সে নানা রকম দ্ধিধাগ্রস্থায় পতিত হয়। নাকের মাংস বাড়লে কি করবো বা কি করা উচিত, এই নিয়ে রয়েছে নানা রকম মতামত। ইভেন ডাক্তারদের মধ্যেও রয়েছে নানা রকম ভিন্ন মতামত। যাইহোক, আজকের আমরা এমন কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করবো, যেগুলো সব ডাক্তার দ্ধারাই স্বীকৃত। অর্থাৎ নাকে পলিপাস রয়েছে এমন সব রোগীকেই উক্ত উপদেশ বা উপায়গুলো মান্য করতে উপদেশ দিয়ে থাকে। এখন নাকের মাংস বাড়লে করণীয় হিসেবে আমাদের নিকট দু’টি উপায় রয়েছে। আর সেগুলো হলো-

  • নাকের মাংস কমানোর ঔষধ
  • নাকের মাংস বৃদ্ধির ঘরোয়া চিকিৎসা

এখন চলুন এই দুই উপায় নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিই।

নাকের মাংস কমানোর ঔষধ

এই পার্টটি নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা মোটেও উচিত নয়। কেননা বয়স, শারীরিক অবস্থা সহ নানা রকম জিনিসের উপর ভিত্তি করে একজন ডাক্তার রোগীকে নানা রকম ঔষধ সাজেস্ট করে থাকে। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ভালো ও রেজিস্ট্রেড করা ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। অন্যথায, হেতে বিপরীত হতে পারে। যাইহোক, ডাক্তার পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর যে সকল ওষধ দিবে, তা আপনি নাকের মাংস কমানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন।

নাকের মাংস বৃদ্ধির ঘরোয়া চিকিৎসা

যদি আপনি নাকের পলিপাসের বিষয়টি প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় করতে সক্ষম হোন, তাহলে অনেকাংশে আপনি রেহাই পেয়ে যেতে পারেন। উপরে যে যে লক্ষণগুলো তুলে ধরেছি, সেগুলোর যদি কয়েকটিও আপনার মধ্যে লক্ষিত হয়, তাহলে আপনি প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া চিকিৎসা শুরু করে দিতে পারেন। কারণ নাকের মাংস বৃদ্ধির ঘরোয়া চিকিৎসা বেশ কার্যকর। এখন কিভাবে আপনি নাকের পলিপাস দূর করার উপায় হিসেবে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বণ করবেন? চলুন সেটি জেনে নিই-

আদা ব্যবহার

আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য আদা বেশ কার্যকারী একটি মসলা বা সবজী। এর রয়েছে বহুমুখী শারীরিক উপকারিতা। আদাতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। পাশাপাশি রয়েছে মানব শরীরে সংক্রমণ বিরোধী পুষ্টি উপাদান। নাকের মাংস তথা পলিপাস কমাতে/দূর করতে আদা বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। মূলত ঘরোয়া চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ভেষজ উপাদানটিকে রাখতেই হবে। এখন কিভাবে আদা ব্যবহার করবেন? এই ক্ষেত্রে আপনি প্রতিবার রান্নায় আদা তরকারির সাথে ব্যবহার করতে পারেন গুড়ো অবস্থায় বা পলি পলি করে। একটুকরো আদা মুখে নিয়েও চিবিয়ে খেতে পারেন। রং চায়ের সাথে আদা মিশেয়েও খেতে পারেন। এক কথায়, আপনার যেভাবে ইচ্ছে হয়, ঠিক সেই ভাবেই আপনি আদা খেতে পারেন। এটি নাকের মাংস কমাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

হলুদ ব্যবহার

নাকের পলিপাস তথা মাংস দূর করার ক্ষেত্রে আপনারা হলুদের গুড়ো কিংবা কাচা হলুদও ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি নামক উপাদান থাকে। আর এই অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান আমাদের দেহকে নানা রকম রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও শরীরের এলার্জি দূরীকরণেও কাঁচা হলুদ ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। যেহেতু আমাদের নাকের পলিপাস বা মাংস বাড়ার পিছনে এলার্জির ব্যাপক ভূমিকা থাকে, সেহেতু যদি আমরা এই ক্ষেত্রে এলার্জি কিছুটা কমিয়ে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে উক্ত সমস্যা হতে কিছু্টা হলেও রেহাই পাওয়া সম্ভব। যাইহোক, এখন ঔষধ হিসেবে কিভাবে আপনি হলুদ সেবন করবেন? এখানে উল্লেখ্য যে, অবশ্যই প্রতিদিনের খাবারে হলুদ রাখবেন। পাশাপাশি যদি সহ্য করা সম্ভব হয়, তাহলে প্রতি বেলার খাবারে এক বা দু’চামচ হলুদ ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও কুমকুম গরম পানির সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। সাথে একটু মধু মিক্স করে নিবেন। এতে করে আপনার এলার্জি জাতীয় সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। সেই সাথে এলার্জি কমলে আপনার নাকের পলিপাসের বিষয়টিও কম থাকবে।

রসূন ব্যবহার

রসূনের মাধ্যমেও আমরা নাকের মাংস বাড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে পারি। এই ক্ষেত্রে রসূন কিভাবে কাজ করে? রসূন হলো অ্যান্টোবায়েটিক উপাদানে ভরপুর একটি ভেষজ। বিশেষ এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, রসূন আমাদের দেহের পাকস্থলির কার্য-ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আরো অনেক উপকার করে তাকে।। এতে করে আমাদের দেহের হজম প্রক্রিয়ারও উন্নতি ঘটে থাকে। পাশাপাশি রসূন আমাদের দেহের দৈহিক সমস্থ ধরণের প্রদাহ ব্যথা দূর করে থাকে। রসুন নাকের পলিপাস দূর করতে বেশ উপকারি একটি ঔষধ। এটি আমাদের দেহে গিয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি দেহের কার্য-ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই প্রতিবেলার খাবারে রসুন রাখার চেষ্টা করুন এবং কাঁচা রসূন খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে পলিপাস সহজেই দূর হবে। এছাড়াও রসূনের গুড়ো হালকা গরম পানিতে মিশিয়েও খেতে পারেন। এতেও আপনি নাকের পলিপাসের উপকার পাবেন। রসূনের গুড়োর সাথে অল্প করে মধুও মিক্স করে নিতে পারেন।

উপরোক্ত এই তিনটি উপায় মান্য করার মাধ্যমে নাকের মাংস কমিয়ে ফেলতে পারেন মাত্র কয়েক মিনিটি। যাইহোক, এখন চলুন আর্টিকেলের বাকি অংশটুকু পড়া যাক।

নাকের মাংস বৃদ্ধি অপারেশন খরচ কত?

নাকের মাংস বৃদ্ধির অপারেশন খরচ বেশ অনেক কিছুর উপর নির্ভরশীল। যা হুড়হামিশায় বলে দেওয়া অনেকটাই সম্ভব নয়। বিশেষ করে প্রতিটি অপারেশন হসপিটাল ভিত্তিক হয়ে থাকে। পাশাপাশি ডাক্তারের অভিজ্ঞতা সহ অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তবে যদি আনুমানিক গড় হিসেবে বলে, তাহলে 8-25,30 হাজার টাকা নাকের মাং বৃদ্ধির অপারেশনে খরচে হয়ে থাকে।

নাকের মাংস বৃদ্ধি অপারেশন কিভাবে করা হয়?

বয়স ভেদে যেকোনো অপারেশনের রয়েছে ভিন্নতা। ঠিক একই ভাবে নাকের মাংস বৃদ্ধির অপারেশন এর ক্ষেত্রেও উক্ত নিয়ম অনুসরণ করা হয়। তবে নাকের মাংস বৃদ্ধির হার যখন  বেশি হয়, তখন অপারেশন ছাড়া আর কোনো বিকল্প উপায় থাকে না। এখন প্রশ্ন করতে পারেন যে, উক্ত অপারেশনটি কিভাবে করে থাকে? বস্তুত, আমাদের নাকের ঠিক মাঝখানের পার্টিশন কয়েকটি হাড় এবং কার্টিলেজের সমন্বয়ে গঠিত। আর এই অপারশনে বেঁকে যাওয়া সেপটাম অর্থাৎ নাকের পার্টিশন সোজা করতে হয়। যে বিধায় পরোক্ষণে নাকের মধ্যকার বাতাস চলাচল সহজ করতে। আর এভাবেই নাকের মাংস বৃদ্ধি অপারেশন করে থাকে।

নাকের মাংস কমানো অপারেশনের পর কি করা উচিত?

নাকের মাংস কমানোর অপারেশনের পর অবশ্যই রোগীকে কয়েকদিন বিশ্রাম নিতে হবে। পাশাপাশি ডাক্তারের দেওয়া ঔষধগুলো নিয়ম ম্যানটেইন করে সেবন করতে হবে। নাকে যাতে কোনো কিছুর সাথে ধাক্কা না লাগে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। গরম পরিবেশে থাকতে হবে। কোনো ভাবেই ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না। এলার্জি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে। ধূলাবালি সহ বেশি রৌদ্রে যাওয়া যাবে না। ব্যতিক্রমধর্মী অন্য সকল ঔষধ খাওয়া হতে বিরত থাকতে হবে। আর বেশি প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তা সেবন করতে হবে। উপুড় হয়ে শোয়া যাবে না। ট্যানশন করা যাবে না। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া সহ ইত্যাদি নাকের অপারেশনের পর করা হতে বিরত থাকতে হবে। মূলত একজন ব্যক্তি যখন নাকের মাংস কমানোর অপারেশন করবে, তখন তাকে উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।

নাকের মাংস কমানোর হোমিও ঔষধ কি কার্যকারী?

যদি নাকের মাংস বাড়ার হার সহনীয় পর্যায়ে থাকে, তাহলে সেই ক্ষেত্রে হোমিও ঔষধ কিছুটা হলেও উপকারী। তবে অনেক ভোক্তভোগী হোমিও ঔষধ কে নাকের মাংস কমানোর ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কেননা সর্বপরি তাদেরকে ‍অপারেশন করাতে হয়। প্রাথমিক অবস্থায় হোমিও ঔষধ কিছুটা স্বস্তি ও এই অসুখটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও, লং টার্মের ক্ষেত্রে কাজে তেমন আউটপুট পাওয়া যায় না। তাই এই ক্ষেত্রে হোমিও কে বেশি প্রাধান্য না দিয়ে এলোপ্যাথিকের দিকে ঝঁকাটাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

নাকের মাংস কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে শেষ কথা

নাকের মাংস কমানো ঘরোয়া উপায় নিয়ে আমরা বিস্তর আলোচনা করেছি। আশা করি এখন আমাদের মাঝে অনেকের নিকট এই বিষয়টি স্পষ্ট যে, কেন নাকের মাংস বৃদ্ধি পায় এবং এর থেকে পরিত্রাণের জন্য কি কি পদক্ষেপ অবলম্বণ করতে হবে সহ ইত্যাদি।

আর যে সকল পাঠক নাকের পলিপাসের ছবি দেখতে চেয়েছেন, তাদের জ্ঞাতার্থেও এখানে বেশ অনেকগুলো ছবি তুলে ধরেছি। যাইহোক, সর্বপরি আশা করি, আপনার যদি নাকে মাংস বেড়ে থাকে এবং সেটি হতে রেহাই পেতে চান, তাহলে দয়া করে প্রাথমিক অবস্থায় ঘরোয়া উপায়গুলো অ্যাপ্লাই করা শুরু করেন। এতে করে অনেকটাই আপনি রক্ষা পেয়ে যাবেন।

https://youtu.be/IWp7dTlk76M
BanglaTeach
E-HaqDigital Marketer at- BanglaTeach

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.

About E-Haq

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.

View all posts by E-Haq →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *