E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking,...
Durood Sharif Bangla – দরুদ শরীফ মুসলিম উম্মাহর জন্য এক শক্ত হাতিয়ার। একজন মুমিন মনের আশা হতে মন বিষন্মতা সহ ইত্যাদি ফজিলত দ্ধারা উপকৃত হতে পারে শুধু মাত্র বেশি বেশি দরুদ শরীফ পড়ার মাধ্যমে।
দুরুদ শব্দের আরবি অর্থ হলো সালাত। আর সালাত শব্দের বাংলা অর্থ হলো দয়া, মায়া, রহমত, করুণা, ইস্তিগফার, দরুদ বা শুভ কামনা, ক্ষমা-প্রর্থণা সহ ইত্যাদি। মূলত মুসলিমদের জন্য দরুদ শরীফ হলো একটি কার্যকারী আমল এবং সম্ভাষণ যা সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর শান্তির প্রার্থণার উদ্দেশ্যে পড়া হয়ে থাকে। ( হাসবুনাল্লাহু এর ফজিলত ও নামাজের জন্য দশটি সূরা সম্পর্কে জানুন )
যাইহোক, আলোচনা শুরু করার পূর্বে বলে রাখি, সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। অন্যথায় দরুদ শরীফ নিয়ে নানা রকম ভুল মনোভাব আপনার মনে তৈরি হতে পারে। সে জন্য আংশিক পড়া হতে বিরত থাকুন। আলোচনা বিলম্ব না করে চলুন Durood Sharif Bangla – দরুদ শরীফের বাংলা উচ্চারণ, আমল, ফজিলত ও বিষ্মকর কিছু ঘটনা সম্পর্কে জানা যাক। ( খতমে জালালী ও খতমে খাজেগান নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করুন )
দরুদ শরীফের ফজিলত
আজকের আর্টিকেলে আমরা ছোট-বড় অনেকগুলো দরুদ শরীফ নিয়ে আলোচনা করবো। তবে আলোচনার শুরুতে দুরুদ শরীফের ফজিলত নিয়ে সংক্ষিপ্তে সামান্য একটু ধারণা দেওয়া যাক।
- মেশকাত শরীফ এর হাদীস- রাসূলে পাক (দঃ) এরশাদ করেন, ”যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ্ পাক তার উপর দশটি রহমত অবতীর্ণ করবেন।
- নাসায়ী শরীফের হাদীস- আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, হযরত রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেন, ”যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ প্রেরণ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাহার প্রতি দশবার রহমত নাযিল করবেন এবং তাহার দশটি গোনাহ মাফ করা হবে, আর তাহার মর্যাদা দশগুণ উচ্চ করা হবে।
- নাসাঈ শরীফের অপর বর্ণনায় আছে- হযরত আবু দারদা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন যে, রাসূলে করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, আমার উম্মতের যে কোনো লোক যদি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে আল্লাহ্ পাক তার প্রতি দশটি রহমত নাজিল করেন, দশটি উচ্চ মর্যাদা দান করন, আমলনামায় দশটি নেকি লেখা হয় এবং দশটি গুনাহ মাফ করে দেন।
- বায়হাকী শরীফের হাদীস- হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, হযরত রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আমার কবরের নিকট আমার উপর দরুদ পাঠ করবে, আমি তা নিজ কানে শুনবো, আর যে ব্যক্তি আমার উপর গায়েবানা (অর্থাৎ দূরে থেকে) দরুদ পাঠ করবে, তা আমার নিকট পৌঁছে দেয়া হবে।
- নাসায়ী ও দারমী শরীফের হাদীস- হযরত রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেন, ”আল্লাহ্ তায়ালার বহু ফেরেশতা যমীনে ভ্রাম্যমাণ রয়েছে, যারা আমার নিকট আমার উম্মতের পক্ষ থেকে তাদের সালাম পৌঁছে দেয়।
- মুয়াত্তা শরীফের হাদীস- হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, মহানবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ”কোনো ব্যক্তি দরুদ শরীফ পড়া মাত্র একজন ভ্রাম্যমাণ ফেরেশতা আমার দরবারে উপনীত হয়ে খবর দেয়, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! অমুকের সন্তান অমুক আপনার উপর এত মোর্তবা দরুদ শরীফ পাঠ করেছেন। অমনি আমি ও তার ওপর ঠিক তত মোর্তবা দরুদ পাঠ করি। অতঃপর সেই ফেরেশতা আল্লাহর দরবারে আরজি পেশ করে- হে মাবুদ! অমুকের সন্তান অমুক আপনার হাবীবের ওপর এত মর্তবা দরুদ পাঠ করেছেন। তৎক্ষণাৎ আল্লাহ্ পাক তাকে জানিয়ে দেন, ”উত্তম কিরামান ও কাতেবীনকে বলে দাও, তার প্রত্যেক মোর্তবা দরুদ পাঠের পরিবর্তে যেন তার আমলনামা থেকে দশটি করে গোনাহ্ কেটে দেয় এবং আমার তরফ থেকে প্রত্যেক কাটা স্থানে দশটি করে নেকী লিখে রাখে।
- তিরমিযি শরীফের হাদীস- হযরত আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ”সেই ব্যক্তি কৃপণ, যার সম্মুখে আমার নাম উল্লেখ হয়, অথচ সে আমার নামে দরুদ পাঠ করে না।
- তাবারানী শরীফের হাদীস- হযরত আবু দাররা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, ”যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা আমার ওপর দশবার দরুদ পড়বে সে কেয়ামতের দিন আমার শাফায়াত লাভ করবে।
- মুসলিম শরীফের হাদীস- হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো ব্যক্তি ওযু করে আদবের সাথে বসে আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করলে, আল্লাহ্তায়ালা তাহার ওপর দশবার দরুদ প্রেরণ করেন। যদি আমার ওপর কেউ দশবার দরুদ পাঠ করেন তবে আল্লাহ্তায়ালা তার ওপর একশতবার দরুদ প্রেরণ করেন। কেউ একশত বার আমার ওপর দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ্পাক তার উপর একহাজার বার দরুদ শরীফ প্রেরণ করেন এবং তার জন্য বেহেশত হালাল ও দোযখ হারাম করে দেন।
- (তিরমিযী শরীফের হাদীস হযরত ইবনে মাস্উদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার উপর সর্বাধিক দরুদ পাঠকারী কিয়ামতের দিন লোকদের মধ্যে আমার সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে।
- তিরমিযি শরীফের হাদীস হযরত উবাই ইবনে কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একদা আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমি আপনার নামে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করি; অতএব দরুদ পাঠের জন্য আমি কতটুকু সময় নির্দিষ্ট করব? _ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ”যতটুকু তুমি চাও। আমি বললাম, ”এক চতুর্থাংশ সময়। আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ”যতটুকু তুমি চাও; আর যদি আরও বেশি কর, তবে তোমার জন্য ভালো হবে। আমি বললাম, অর্ধেক সময়? আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যতটুকু তুমি চাও’ আর যদি আরও বেশি কর, তবে তা তোমার জন্য ভালো হবে। আমি বললাম_ তবে দুই তৃতীয়াংশ সময়। আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যতটুকু তুমি চাও আর যদি আরও বেশি কর, তবে তা তোমার জন্য ভালো হবে। আমি বললাম, আমি আপনার উপর দরুদ পাঠের জন্য আমার সমুদয় সময় নির্দিষ্ট করব। আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তবে তোমার যাবতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট হবে এবং তোমার দ্বীন ও দুনিয়ার সকল উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে আর তোমার সমস্ত গোনাহ্ মাফ হবে। (তিরমিযী)
- মুসলিম শরীফের হাদীস- রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার সুপারিশের পূর্বে কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না কিন্তু যারা আমার ওপর সব সময় দরুদ শরীফ পাঠ করেছে, তারা আমার সুপারিশের পূর্বেই জান্নাতে চলে যাবে। তাদের জন্য আমার কিছুমাত্র সুপারিশের প্রয়োজন হবে না। (মুসলিম শরীফ)।
- অপর এক হাদীসে আছে- নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যদি তুমি কোন কিছু ভুলে যাও তাহলে আমার উপর দরুন পাঠ কর ইনশা আল্লাহ সে ভুলে যাওয়া জিনিষ তোমার মনে পড়ে যাবে। আপনারা নিজেরাই পূণ বিশ্বাসের সাথে এ হাদীসের উপর আমল করতে পারেন, ধরুন আপনি ঘরে কোন কিছু কোথাও রেখেছেন পরে ভুলে গেছেন তখন আপনি আন্তরিকতার সাথে দরুদে পাক পাঠ করতে থাকুন দেখবেন আপনার মনে হবে কেউ যেন আপনার কানে কানে এসে বলে দিল যে তুমি অমুক জায়গায় বস্তুটি রেখেছ। তেমনিভাবে যে সব ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষার্থী তারা পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্ন আসার সাথে সাথে ১১ অথবা ১২ বার দরুদ পাঠ করলে এবং পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ১১/১২ বার দরুন পাঠ করলে ইনশা আল্লাহ পরীক্ষা ভাল হবে। অনেকে পরীক্ষার হলে গিয়ে মুখস্থ পড়া ভুলে যায় সে সমস্যাও ইনশা আল্লাহ দরুদে পাকের বরকতে সমাধান হয়ে যাবে।
- অভাব দুর করার জন্য সবচেয়ে আফযল অজিফা হল দরুদে পাক পাঠ করা। নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি প্রতিদিন আমার উপর ৫০০ বার দরুন পাঠ করবে তাঁর সকল অভাব অনটন দুর হয়ে যাবে।
- অপর এক রেওয়ায়েতে আছে নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যখনই তোমাদের কোন পেরেশানি আসে তখন তোমরা আমার উপর বেশী বেশী দরুদ পাঠ কর তাহলে আল্লাহ তাবারাকা ওয়াতায়ালা তোমাদের পেরেশানি দুর করে দিবেন। আর বেশী দরুদ এর সংখ্যার ব্যপারে ওলামায়ে কেরাম বলেন ৩০০ বার অথবা ৩১৩ বার। অথ্যাৎ কেহ দিনে ৩ শত বা ৩১৩ বার দরুদ পাঠ করে তাহলে সে অধিক দরুদ পাঠকারী হিসেবে গণ্য হবে। ১৬। অপর এক রেওয়ায়েতে আছে নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি প্রতিদিন হাজার বার দরুদ পাঠ করে সে ততক্ষন মৃত্যু বরণ করবে না যতক্ষন নিজের স্থান জান্নাতে দেখতে না পাবে। হাদীসের ব্যখ্যাকারী গণ বলেন এটা মুলত জান্নাতে প্রবেশের সুসংবাদ।
মূলত উপরের ফজিলতগুলো ছাড়াও আরো অনেকগুলো ফজিলত রয়েছে যা একজন ব্যক্তি দরুদ শরীফ পড়ার মাধ্যমে পেতে পারে। এখানে শুধু মাত্র আমাদের মধ্যে জানা-শুনা কিছু ফজিলতের কথা তুলে ধরা হয়েছে। যাইহোক, এবার চলুন Durud Sharif Bangla জেনে নিই। অর্থাৎ বাংলা উচ্চারণে অর্থসহ বেশ অনেকগুলো দুরুদ শরীফ সম্পর্কে জানবো। ( খতমে তাহলীল ফজিলত সম্পর্কে জানুন )
Durud Sharif Bangla
আমাদের মধ্যে অনেকে choto dorud sorif সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। বলতে গেলে বেশিরভাগ পাঠক ছোট ছোট দরুদ শরীফগুলো পড়াকেই বেশি প্রধান্য দিয়ে থাকে। যে বিধায় choto dorud sorif নামের বেশ অনেকগুলো ইসলামি দরুদ শরীফ সম্পর্কে এখন জানার চেষ্টা করবো। যাইহোক, আলোচনা বিলম্ব না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক Durood Sharif Bangla বা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ দরুদ শরীফগুলো।
কাদেরীয়া তরীকার শ্রেষ্ঠ দুরূদ শরীফ
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَليٰ اٰلِ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আ-লি সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম)
ফযিলত: এই দুরূদ শরীফ সকাল ও সন্ধ্যা একশত বার পাঠ করলে বালা মুছিবত দূর হয়।
জিয়ারতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ رُوْحِ مُحَمَّدٍ فِي اَلْاَرْوَاحِ وَعَليٰ جَسَدِهِ فِي اَلْاَجْسَادِ وَعَليٰ قَبَرِهِ فِي الْقُبُوْرِ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা রুহি মুহাম্মাদিন্ ফিল আর ওয়াহি ওয়ালা জাসাদিহি ফিল আজসা-দি ওয়ালা ক্ববরিহি ফিল ক্বুবুর)
যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য পড়ুন
قَلَّتْ حِيْلَتِيْ اَنْتَ وَسِيْلَتِيْ اَدْرِكْنِي يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
(ক্বল্লাত হিলাতী আন্তা ওয়াসিলাতি আদ্ রিকনি ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
ফযিলত: যেকোন সমস্যার সমাধানের জন্য পড়ুন ইনশাআল্লাহ বৃথা যাবে না।
হিসাব নিকাশ ও আযাব থেকে মুক্তি লাভের দরুদ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ كُلَّمَا ذَكَرَهُ الذّٰكِرُونَ وَصَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ كُلَّمَا غَفَلَ عَنْ ذِكْرِهِ الْغَافِلُوْنَ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিন কুল্লামা যাকারা হুজ্জাকিরুনা ওয়া আলা মুহাম্মদিন কুল্লামা গাফালা আন্ যিকরিহিল গাফিলু-ন)
ফযিলত: ইমাম শাফেয়ী (র:) এই দুরূদ শরীফ পড়তেন। এই দুরূদ শরীফের উছিলায় হিসাব-নিকাশ থেকে মুক্তি পাবেন। প্রতিদিন ১১১ বার পাঠ করলে ঈমানের হিফাজত এবং ঈমানের সাথে ইন্তেকাল হবে।
ধন সম্পদ বৃদ্ধির দরুদ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُولِكَ وَعَليٰ المْؤُمِنِيْنَ وَالمْؤُمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন্ আবদিক ওয়ারাসূলিকা ওয়াআলাল মুমিনীনা ওয়া মুমিনাতি ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমাতি।)
ফযিলত: ছাহেবে রুহুল বয়ান এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এই দুরূদ শরীফ নিয়মিত পাঠ করবে তার ধন-সম্পদ দিন রাত বৃদ্ধি হতে থাকবে।
স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির দরুদ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍنِ النَّبِّيِ الْكَامِلِ وَعَليٰ اٰلِهِ كَاَب لَانِهَايَةَ لِكَمَالِكَ وَعَدَدَ كَاَعلِهٖ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিন্ নাবিয়্যিল কামিলি ওয়া আলা আলিহি কামা-লা-নিহায়াতা লিকামালিকা ওয়া আদাদা কামালিহি)
ফযিলত: মাগরিব এশার মধ্যবর্তী সময়ে এই দুরূদ শরীফ পাঠ করলে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
ঈমানের সহিত মৃত্যু
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ مُّنْطَلِقِ عِنَانِ جَوَادِ الاِيْمَانِ فِي مَيْدِانِ الاِحْسَانِ مُرْسِلاً مُرْشِدًا اِليٰ رِيَاحِ الْكَرَمِهِ فِي رَوْضِ الجْنَانِ وَعَليٰ اٰلِ مُحَمَّدٍ وَّسَلِّمْ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা মুহাম্মদিম মুনতালিকি ইনানি জাওয়াদিল ঈমানি ফি মিদানিল ইহসানি মুরসিলাম্ মুরশিদান ইলা রিয়াহিল কারামিহি ফি রাওদিল জানানি ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিও ওয়া সাল্লিম)
ফযিলত: উক্ত দুরূদ শরীফের উছিলায় ঈমানে সহিত মৃত্যু নসিব হবে।
দরুদে গাউসিয়া
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ مَّعْدَنِ الْجُوْدِ وَالْكَرَمِ وَاٰلِهٖ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিম মাআদিনিল যুদি ওয়াল কারামি ওয়া আলিহি ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।)
ফযিলত: এ দুরূদ শরীফ পাঠ করলে- ১.জীবিকায় বরকত হবে ২.সমস্ত কাজ সহজ হবে ৩.মৃত্যুকালে কলেমা নসীব হবে ৪.প্রাণবয়ু সহজে বের হবে ৫.কবর প্রশস্ত হবে ৬.কারো মুখাপেক্ষী থাকবেনা ৭.আল্লাহর সৃষ্টি তাকে ভালোবাসবে।
দরুদে রযভিয়্যাহ
صَلَّي اللهُ عَليٰ النَّبِيِّ الْاُمِّيِّ وَاٰلِهٖ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلِّمْ صَلوٰةً وَّسَلاماً عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ الله-
(ছাল্লাল্লাহু আলান নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলিহি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছালাতাও ওয়া সালামান আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ)
ফযিলত: এ দুরূদ শরীফ প্রত্যেক নামায ও জুমার নামাযের পর খাস করে মদীনা মনোয়ারার দিকে মুখ করে ১০০ বার পাঠ করলে অগণিত ফযিলত অর্জন হয়।
বদ অভ্যস পরিত্যাগ করার দরুদ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ اَفْضَلِ اَنْۭبِيَائِكَ وَاَكْرَمِ اَصْفِيَائِكَ مَنْ فَاضَتْ مِنْ نُّوْرِهِ جَمِيْعِ الْاَنْوَارِ وَصَاحِبِ الْمُعْجِزَاتِ وَصَاحِبِ الْمَقَامِ الْمَحْمُوْدِ سَيِّدِ اْلاَوَّلِيْنَ وَاْلاَخِرِيْنَ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন আফ্দালি আম্বিয়ায়িকা ওয়া আকরামি আছফিয়াইকা মান ফাদাত মিন্ নূরীহি জামিয়্যিল আনওয়ারী ওয়া ছাহিবিল মুজিযাতি ওয়া ছাহিবিল মাক্বামিল মাহমুদি সৈয়্যেদিল আওয়ালিনা ওয়াল আখিরিনা)
ফযিলত: এই দুরূদ শরীফ অধিক পরিমানে পাঠ করলে যে কোন অপকর্ম করা হতে বিরত থেকে ইবাদত বন্দেগীতে স্বাধ পাবেন।
উভয় জাহানের নেয়ামত অর্জন
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَّسَلِّمْ وَبَارِكْ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍوَّعَليٰ اٰلِهٖ عَدَدَ اِنْعَامِ اللهِ وَاَفْضَالِهٖ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহি আদাদা ইনআমিল্লাহি ওয়া আফদ্বালিহি)
ফযিলত: এই দুরূদ শরীফ পড়লে অগণিত নেয়ামত অর্জিত হয়।
দরুদে শিফা
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلۤانَا مُحَمَّدٍ طِبِّ الْقُلُوْبِ وَدَوَائِهَا وَعَافِيَةِ الأَبْدَانِ وَشِفَائِهَا وَنُوْرِ الاَبْصَارِ وَضِيَائِهَا وَعَليٰ اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ وَسَلِّمْ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন তিব্বিল কুলুবি ওয়া দাওয়া-ই হা ওয়া আফিয়াতিল আবদানি ওয়া শিফায়িহা ওয়া নুরীল আবছারি ওয়া দ্বিয়ায়িহা ওয়া আলা আলিহি ওয়া ছাহ্বিহি ওয়া সাল্লিম)
ফযিলত: *এ দুরূদ শরীফ যেকোন জটিল ও কঠিন রোগ মুক্তির জন্য পড়া প্রয়োজন।
* প্রত্যহ সকাল সন্ধ্যা ৩বার করে পড়লে মৃত্যু পর্যন্ত নিরোগ থাকা যায়।
দরুদে শাফায়াত
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدِوَّ اَنْزِلْهُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিও আন্যিলহুল মাক্বয়াদাল মুর্কারাবা ইনদাকা ইয়াউমাল কিয়ামাতি)
ফযিলত: প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান যে ব্যক্তি এ দুরূদ শরীফ পড়বে তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে যাবে।
প্রিয় নবীর নৈকট্য লাভের উপায়
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ كَاَা تُحِبُّ وَتَرْضٰى لَهٗ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিন কামা তুহিব্বু ওয়া ত্বারদ্বা লাহু)
ফযিলত: একদিন এক ব্যক্তি হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলে তিনি তাকে সিদ্দিকে আকবর রাদ্বিআল্লাহু আনহু এবং নিজের মাঝখানে বসালেন তখন উপস্থিত সাহাবায়ে ক্বেরামগণ প্রশ্ন করলেন কেন উনাকে এত নিকটে বসালেন তিনি বললেন যে সে এই দুরূদ শরীফ নিয়মিত পড়ে।
দুনিয়া ও আখেরাতে নিরাপদ থাকার উপায়
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَّ اٰلِهٖ وَصَحْبِهِ وَسَلِّمْ بِعَدَدِ مَا فِي جَمِيْعِ الْقُرْاٰنِ حَرْفًا حَرْفًا وَّبِعَدَدِ كُلِّ حَرْفٍ اَلْفاً اَلْفاً
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহি ওয়া ছাহবিহি ওয়া ছাল্লিম বি আদাদি মাফি জামিয়িল কুরআনই হারফান্ হারফাও ওয়া বি আদাদি কুল্লি হারফিন আল্ফান আল্ফান)
ফযিলত: যিনি কোরআন তেলাওয়াতের পর এই দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন তিনি দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপদ থাকবেন।
এক লক্ষ দুরূদ শরীফের ছাওয়াব
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدِنِ النُّوْرِ الذَّاتِي السَّارِئ فِي جَمِيْعِ الْاۤثَارِ وَاْلاَسْمَاءِ وَالصِّفَاتِ وَعَلىٰ اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ وَسَلِّمْ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদি নিন্ নূরিয্ যাতিস্ সারি ফি জামিইল আছারি ওয়াস ছিফাতি ওয়া আলা আলিহি ওয়া ছাহ্বিহি ওয়া সাল্লিম)
ফযিলত: এ দুরূদ শরীফ ১বার পাঠ করলে এক লক্ষ দুরূদ শরীফের ছাওয়াব পাবে। ৫০০ বার পড়লে যে কোন নেক হাজাত পূর্ণ হবে। ইনশা আল্লাহ
ছয় লক্ষ দুরূদ শরীফ পড়ার ছাওয়াব
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلانَا مُحَمَّدٍ عَدَدَ مَا فِي عِلْمِ اللهِ صَلَوٰةً دائمةً ۭبِدَوَامِ مُلْكِ اللهِ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সায়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন আদাদা মা ফি ইলমিল্লাহি ছালাতান্ দায়িমাতাম বিদাওয়ামি মুলকিল্লাহ)
ফযিলত: শায়খুদ দালাইল সৈয়দ আলী বিন ইউসুফ মাদানী রহ্মাতুল্লাহি আলাইহি আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ূতি থেকে বর্ণনা করেন এ দুরূদ শরীফ ১বার পড়লে ছয় লক্ষ দুরূদ শরীফের ছাওয়াব মিলবে। যিনি ১০০০ বার পড়বে দুনিয়া ও আখিরাতে নেক্ বখ্ত হবে।
এগার হাজার দুরূদ শরীফ পড়ার ছাওয়াব
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَّ عَلىٰ اٰلِهٖ صَلَوٰةً اَنْتَ لَهَا اَهْلٌ وَّهُوَ لَهَا اَهْلٌ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহি ছালাতান আনতা লাহা আহলুও ওয়া হুয়া লাহা আহলুন)
ফযিলত: হাফিজ আল্লামা সুয়ূতী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত এই দুরূদ শরীফ ১বার পড়লে এগার হাজার বার পড়ার ছাওয়াব মিলবে।
চৌদ্দ হাজার দুরূদ শরীফ পড়ার ছাওয়াব
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَّسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَّعَلىٰ اٰلِهٖ عَدَدَ كَاَ لِ اللهِ وَكَاَا يَلِيْقُ بِكَمَالِهٖ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহি আদাদা কামালিল্লাহি ওয়া কামা ইয়ালিকু বি কামালিহি)
ফযিলত: এই দুরূদ শরীফ শুধু ১বার পড়লে ১৪ হাজার দরূদে পাকের ছাওয়াব মিলবে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلىٰ النَّبِيِّ الطَّاهِرِ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম আলান নবিয়্যিত ত্বাহিরি)
ফযিলত: এক নিশ্বাসে ১১বার এই দুরূদ শরীফ পাঠ করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
বৃষ্টির সময় এই দুরূদ শরীফ পড়া উত্তম
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَّسَلِّمْ عَلىٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَّ علىٰ اٰلِهٖ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ بِعَدَدِ قَطْرَاتِ الْأَمْطَارِ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহি সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন্ বি আদাদি ক্বাতরাতিল আমতার)
ফযিলত: বৃষ্টি আসার সময় এই দুরূদ শরীফ পাঠ করলে যতগুলো ফোটা মাটিতে পড়ে ততগুলো ছাওয়াব পাওয়া যাবে।
অন্তরকে আলোকিত করার উপায়
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ نُوْرِ اْلاَنْوَارِ وَسِرِّ اْلاَسْرَارِ وَسَيِّدِ اْلاَبْرَارِ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন নূরীল আনওয়ারি ওয়া র্সিরিল আসরারি ওয়া সইয়্যিদিল আবরার)
ফযিলত: এ দুরূদ শরীফ নিয়ামিত পাঠ করলে নিজ ক্বলবে নূর পয়দা হবে।
আশি বছরের গুনাহ মাফ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدِنِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلىٰ اٰلِهٖ وَسَلِّمْ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিই ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লিম)
ফযিলত: রাসূলে পাক ইরশাদ ফরমান যে ব্যক্তি জুমার দিন আছরের পর ৮০বার এই দুরূদ শরীফ পড়বে আল্লাহ তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন।
মাগফিরাতের দুরূদ শরীফ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَلىٰ اٰلِهٖ وَسَلِّمْ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লিম)
ফযিলত: তাজেদারে মদীনা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান যে ব্যক্তি এই দুরূদ শরীফ পড়বে যদি দাঁড়ানো থাকে তবে বসার পূর্বে এবং বসা থাকলে দাঁড়ানোর পূর্বেই তার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
সারাদিন দুরূদ শরীফ পড়ার ছাওয়াব
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدَنَا مُحَمَّدٍ فِي اَوَّلِ كَاَيمِنَا اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ فِي اَوْسَطِ كَاَ مِنَا اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ فِي اۤخِرِ كَاَ مِنَا
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফি আউয়ালি কালামিনা। আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফি আওসাতি কালামিনা। আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফি আখিরি কালামিনা।)
ফযিলত: যে ব্যক্তি এই দুরূদ শরীফ দিনে ৩বার এবং রাতে ৩বার পাঠ করবে সে যেন দিন-রাত দুরূদ শরীফ পড়ার ছাওয়াব পবে।
দরূদে মাহী
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ خَيْرِ الْخَلَائِقِ اَفْضَلِ الْبَشَرِ شَفِيْعِ اْلاُمَّةِ يَوْمِ الْحَشَرِ وَالنَّشَرِسَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ بِعَدَدِ كُلِّ مَعْلُوْمِ لَّكَ وَصَلِّ عَليٰ جَمِيْعِ اْلاَنْۭبِيَاءِ وَالْمُرْسَلِيْنَ وَالْمَلۤائِكَةِ الْمُقَرَّبِيْنَ وَعَليٰ عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ وَارْحَمْنَا مَعَهُمْ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ-
(আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন খাইরিল খালায়িক্বি আফদ্বালিল বাশারি শাফীয়িল উম্মাতি ইয়াওমাল হশারি ওয়ান্নাশরি সইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিম্ বিআদাদি কুল্লি মালুমিল্লাকা ওয়া সাল্লি আলা জমীয়িল আম্বিয়ায়ি ওয়াল মুরসালীনা ওয়াল মালায়িকাতিল মুর্ক্বারাবীনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সালিহীনা ওয়ারহাম্না মাআহুম বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীনা।)
ফযিলত: * খুব কঠিন বিপদে কিংবা দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হলে ক্রমবৃদ্ধি করে ২১ দিন বা ৪১ দিনে সোয়া লক্ষ বার এই দুরূদ শরীফ পড়িলে সাথে সাথে ফল পাওয়া যায়।
*প্রত্যেক ফজরের নামাযের পর ৭বার পড়লে স্বাস্থ্য অটুট থাকে, দেহশ্রী লাবণ্যময় থাকে এবং বিপদাপদ থেকে মুক্ত থাকবে।
দরূদে তুনাজ্জিনা
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَليٰ اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ صَلوٰةً تُنَجِّيْنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْأَهْوَالِ وَاْلآفَاتِ وَتَقْضِيْ لَنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْحَاجَاتِ وَتُطَهِّرُنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ السَّيِّاٰتِ وَتَرْفَعُنَا بِهَا عِنْدَكَ اَعْليٰ الدَّرَجَاتِ وَتُبَلِّغُنَا بِهَا اَقْصىٰ الْغَايَاتِ مِنْ جَمِيْعِ الْخَيْرَاتِ فِي الْحَيَاتِ وَبَعْدَ الْمَمَاتِ- اِنَّكَ عَليٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٍ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আ-লি সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন সালাতান তুনাজ্জিনা বিহা মিন জামীয়িল আহ্ওয়ালি ওয়াল আফাত, ওয়া ত্বাক্দি লানা মিন জামীয়িল হাজাত। ওয়া তুতাহ্হিনরুনা বিহা মিন জামীয়িস্ সাইয়্যিআত। ওয়া তারফউনা বিহা ইন্দাকা আলাদ্দারাজাত। ওয়া তুবাল্লিগুনা বিহা আকসাল গায়াত মিন জামীয়িল খাইরাত ফিল হয়াতি ওয়া বাদাল মামাত। ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়ি ফযিলত: * পাক সাফ স্থানে বসে ১হাজার বার পাঠ করলে গুরুতর মোকাদ্দামায় ও আশ্চর্য সুফল পাওয়া যায়।
** প্রত্যহ ফজর ও মাগরিবের পর ১১বার এই দুরূদ শরীফ পাঠ করলে কখনো চাকরি যাবেনা ও রিযিক বন্ধ হবেনা।
*** এই দুরূদ শরীফ ৩বার টাঠ করে ১মুষ্টি মাটির উপর ৩বার ফুঁক দিয়ে কবরের উপর ছিটিয়ে দিলে শিয়াল কুকুর দ্বারা ঐ কবরের লাশ নষ্ট হবেনা।
দরূদে খাইর
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَنَبِيِّنَا وَشَفِيْعِنَا وَمَوْلَآنَا مُحَمَّدٍ صَلَّي اللهَ عَلَيْهِ وَعَليٰ اٰلِهٖ وَاَصْحَابِهِ وَاَزْوَاجِهِ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ
(আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সইয়্যিদিনা ওয়া নাবিয়্যিনা ওয়া শাফীয়িনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়া আযওয়াজিহী ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।)
ফযিলত: যিনি সর্বদা এই দুরূদ শরীফ আমল করবেন- তিনি অবশ্যই দেশের সর্দার হবেন। যদি তা না হয়, তবে অন্তত স্বীয় বংশের সর্দার রূপে বা শ্রেষ্ঠ ধনী রূপে ইজ্জত পাবেন। প্রত্যহ চাশ্ত নামাযের পর ২১বার পড়লে ইন্শাআল্লাহ ধনী হয়ে যাবে।
দরূদে ফুতুহাত
بِسْمِ اللهِ اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَعَلٰي اٰلِهٖ بِعَدَدِ اَنْوَاعِ الرِّزْقِ وَالْفُتُوْحَاتِ يَابَاسِطَ الَّذِيْ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَّشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ- اُبْسُطْ عَلَيْنَا رِزْقًاوَاسِعًا مِنْ كُلِّ جِهَةٍ مِّنْ خَزَائِنِ غَيْبِكَ بِغَيْرِ مِنَّةٍ مَّخْلُوْقٍ ِبۢمَحْضٍ فَضْلِكَ وَكَرَمِكَ بِغَيْرِ حِسَابٍ-
(বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া আলা আলিহি বি আদাদি আনওয়াইর রিজক্বি ওয়াল ফুতুহাতি ইয়া বা-সিতাল্লাযী ইয়াব্সুতুর রিয্কা লিমাঁই ইয়াশাউ বিগাইরি হিসাব।উসবুত আলাইনা রিয্কাঁও ওয়াসিআম্ মিন কুল্লি জিহাতিম মিন খাযায়িনি গাইবিকা বিগাইরি মান্নাতিম্ মাখলুক্বিম বিমাহ্দি ফাদ্লি কা ওয়া কারামিকা বিগাইরি হিসাব)
ফযিলত: এই দুরূদ শরীফ ৩বার পাঠ করলে জীবনে কখনো অবনতি ঘটবে না ও ধনে-জনে সমৃদ্ধ শালী থাকবে।
দরূদে রুইয়াতে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍنِ النَّبِيِّ اْلاُمِيِّ
(আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিনি ন্নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি)
ফযিলত: হযরত শেখ আব্দুল কাদের জিলানী (রা:) বা বড় পীর (রা:) গুনিয়াতুত্তালিবীন এ লিখেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার রাতে দুই রাকাত নফল নামাজ এই নিয়্যতে পড়ে যে, প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ১বার আয়াতুল কুরসী ও ১৫বার সূরা ইখলাস এবং নামাজ শেষে এই দুরূদ শরীফ ১০০০ বার পড়বে অবশ্যই সে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখতে পাবে। যদি ঐ রাতে না দেখে তবে ২য় শুক্রবার আসার পূর্বে দেখতে পাবে। এবং তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
সাইয়্যেদা ফাতিমা (রা:) রচিত দুরূদ শরীফ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مَنْ رُوْحُهُ مِحْرَابُ الْأَرْوَاحِ وَالْمَلٰئِكَةِ وَالْكَوْنِ- اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مَنْ هُوَ اِمَامُ اْلاَنْبِيَاءِ وَالُمُرْسَلِيْنَ- اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مَنْ هُوَ اِمَامُ اَهْلِ الْجَنَّةِ عِبَادَ اللهِ الْمُؤْمِنِيْنَ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মান রুহুহু মিহরাবুল আরওয়াহি ওয়াল মলাইকাতি ওয়াল কাউনি। আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মানহুয়া ইমামুল আম্বিয়ায়ি ওয়াল মুরসালীনা। আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মানহুয়া ইমামু আহ্লিল জান্নাতি ইবাদিল্লাহিল মুমিনীন।)
দরূদে নারিয়া বা সালাতে নারিয়া
اَللّٰهُمَّ صَلِّ صَلٰوةً كَامِلَةً وَسَلِّمْ سَلَامًا تَامًّا عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدِنِ الَّذِيْ تَنْحَلُّ بِهِ الْعُقَدُ وَتَنْفَرِجُ بِهِ الْكُرَبُ وَتُقْضىٰ بِهِ الْحَوَائِجُ وَتُنَالُ بِهِ الرَّغَائِبُ وَحُسْنُ الْخَوَاتِمِ وَيُسْتَسْقَي الْغَمَامُ بِوَجْهِهٖ الْكَرِيْمِ وَعَليٰ اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ فِي كُلِّ لَمْحَةٍ وَّنَفَسٍ بِعَدَدِ كُلِّ مَعْلُوْمٍ لَكَ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ছালাতান কামিলাতান ওয়া সাল্লিম সালামান তাম্মান আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিল্লাযী তানহাল্লু বিহীল উক্বাদু ওয়া তানফারিজু বিহীল কুরাবু ওয়া তুক্বদ-বিহীল হাওয়ায়িজু ওয়া তুনালু বিহীর রাগাইবু ওয়া হুসনুল খওয়াতিমু ওয়া ইউস্ তাস্কাল গামামু বিওয়াজ হিহিল কারীম, ওয়া আলা আলিহী ওয়া ছাহবিহী ফী কুল্লি লাম্হাতিন ওয়া নাফাসিম বিআদাদি কুল্লি মালুমল্লাক্)
ফযিলত: দুরারোগ্য, বালা-মুছিবত, চাকুরী লাভে, ব্যবসার উন্নতি ও যে কোন আশা পূরণে এবং বিবাহ হওয়ার জন্য ৪৪৪৪ বার পাঠ করলে নিশ্চয়ই সফল হবে।
দুনিয়াতে জান্নাত দেখার দুরূদ শরীফ
صَلَّى اللهُ عَليٰ حَبِيْبِهٖ مُحَمَّدٍ وَاٰلِهٖ وَسلَّمَ
(ছাল্লাল্লাহু আলা হাবীবিহী মুহাম্মাদিন ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লিম।
ফযিলত: যে ব্যক্তি এই দুরূদ শরীফ একাধারে এক হাজার বার পাঠ করবে, তার মৃত্যুর পূর্বে সে অবশ্যই জান্নাতে তার স্থান ও জান্নাতের ঘর দেখতে পাবে।
দোজখের আযাব মাফ হওয়ার দুরূদ শরীফ
اَللّٰهُمَّ اِنِّي اَصْبَحْتُ اَشْهَدُكَ وَاَشْهَدُ حَمَلَةِ عَرْشِكَ وَمَلٰئِكَتِكَ وَجَمِيْعِ خَلْقِكَ اِنَّكَ اَنْتَ اللهُ لَااِلَهَ اِلاَّ اَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ وَاَنَّ مُحَمَّدً عَبْدَكَ وَرَسُوْلُكَ-
(আল্লাহুম্মা ইন্নি আস্বাহতু আশহাদুকা ওয়া আশহাদু হামালাতি আরশিকা, ওয়া মলাইকাতিকা, ওয়া জামী-ই খলক্বিকা ইন্নাকা আন্তাল্লাহু লা- ইলাহা ইল্লা আন্তা, ওয়াহ্দাকা লা-শারীকালাকা, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়া রাসূলুকা)
ফযিলত: হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম (দ:) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এই দুরূদ শরীফ সকালে বা সন্ধ্যায় ১বার পাঠ করবে, আল্লাহ তার এক চতুর্থাংশ দোজখের আজাব মাফ করবেন এবং দুইবার পাঠ করলে অর্ধেক আজাব মাফ করবেন এবং তিনবার পাঠ করলে তিন চতুর্থাংশ এবং ৪বার পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা তাকে সম্পূর্ণ দোযখের আযাব থেকে রেহাই দেবেন।
দরূদে ফাতিহ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ اَلْفَاتِحِ لِمَا اَغْلَقَ وَالْخَاتِمِ لِمَا سَبَقَ وَالنَّاصِرِ الْحَقِّ بِا لْحَقِّ وَالْهَادِيْ اِلىٰ صِرَاطِكَ الْمُسْتَقِيْمِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَعَلىٰ اٰلِهٖ وَاَصْحَابِهِ حَقَّ قَدْرِهٖ وَمُقَدَّرِهٖ العَظِيْمِ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়াসাল্লিম ওয়া বারিক আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন, আল ফাতিহি লিমা আগ্লাক্বা ওয়াল খাতিমি লিমা সাবাক্বা, ওয়ান্ না-ছিরিল হাক্কি বিল হাক্কি ওয়াল হাদী ইলা সিরাতিক্বাল্ মুসতাক্বীম। সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া আলা আলিহি ওয়া আছহাবিহী হাক্কা ক্বাদরিহী ওয়া মিক্বদারিহিল আযীম)
ফযিলত: এই দুরূদ শরীফ জীবনে একবার পড়লে তান জন্য জাহান্নাম হারাম হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার রাতে ১০০ বার পড়লে ৪০০ বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। ভীষণ মুছিবতে পডলে ৫ওয়াক্ত নামাজ বাদ এই দুরূদ শরীফ ১০০ বার এবং
ইয়া লাত্বীফু ১০০ বার পাঠ করলে ইন্শাআল্লাহ যত বড় বিপদই হোক বিপদ মুক্ত হবে। একবার এই দুরূদ শরীফ পড়লে ৬ লক্ষ দুরূদ পড়ার ছাওয়াব পাওয়া যাবে। সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হজ্জ- ওমরাহ যিয়ারতে গিয়ে পবিত্র মক্কা শরীফে ১ বার পাঠ করেন তবে আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে ৬০ হাজার কোটি, নেকী পাওয়া যাবে ৬০ হাজার কোটি, বেহেশতের মর্তবা পাবে ৬০ হাজার কোটি, গুনাহ মাফ হবে ৬০ হাজার কোটি, ৬০ হাজার কোটি গোলাম আযাদের সম পরিমান সাওয়াব পাবে, এবং ১২০ হাজার কোটি অর্জন হবে। সুবহানাল্লাহ। আর মদীনা শরীফে পড়ার সাওয়াব লিখা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। (আমলে আলো ৫ম খন্ড)
দরূদে জাওহারূল কামাল
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَليٰ عَيْنِ الرَّحْمَةِ الرَّبَّانِيَّةِ وَالْيَاقُوْتَةِ المُتَحَقِّقَةِ الْحَائِطَةِ بِمَرْكَزِ الْفُهُوْمِ وَالْمَعَانِيُّ نُوْرِ الْاَكْوَانِ الْمُتَكَوِّنَةِ الْأَدَمِيِّ صَاحِبُ الْحَقِّ الرَّبَّانِيِّ الْبَرْقُ الْاَسْطَحُ بِمَزْنِ الْاَرْيَاحِ الْمَائِلَةِ لِكُلِّ مُتَعَرِّضٍ مِّنَ الْبُحُوْرِ وَالْاَوَانِىْ نُوْرِكَ اللَّامِعُ الَّذِيْ مَلَائَةِ الْمَكَانِ- اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّم عَليٰ عَيْنِ الْحَقِّ الَّتِي تَتَجَلىّٰ مِنْهَا عُرُوْسُ الْحَقَائِقِ عَيْنِ الْمَعَارِفِ الْاَقْدَمِ صِرَاطُكَ التَّامُّ اَقْوَمُ-اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلىٰ طَلَعَةِ الْحَقِّ بِالْحَقِّ الْكَنْزِ الْاَعْظَمِ اَفَاضَتْكَ مِنْكَ اِلَيْكَ اَحَاطَةَ النُّوْرِ الْمُسْطَلَمِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَعَلىٰ اٰلِهٖ صَلَاةَ تَعْرِفُنَا بِهَا اِيَّاهُ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়াসাল্লিম আলা আইনির রাহমাতির রাব্বানিয়াতি। ওয়াল ইয়াকু-তাতিল মুতাহাক্বাক্বাতিল হা-য়িত্বাতি বিমারকাজিল ফুহুমি ওয়াল মাআনী, নূরিল আকওয়ানিল মুতাকাওয়ানাতিল আদিমি সাহিবিল হাক্কির রাব্বানী। আল বারক্বুল আস্ত্বাহি বিমান্যিল আরইয়াহিল মায়িলাতি লিকুল্লি মুতাআররিদ্বিম মিনাল বুহুরি ওয়াল আওয়ানি নুরিকাল ল্লামিউ ল্লাযী মালাআত্ বিহি কাওনুকাল হায়িত্বু বিআম্কানাতিল মাকান।
আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়াসাল্লিম আলা আইনিল হাক্কিল্লাতী তাতাজাল্লামিনহা উরুসূল হাক্বায়িক্বি আইনুল মাআরিফিল আক্বদামি সিরাত্বুক্বাত্ তাম্মু আক্বওয়াম।
আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়াসাল্লিম আলা ত্বালআতিল হাক্কি বিল হাক্কিল্ কানাযিল আযমি আফাদ্বাতক্বা মিনক্বা ইলাইকা ইহাতাতিন্ নূরিল মুত্বালসামি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ছালাতান তারিফুনা বিহা ইয়্যাহু।
ফযিলত: যে ব্যাক্তি এই দুরূদ শরীফ অন্তঃকরণে ৭ বার পাঠ করবে, পাঠ কালীন অধিকাংশ সময় তার নিকট স্বয়ং হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর বিশিষ্ট চার সাহাবী রূহানি ভাবে উপস্থিত থাকবেন। এবং যে ব্যক্তি ৭ বারের অধিক পাঠ করবেন তাকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাস ভাবে মহব্বত করবেন। আউলিয়ার দরজা লাভ করে দুনিয়া থেকে যাবেন। এবং যে নিদ্রার পূর্বে ৭ বার পড়ে পাক বিছানায় ঘুমাবে সে স্বপ্নে পেয়ারা নবীর দীদার নসীব হবে। সুবহানাল্লাহ
দরূদে ইব্রাহীমী
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلىٰ اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ كَاَِ صَلَّيْتَ عَلىٰ سَيِّدِنَا اِبْرَاهِيْمَ وَعَلىٰ اٰلِ سَيِّدِنَا اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ- اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلىٰ اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ كَاَِ بَارَكْتَ عَلىٰ سَيِّدِنَا اِبْرَاهِيْمَ وَعَلىٰ اٰلِ سَيِّدِنَا اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আ-লি সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন কামা ছাল্লাইতা আলা সাইয়্যিদিনা ইব্রাহীমা ওয়ালা আ-লি সয়্যিদিনা ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
আল্লাহুম্মা বারিক আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আ-লি সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন কামা বারাক্তা আলা সাইয়্যিদিনা ইব্রাহীমা ওয়ালা আ-লি সয়্যিদিনা ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
বরকতময় দুরূদ শরীফ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلىٰ اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ صَلٰوةً دَائِمَةً مَّقْبُوْلَةً تُوَدِّيْ بِهَا اَنَّ حَقَّهُ الْعَظِيْمِ
(আল্লাহুম্মা বারিক আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ছালাতান্ দায়িমাতান মাক্ববুলাতান তুওয়াদ্দী বিহা আন্না হাক্কাহুল আযীম)
দরূদে তাজ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَاحِبِ التَّاجِ وَالْمِعْرَاجِ وَالْبُرَاقِ وَالْعَلَمِ دَافِعِ الْبَلَاءِ وَالْوَبَاءِ وَالْقَحَطِ وَالْمَرَضِ وَالاَلَمِ اِسْمُهُ مَكْتُوْبٌ مَرْفُوْعٌ مَشْفُوْعٌ مَنْقُوْشٌ فِي اللَّوْحِ وَالْقَلَمِ سَيِّدِ الْعَرَبِ وَالْعَجَمِ جِسْمُهُ مُقَدَّسٌ مُعَطَّرٌ مُطَهَّرٌ مُنَوَّرٌ فِي الْبَيْتِ وَالْحَرَمِ شَمْسِ الضُّحىٰ بَدْرِ الدَّجىٰ صَدْرِ الْعُلىٰ نُوْرِ الْهُدٰى كَهْفِ الْوَرٰى مِصْبَاحِ الظُّلَمِ جَمِيْلِ الشِّيَمِ شَفِيْعِ الْاُمَمِ صَاحِبِ الْجُوْدِ وَالْكَرَمِ وَاللهُ عَاصِمُهُ وَجِبْرِيْلُ خَادِمُهُ وَالْبُرَاقُ مَرْكَبُهُ وَالْمِعْرَاجُ سَفَرُهُ وَسِدْرَةُ الْمُنْتَهٰى مَقَامُهُ وَقَابَ قَوْسَيْنِ مَطْلُوْبُهُ وَالْمَطْلُوْبُ مَقْصُوْدُهُ وَالْمَقْصُوْدُ مَوْجُوْدُهُ سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ خَاتَمِ النَّبِيّيْنَ شَفِيْعِ الْمُذْنَبِيْنَ اَنِيْسِ الْغَرِيْبِيْنَ رَحْمَةً لِلْعٰلَمِيْنَ رَاحَةً الْعَاشِقِيْنَ مُرَادِ الْمُشْتَاقِيْنَ شَمْسِ الْعَارِفِيْنَ سِرَاجِ السَّالِكِيْنَ مِصْبَاحِ الْمُقَرَّبِيْنَ مُحِبِّ الْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِيْنَ سَيِّدِ الثَّقْلَيْنِ نَبِيِّ الْحَرَمَيْنِ اِمَامِ الْقِبْلَتَيْنِ وَسِيْلَتِنَا فِي الدَّارَيْنِ صَاحِبِ قَابَ قَوْسَيْنِ مَحْبُوْبِ رَبِّ الْمَشْرِقَيْنِ وَالْمَغْرِبَيْنِ جَدِّ الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ مَوْلَانَا وَمَوْلىٰ الثَّقْلَيْنِ اَبِى الْقَاسِمِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ نُوْرٍ مِنْ نُوْرِ اللهِ يَا اَيُّهَا الْمُشْتَاقُوْنَ بِنُوْرِ جَمَالِهٖ صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيْمًا
(আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সায়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন, সাহিবিত্ তাজি ওয়াল মিরাজি ওয়াল বুরাক্বি ওয়াল আলাম। দা-ফিয়িল বালায়ি, ওয়াল ওবায়ি, ওয়াল ক্বাহাতি, ওয়াল মারাদ্বি, ওয়াল আলাম। ইসমুহু মাক্বতুবুন, মারফুউন, মাশফুউন, মানকূশুন, ফিল-লাওহি ওয়াল ক্বালাম। সায়্যিদিল আরাবি ওয়াল আজম। জিসমুহু মুক্বাদ্দাসুন, মুয়াত্তারুন, মতাহ্হারুন, মুনাও-ওয়ারুন, ফিল বাইতি ওয়াল হারাম। শাসছিদ্দুহা, বদরিদ্দুজা, সাদরিল-উলা, নু-রিল হুদা, কাহফিল ওয়ারা, মিসবাহিয্ যুলাম। জামীলিশ্ শিয়ামি শাফিয়িল উমামি, সা-হিবিল জু-দি ওয়াল কারাম। ওয়াল্লাহু আছিমুহু, ওয়া জিব্রীলু খাদিমুহু, ওয়াল বুরাক্বু মারকাবুহু, ওয়াল মিরাজু ছাফারুহু, ওয়া সিদরাতুল মুন্তাহা মাক্বামুহু ওয়া ক্বাবা ক্বাওসাইনি, মাতলুবুহু ওয়াল মাতলুবু, মাক্বসুদহু ওয়াল মাক্বসুদু মাওজুদুহু, সায়্যিদিল মুরসালীনা, খা-তামিন নাবিইয়্যীনা, শাফিয়িল মুযনিবীনা, আনীছিল গারীবীনা রহ্মাতাল-লিল আলামীনা, রহাতিল আ-শিক্বীনা, মুরাদিল মুশ্তাক্বীনা, শামছিল আ-রিফীনা, সিরাজিছ্ ছা-লিকিনা, মিছবাহিল্ মুর্ক্বারাবীনা, মুহিব্বিল্ ফোক্বারায়ি ওয়াল গোরাবায়ি, ওয়াল মাছাকীনা, সয়্যিদিছ্ ছাক্বলায়নি, নাবিয়্যিল হারামায়নি, ইমামিল ক্বিবলাতাইনি, ওয়াসীলাতিনা ফিদ্দারায়নি, ছাহিবি ক্বা-বা ক্বাওছাইনি, মাহ্বূবি রাব্বিল মাশরিকায়নি ওয়াল মাগরিবাইনি, জাদ্দিল হাসানি ওয়াল হুসাইনি (রাদ্বিআল্লাহু আন্হুমা) মাওলানা ওয়া মাওলাছ্ সাক্বলাইনি, আবিল ক্বাছিম মুহাম্মদ বিন আব্দিল্লাহি নূরিম মিন নূরিল্লাহ। ইয়া আয়য়ূহাল মুশতাকুনা বিনূরি জামালিহী সাল্লু আলায়হি ওয়া সাল্লিামূ তাসলীমা)
ফযিলত:মনের পবিত্রতা লাভের জন্য ফজরের নামাযের পর ৭বার, আছরের নামাযের পর ৩বার, ইশার নামাযের পর ৩ বার পড়তে হয়। এই দুরূদ শরীফ সর্বদা পড়লে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। জুমআর রাতে এশার নামায শেষে এই দুরূদ শরীফ ১৮০ বার পাঠ কওে শুলে ইন্শাআল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর জিয়ারত নসীব হবে। ১১ দিন এই আমল করলে মনের আশা পূর্ণ হবে।
হযরত আলী (রাঃ) এর দুরূদ শরীফ
صَلَوَاتُ اللهِ وَمَلَائِكَتِهٖ وَأَنْبِيَائِهٖ وَرَسُلِهٖ وَجَمِيْعِ خَلْقِهٖ عَلىٰ مُحَمَّدٍ وَاٰلِ مُحَمَّدٍ وَعَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ-
(সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহি ওয়া আম্বিয়ায়িহি ওয়া রাসূলিহি ওয়া জামীয়-ই খলকিহি আলা মুহাম্মাদিন্ ওয়া আলায়হি ওয়া আলায়হিম আস্সালামু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।)
হযরত মুসা আলায়হিস সালামের দুরূদ শরীফ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ خَاتِمِ الْأَنْبِيَاءِ وَمَعْدَنِ الْأَسْرَارِ وَمَنْۢبَعِ الْأَنْوَارِ وَجَمَالِ الْكَوْنَيْنِ وَشَرَفَ الدَّارَيْنِ وَسَيِّدَ الثَّقْلَيْنِ الْمَخْصُوْصِ بِقَابَ قَوْسَيْنِ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন খাতামুল্ আম্বিয়া-ই ওয়া মাদানিল আসরারি ওয়া মানবাইল আনওয়ারি ওয়া জামালিল কাওনায়নি ওয়া শরাফাদ্ দা-রায়নি ওয়া সায়য়াদাস্ সাক্বলায়নিল মাখসুসি বিক্বাবা কাওসায়নি।)
হাউজে কাউসারের পানি পান করার দুরূদ শরীফ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلىٰ اٰلِهٖ وَاَصْحَابِهٖ وَاَوْلَادِهٖ وَاَزْوَاجِهٖ وَذُرِّيَّتِهٖ وَاَهْلِ بَيْتِهٖ وَاَصْحَارِهٖ وَاَنْصَارِهٖ وَاَشْيَاعِهٖ وَمُحِبِّهٖ وَاُمَّتِهِ وَعَلَيْنَا مَعَهُمْ اَجْمٰعِيْنَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আ-লিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়া আওলাদিহি ওয়া আযওয়াজিহি ওয়া যুররিয়াতিহি ওয়া আহলি বায়তিহি ওয়া আসহারিহি ওয়া আরসারিহি ওয়া আশইয়ায়িহি ওয়া মুহিব্বিহি ওয়া উম্মাতিহি ওয়া আলায়না মাআহুম আজমাঈন ইয়া আরহামার রাহিমীন।)
ফযিলত: হযরত হাসান বসরী (রাঃ) বলেন, আল্লাহর যে বান্দা এবং রাসূলের যে উম্মত হাউযে কাউসারের পানি পরিতৃপ্ত সহকারে পান করতে চায়, সে যেন এই দুরূদ শরীফটি পাঠ করে।
আশা করি উপরোক্ত ছোট ছোট দরুদ শরীফ সহ বড় বড় দরুদ শরীফগুলো পড়তে পেরে আপনারা সবাই উপকৃত হতে পেরেছেন। এখানে যে যে দরুদ শরীফগুলো তুলে ধরা হয়েছে, সবগুলোই ছোট ছোট। তাই কেউ যদি choto dorud sofif পড়তে চায়, তাহলে উপরোক্ত দরুদ শরীফগুলো পড়তে পারে।
Durood sharif bangla pdf
আমাদের মধ্যে যারা যারা Durood sharif bangla pdf লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকি, তাদের প্রেক্ষিতেই উক্ত পর্বটি। সত্যি বলতে ইন্টারনেটে দরুদ শরীফ নিয়ে খুব কম সংখ্যা পিডিএফ বই রয়েছে, যা থেকে আপনি সবগুলো দরুদ শরীফ এক সাথে পেয়ে যাবেন।
Dorud sorif এর pdf ফাইল এই ক্ষেত্রে আশা করি দরকার হবে না। উপরে যে সকল তথ্যগুলো প্রোভাইড করা হয়েছে, আশা করি উক্ত ফেইজটি বুকমার্ক করে রাখলেই মূহর্তেই বা যেকোনো প্রয়োজনে আপনি দরুদ ছোট বড় দরুদ শরীফগুলো পড়তে পারবেন।
Choto dorud sorif
ছোট-বড় অনেক দরুদ শরীফ রয়েছে যার থেকে আপনার ইচ্ছা ও প্রয়োজন অনুযায়ী পড়লেই তার ফজিলত পেতে পারেন। তবে অনেকে সময় ও অলসতা ইত্যাদির কারণে Choto dorud sorif সম্পর্কে জানতে চায় এবং মজার ব্যাপার হলো আজকের আর্টিকেলে আমরা তেমন প্রায় ৪১টি ছোট দরুদ শরীফ তুলে ধরেছি। আশা করি যারা যারা দুরুদ শরীফ সম্পর্কে জানতে চান এবং নিয়ম অনুযায়ী আমল করতে চান, আপনারা উক্ত পোস্ট তথা আর্টিকেল হতে উপকৃত হতে পারেন।
যাইহোক, durood sharif bangla আর্টিকেলের আমরা শেষ প্রান্তে চলে আসছি। দরুদ শরীফ ও এর ফজিলত সম্পর্কে জানতে মনোযোগ সহকারে পুনরায় পুরো আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
Durood sharif bangla লিখে সার্চ দেওয়া কমন টার্ম
যেহেতু মুসলিমদের জন্য দরুদ শরীফ হলো ম্যাজিকের ন্যায় তাই আমাদের মধ্যে একটি কিউরিসিটি তৈরি হয়ে থাকে যে, মানুষগণ উক্ত দরুদ শরীফকে পড়তে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। তারা স্বাভাবিকভাবে নানা রকম সার্চ ব্যবহারকরে গুগলে সার্চ দিয়ে থাকে। চলুন তাঁরা কি কি লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দেয়, সেই টার্মগলো জানা যাক।
- দুরুদ শরীফ
- দুরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ
- দুরুদ শরীফ বাংলা
- দুরুদ শরীফ বাংলা অর্থসহ
- দুরুদ শরীফ বাংলা অর্থ
- বাংলা দুরুদ শরিফ
- বাংলা দুরুদ
- দরুদ শরীফ
- দুরুদ শরীফ বাংলা লেখা
- দুরুদ শরীফ বাংলা অর্থসহ ও অনুবাদ
- দুরুদ শরীফ বাংলা অর্থসহ ও অনুবাদ জানুন
- দুরুদ শরীফ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা
- দুরুদ শরিফ
- ছোট দুরুদ শরীফ বাংলা
- দুরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
- দুরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ সহ
- ছোট দুরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ সহ
- ছোট দুরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ
উপরোক্ত সার্চ টার্মগুলো ব্যবহার করেই একজন পাঠক গুগুলে দরুদ শরীফ লিখে সার্চ দিয়ে থাকে। যাইহোক, চলুন এবার নিম্ন পর্বে জানা যাক।
Durood Sharif in English লিখে সার্চ দেওয়া কমন টার্ম
Durood Sharif in English লিখে অনেকেই সার্চ দেয় আর তাদের মূল ইন্ডেন্ট থাকেই ইংরেজীর মাধ্যমে দরুদ শরীফ পড়া। যাইহোক, এরকম ইন্ডেন্ট নিয়ে দরুদ শরীফ সম্পর্কে মানুষগণ যা যা লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকে, সে টার্মগুলো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- Bangla durood sharif
- Durood sharif bangla
- Durood sharif
- Durood sharif bangla uccharon
- Durood sharif bangla lekha
- Darood sharif bangla
- Darood sharif
- Durud sharif bangla
- Durood bangla
- Durood e ibrahim bangla
- Surah durood sharif
- Durood sharif surah
- Dorot sorif bangla
- Duru sharif
- Best durood
- Bangla durood shorif
- Durood a Ibrahim
- Durood
- Durood shareef
- Best durood darood sharif
- Durud sharif bangla uccharon
- bangla milad sharif,
উপরের সবগুলোই হলো দরুদ শরীফ ইংরেজীতে চাওয়া সার্চ টার্ম। যাইহোক, এরকমভাবে হাজারো পাঠক ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকে।
Durood Sharif Bangla নিয়ে শেষ কথা
আপনারা যারা যারা Durood Sharif Bangla লিখে ইন্টারনেট প্রচুর পরিমাণে সার্চ দিয়ে থাকেন, আশা করি আজকের আর্টিকেল হতে আপনারা বেশ চমৎকারভাবে উপকৃত হতে পারবেন। কেননা এখানে ছোট-বড় প্রায় সব ধরনের দরুদ শরীফ নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও দরুদ শরীফের সকল ধরনের ফজিলত সম্পর্কেও বিস্তর আলোচনা হয়েছে।
এখানে প্রথমে দরুদ শরীফের নানা রকম ফজিলতের দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং পরোক্ষণে দরুদ শরীফ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। আমাদের পাঠকদের মধ্যে অধিকাংশ ছোট ছোট দরুদ শরীফ নিয়ে জানতে চায়, যে বিধায় অনেকগুলো ছোট দরুদ শরীফ নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। সর্বপরি, যদি আপনি এখন অবধি Durood Sharif Bangla নিয়ে বিস্তারিত ধারণা না পেয়ে থাকেন, তাহলে দয়া করে মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পুনরায় পড়ুন। আশা করি দরুদ শরীফ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
Durood Sharif Bangla সম্পর্কে আরো জানতে
E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.