E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking,...
ই সিম – eSIM কার্ড বলতে সাধারণত কি বোঝায় এবং ই-সিম কার্ড ব্যবস্থা কি? আমাদের মধ্যে বর্তমানে এরকম নানা প্রশ্ন ই সিম কার্ডকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে। ২০২২ সালে এসে যখন বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরগুলো বর্হিবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চাচ্ছে, ঠিক তখনই ই সিম কার্ডের আভির্ভাব হয়। যদিও বাংলাদেশ ২০২২ সালের এসে গ্রামীণফোন দ্ধারা ই সিমের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে, তবে সর্বপ্রথম ২০১৮ সালে মাইক্রোসফট কোম্পানি ই সিমের পরিচিত ঘটায়। ( গ্রামীণ সিম ৪জি করার নিয়ম ও GP 4g active code সম্পর্কে জানুন )
সাধারণত এতোদিন ফিজিক্যালি যেসকল সিম কার্ড আমরা ব্যবহার করতাম, তা দ্ধারা মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা পেয়ে থাকি, তবে যদি বলি বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়ার জন্য এবং তা ব্যবহার করার জন্য কোনো রকম ফিজিক্যাল সিম কার্ডের প্রয়োজন নেই, এটা কি আপনার বিশ্বাস হবে? হ্যাঁ, ফিজিক্যাল সিম কার্ড ছাড়া বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়ার জন্য যে নতুন টেকনিক কিংবা পদ্ধতি, সেটাকেই আমরা ই সিম বলে থাকি।
যাইহোক, অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে যে মূলত ই সিম esim কি বা কাকে বলে? ই-সিম – eSIM এর পূর্ণ ফর্মটি হচ্ছে (embedded SIM) সাধারণত ই সিম হলো এমন একটি ভার্চুয়াল ছোট প্রোগ্রামেবল চিপ যা ফোনের মাদারবোর্ড এর মধ্যে দেওয়া থাকে এবং সেটি অবিকল আপনার পূর্বের সিম কার্ডের ন্যায় কাজ করে থাকে। সাধারণত আমরা একটি সিঙ্গেল সিম কার্ডে একটি নির্দিষ্ট মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারি এবং সেই ক্ষেত্রেও ফিজিক্যাল সিম দরকার পড়ে। কিন্তু ই-সিমে উক্ত ঝামেলা নেই। অর্থাৎ কোনো রকম ফিজিক্যাল সিমে কার্ডের প্রয়োজন নেই পাশাপাশি আপনি বর্তমান চলমান সিমটিকে আন-ইনস্টল করে সাথে সাথেই অন্য সিম অপারেটরের নেটওয়ার্ক সেবা নিতে পারেন। মূলত এটাই হলো ইসিম বা eSIM.
যাইহোক, যেহেতু ই সিম সম্প্রতি বাংলাদেশে তার সেবা শুরু করেছে, সেহেতু এই মূহর্তে আমাদের মনে ই সিম বিষয়ক নানা রকম প্রশ্ন থাকতে পারে। চলুন এক এক করে সম্পূর্ণ প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা যাক। সর্বশেষ ই সিম esim এর সুবিধা ও অসুবিধা নিযে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। চলুন শুরু করি। ( ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার উপায় এবং ডাটা এন্ট্রি করে টাকা আয় করুণ )
কিভাবে ই সিম ব্যবহার করবেন?
পূর্বে যেমন আমরা মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা পাওয়ার জন্য ফিজিক্যাল সিম ক্রয় করে তা মোবাইলে প্রবেশ করিয়ে তারপর মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা পেতাম, এসব বর্তমানে আর কিছু লাগছে না। আপনি আপনার ই-মেইলে লগ-ইন করার মাতো করেই আপনি আপনার ই সিম অ্যাক্টিব করে ই সিম নেটওয়ার্ক সেবা পেতে পারেন। এই ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল সিমের কোনো রকম প্রয়োজনই হচ্ছে না।
সাধারণত আমাদের যে সিম কোম্পানি বা টেলিকম অপারেটর কোম্পানি রয়েছে, তাঁরা আমাদের চলমান বা নতুন সিমের এগেইনস্টে একটি নতুন কোড বা নাম্বার প্রধান করবেন, যেটি আমরা আমাদের স্মার্টফোন কিংবা মোবাইলফোনে সেট করে নিলে আমাদের মোবাইলে সিম কার্ড চালু হয়ে যাবে। ফোন, কল, ম্যাসেজিং,, ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহ প্রায় সব ধরনের কাজ করতে পারবো। তবে এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, আপনি শুধু ই সিম রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে না, এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আপনার মোবাইলটিকেও ই সিমের জন্য প্রযোজ্য করে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনার মোবাইলটি যদি ই সিম সাপোর্টেড হয়, তাহলেই আপনি ই সিম সেবা নিতে পারবেন।
বাংলাদেশে ই সিম সেবা আছে কি-না?
এর উত্তরটি হলো হ্যাঁ। ২০২১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ই সিম সেবা চালু করে। কিন্তু ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে প্রাথমিকভাবে সর্বপ্রথম গ্রামীণফোন ই সিম সার্ভিস প্রোভাইড শুরু করে। তবে এই ক্ষেত্রেও বেশ কিছু প্রতি-বান্ধকতা রয়েছে। যেমন বর্তমানের সকল মোবাইলে ই সিম সাপোর্ট করবে না। নির্দিষ্ট কিছু স্মার্টফোনে ই-সিম esim সার্পোট করে থাকে। সেগুলো কোন কোন মোবাইল ? জানতে হলে এখানে ক্লিক করে গ্রামীণফোনের অফিশিয়াল সাইট থেকে জেনে আসুন।
কখন থেকে ই সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন?
যদিও গ্রামীণফোন অফিসিয়ালি ঘোষণা দিয়েছেন যে, ৭ই মার্চ থেকে গ্রামীণফোন অনলাইন শপ এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ কিছু গ্রামীণ সার্ভিস সেন্টারে আপনারা প্রাথমিকভাবে গ্রামীণফোন ই-সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। তাদের অনলাইন শপ থেকে আপনারা ইসিম রেজি: করতে পারবেন।
ই সিম ব্যবহার করতে কি কি প্রয়োজন?
মূলত ই সিম ব্যবহার করতে হলে আপনাকে প্রথমে এমন একটি মোবাইলফোন ব্যবহার করতে হবে, যেটা সম্পূর্ণভাবে ই সিম সাপোর্টেড। আপনি ই সিম সাপোর্টেড মোবাইল ফোন সম্পর্কে ধারণা পেতে গ্রামীণফোনের সাইটে চলে গেলে বিস্তারিত একটি ফোনের লিস্ট দেখতে পাবেন ই সিম সাপোর্টেড মোবাইল যেমন- iphone 13, iphone 13 pro সহ ইত্যাদি। আপনারা এসকল মোবাইলের লিস্ট দেখতে গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুণ। তবে এখানে একটি বিষয় ক্লিয়ার যে, যেহেতু বর্তমানে ই সিম কার্ডের যুগ চলে আসছে, সেহেতু বর্তমানে কিংবা ভবিষ্যৎ এ নতুন যে সকল মোবাইল ফোন মার্কেটে আসবে, এর সবগুলোই প্রায় ই সিম esim সাপোর্টেড হবে। এই বিষয়ে কোনো রকম সন্দেহ নেই।
ই সিম নিয়ে ভুল ধারণা
যেহেতু ই সিম হলো সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিকট নতুন একটি প্রযুক্তি সেহেতু আমাদের অনেকের মাঝে ই সিম নিয়ে নানা রকম দ্ধিধা তৈরি হয়েছে। অনেকের মাঝে ই সিম নিয়ে নানা রকম ভুল ধারণাও তৈরি হয়েছে। চলুন এরকম কিচু প্রচলিত ই সিম নিয়ে তৈরি হওয়া ভুল ধারণাগুলো জানার পাশাপাশি এর সঠিক উত্তরগুলোও জেনে নিই।
- আমাদের মাঝে অনেকে ভাবে ই সিম ব্যবহার করলে হয়তো আমরা আর ফিজিক্যাল সিম কার্ড ব্যবহার করতে পারবো না। কিন্তু এই চিন্তাটি একদম ভুল। কেননা আপনি চাইলেই কিন্তু একটি মোবাইলে ই সিমের পাশাপাশি একটি ফিজিক্যাল সিম ব্যবহার করতে পারেন। এবং একইসাথে দু’টোর সার্ভিস তথা নেটওয়ার্ক উপভোগ করতে পারেন।
- আমাদের মাঝে অনেকে ভেবে থাকে যে, ই সিমের দাম নর্মাল সিমের থেকে তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে কিন্তু এই চিন্তাটিও আমাদের ভুল। ই সিমের esim দাম এবং নরমাল সিমের দাম কিন্তু একই রকমের অর্থাৎ দামের দিক থেকে একই রেঞ্জের কাছাকাছি।
- আবার অনেকে ভেবে থাকে যে, ই সিম বেশি একটা নিরাপত্তা দিতে পারে না। এটাও ভুল। সিকিউরড এর কথা আসলে, ই সিম হলো অন্য সকল সিমের থেকে সবচেয়ে বেশি সিকিউরড।
ই সিম সাপোর্টেড মোবাইল ফোনসমূহ
বর্তমানে মার্কেটে থাকা খুব সীমিত ফোনে ই সিম esim সাপোর্ট করে থাকে। যদিও ইতিমধ্যে গ্রামীণফোন তাদের অফিশিয়াল সাইটে ই-সিম সাপোর্টেড মোবাইলফোনের নামগুলো খুব ভালোভাবে স্পষ্ট করে উল্রেখ করেছে। আলোচনা বিলম্ব না করে চলুন জেনে নিই ই সিম সাপোর্টেড মোবাইল ফোনসমূহের নামগুলো-
- আইফোন ১১ সিরিজ: আইফোন ১১, আইফোন ১১ প্রো, আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্স।
- আইফোন ১২ সিরিজ: আইফোন ১২ মিনি, আইফোন ১২, আইফোন ১২ ম্যাক্স, আইফোন ১২ ম্যাক্স প্রো।
- আইফোন ১৩ সিরিজ: আইফোন 13 মিনি, আইফোন ১৩, আইফোন ১৩ প্রো, আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স।
- আইফোন এক্স সিরিজ: আইফোন এক্সএস, আইফোন এক্সএস ম্যাক্স, আইফোন এক্সআর।
- Samsung Galaxy S20
- Samsung Galaxy S20+
- Samsung Galaxy S20 Ultra
- Samsung Galaxy S21
- Samsung Galaxy S21+ 5G
- Samsung Galaxy S21+ Ultra 5G
- Samsung Galaxy S22
- Samsung Galaxy Note 20
- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5G
- Samsung Galaxy Fold
- Samsung Galaxy Z Fold2 5G
- Samsung Galaxy Z Fold3 5G
- Samsung Galaxy Z Flip
- Samsung Watch
- Google Pixel 2 (
- Google Pixel 2 XL
- Google Pixel 3
- Google Pixel 3 XL
- Google Pixel 3a
- Google Pixel 3a XL
- Google Pixel 4
- Google Pixel 4a
- Google Pixel 4 XL
- Google Pixel 5
- Google Pixel 5a
- Google Pixel 6
- Google Pixel 6 Plus.
- Huawei P40
- Huawei P40 Pro
- Huawei Mate 40 Pro
- Motorola Razr 2019
- Nuu Mobile X5
- Gemini PDA
- Rakuten Mini
- Oppo Find X3 Pro
- Oppo Reno 5A
- Oppo Reno6 Pro 5G
বর্তমানে মার্কেটে থাকা উপরোক্ত মোবাইল ফোনগুলোতে ইসিম খুব সহজেই সাপোর্টে করবে। তবে যেহেতু স্মার্টফোন ইন্ড্রাস্ট্রিগুলো দিন দিন বেশ উন্নত হচ্ছে এবং তাদের নতুন সিরিজের ফোনগুলো খুব দ্রুত মার্কেটে নিয়ে আসছে, সেহেতু এটা আশা করা যায় যে, ২০২২-২৩ সালের পরের প্রায় সবগুলো মোবাইলেই ই সিম সাপোর্ট করবে এবং সেই মোবাইলগুলো হবে ই সিম সাপোর্টেড স্মার্টফোন।
ই সিম ব্যবহারকারী দেশ সমূহ
যদি অতি দ্রুত ই সিমের esim ব্যবহার বাড়ছে, তবে এখনো অবধি খুব হাতেগুণা কয়েকটি দেশে বর্তমানে ই সিম ব্যবহার করছে। আর ই সিম ব্যবহারকারী সেই দেশগুলো হলো-
- অস্ট্রিলিয়া
- কানাডা
- ক্রোশীইয়া
- ভারত
- স্পেন
- যুক্তরাজ্য
- যুক্তরাষ্ট্র
- চেজ রিপাবলিক
- জার্মানি
- হাঙ্গেরি
- বাংলাদেশ সহ ইত্যাদি দেশ
প্রাথমিকভাবে উল্লেখিত দেশগুলো বর্তমানে ই সিম ব্যবহার করে যাচ্ছে। তবে দিন দিন এই দেশের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলছে।
ই সিমের সুবিধা সমূহ
সুবিধা ও অসবিধার দিক থেকে ই সিমের সুবিধার দিকটিই বেশি। একজন ইউজার যদি ই সিম ব্যবহার করা শুরু করে, তাহলে সে কেমন সুবিধা উপভোগ করতে পারে তা নিয়েই এখানে আলোচনা হবে। ই সিমের সুবিধাগুলো হলো-
- এখন আর ফিজিক্যাল সি কার্ড ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।
- ই সিম সাপোর্টেড মোবাইল ফোনে সিম কার্ডের জন্য এক্সট্রা কোনো রকম স্লড ব্যবহার করার দরকার পড়ে না। এতে করে আপনার ফোনটি পূর্রেব ফোনের চেয়ে অনেকটা স্লিম হবে।
- আপনার ফোনটি হারিয়ে গেলে সিম রিপ্রেসমেন্টের কোনো রকম ঝামেলা নেই। অর্থাৎ যদি মোবাইলটি হারিয়ে যায়, তখন আপনি ইনস্টেন্ট অন্য একটি মোবাইলে আপনি উক্ত কোড বা নাম্বারটি ব্যবহার করে আপনার ই সিমটি ব্যবহার করতে পারেন।
- ঘন ঘন সিম কার্ড পরিবর্তন করার ঝামেলা নেই। অর্থাৎ বার বার সিমের স্লড খোলে তা ফিজিক্যালি রিপ্লেস করানোর ঝামেলা নেই।
- একই মোবাইলে আপনি একাধিক ই সিম ব্যবহার করতে পারবেন। সিম নিয়ে কোনো রকম প্রতি বান্ধকতা নেই।
- অনেকগুলো ই সিম মোবাইলে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনোটি ব্যবহার করতে পারবেন।
- ই সিম হলো পরিবেশ-বান্ধব সিম কার্ড। এটি দ্ধারা পরিবেশের ক্ষতির কোনো রকম আশঙ্কা নেই।
- অন্য সকল সিম কার্ড থেকে ই সিম বেশি সিকিউরড।
- মোবাইল সেবা প্রতিষ্ঠান কিংবা দোকানে গিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন কিংবা সিম ক্রয় করার প্রয়োজন নেই।
উপরোক্ত সুবিধাগুলো হলো বর্তমান ই সিমের সুবিধাগুলো। একজন ই সিম ব্যবহারকারী খুব সহজেই উল্লেখিত সুবিধাগুলো পেতে পারে।
ই সিম কার্ডের অসুবিধা সমূহ
যদিও ই সিমের অসিবিধা দিক থেকে বেশি কিছু পাওয়া যায় নি কেননা এখনো এর ইউজার সিমিত। যদি ইউজার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তাহলে ধীরে ধীরে এর অসুবিধাগুলো প্রকাশ ভাবে। তবে প্রাথমিকভাবে যে সকল অসুবিধাগুলো একজন ই সিম ব্যবহারকারী সম্মখীন হতে পারে সেগুলো হলো-
- নতুন অবস্থায় ই সিমের অনেক সেটিংস সম্পর্কে অবগত না থাকায় হিমশিম খাওয়া।
- মার্কেটে আসা ই সিম সাপোর্ডে নতুন মোবাইল ফোন ক্রয় করা।
- পুরাতন মোবইল ফোনগুলো ই সিম সাপোর্ট না করা সহ ইত্যাদি।
মূলত এই মূহর্তে ইউজার সংখ্যা সীমিত হওয়ার কারণে ই সিমের অসুবিধা এখন অবধি বেশ ভালোভাবে প্রকাশিত হয় নি।
ই সিম কার্ড নিয়ে শেষ কথা
যেহেতু উপরে আমরা ই সিম কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ধারণা পেয়েছি, তাই আশা করি ইতিমধ্যে আমাদের মধ্যে আর ই সিম নিয়ে দ্ধিধা নেই। আশা করি আপনারা ই সিম সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো একটি ধারণা পেয়েছেন। আমরা নিশ্চিত কিন্তু প্রযুক্তিগত অ্যাডভেন্টেজের দিকে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আর সময়ের সাথে সাথে এসব টেকনোলজি তথা প্রযুক্তির সাথে নিজেকে আপডেট রাখার এখনি উপযুক্ত সময়।
যেহেতু বাংলাদেশে ইতিমধ্যে গ্রামীণফোন তাদের গ্রাহকদের জন্য ইতিমধ্যে ই সিম সেবা দেশে নিয়ে আসছে, সেহেতু প্রযুক্তির সাথে তাল মিলেয়ে চলতে আমাদেরও বেশ সহজ হবে। আর পাশাপাশি উপরোক্ত যে সুবিধাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোও আমরা পেতে পারি গ্রামীণফোন ই সিম ব্যবহার করার মাধ্যমে। আরকটি বিষয় স্পষ্ট যে, ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ অন্য সকল সিম অপারেটর তথা রবি, এয়ারটেল, টেলিটক, বাঙ্গালিংক সহ অন্য সকল সিম অপারেটর খুব তাড়াতাড়ি তাদের নেটওয়ার্ক সেবা ই সিমে রূপান্তর করে নিবে।
তাই এখন হতেই আমাদেরকে ই সিম নেটওয়ার্ক সেবা নিয়ে সচেতন হতে হবে। সার্বিকভাবে আশা করা যায় যে, খুব অতি দ্রুত বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে গ্রামীণফোন তাদের ই সিম সার্ভিস সম্প্রসারণ করবে এবং সাথে সাধে অন্য সকল সিম অপারেটরগুলোও। আশা করি আজকের আর্টিকেল দ্ধারা আপনারা ই সিম সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ধারণা পেয়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।
ই সিম সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
২০২১ সালের পূর্বের বেশিরভাগ মোবাইলগুলোতে ই সিম সাপোর্ট করে না। তাই আপনার হাতের মোবাইলটি যদি iPhone 13 or iPhone 13 pro কিংবা Samsung s21 ultra টাইপের হয়ে থাকে, তাহলে ই সিম আপনার মোবাইলে সাপোর্ট করে থাকবে।
যদিও গ্রামীণফোন প্রাথমিকভাবে বলেছে যে, একজন ইউজার এক সাথে একাধিক ই সিম ব্যবহার করতে পারবে। সুতরাং একজন ইউজার এক/দুই এর অধিক ই সিম ব্যবহার করতে পারবে।
গ্রামীণফোন ই সিম সম্পর্কে আরো জানতে
E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.