এই পোস্টে নারী কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হয়েছে। এই প্রশ্ন গুলো সৃজনশীল প্রশ্নের ক নাম্বারের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞানমূলক প্রশ্ন পড়ার মাধ্যমে সৃজনশীল প্রশ্নের ক নাম্বার সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারবেন। এই সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন কবিতার আলোকে তৈরি করা হয়েছে। নিচে থেকে উত্তর সহ প্রশ্ন পড়ুন অথবা পিডিএফ সংগ্রহ করুন।
নারী কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
এই অংশে নারী কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন গুলো শেয়ার করেছি। যারা যারা ছোট প্রশ্ন পড়ার জন্য খুজতেছিলেন এখান থেকে পড়ে নিন।
প্রশ্ন ১। কার চোখে নারী-পুরুষে কোনো ভেদাভেদ নেই?
উত্তর: কবির চোখে নারী-পুরুষে কোনো ভেদাভেদ নেই ।
প্রশ্ন ২। কবি কাদেরকে বিজয়লক্ষ্মী বলেছেন?
উত্তর: কবি নারীদেরকে বিজয়লক্ষ্মী বলেছেন।
প্রশ্ন ৩। যে যুগে পুরুষরা দাস ছিল না, সে যুগে নারীরা কী ছিল?
উত্তর: যে যুগে পুরুষরা দাস ছিল না, সে যুগে নারীরা দাসী ছিল।
প্রশ্ন ৪। বিশ্বের কল্যাণকর সৃষ্টি কীভাবে হয়েছে?
উত্তর: নারী আর পুরুষের সম্মিলিত চেষ্টায় বিশ্বের কল্যাণকর সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশ্ন ৫। নারীর সিঁদুর বিসর্জন কোথায় উল্লেখ নেই?
উত্তর: নারীর সিঁদুর বিসর্জন ইতিহাসে উল্লেখ নেই ।
প্রশ্ন ৬। বড় বড় অভিযানে কারা সেবা দান করল?
উত্তর: বড় বড় অভিযানে বোনেরা সেবা দান করল।
প্রশ্ন ৭৷ জগতের বড় বড় অভিযান কাদের ত্যাগে মহীয়ান?
উত্তর: মাতা, ভগ্নি ও বধূদের।
প্রশ্ন ৮। বীরের স্মৃতিস্তম্ভের গায়ে কার কথা লেখা নেই?
উত্তর: বীরের স্মৃতিস্তম্ভের গায়ে নারীর কথা লেখা নেই ।
প্রশ্ন ৯। জয়ী পুরুষদের কারা প্রেরণা দিয়েছে?
উত্তর: জয়ী পুরুষদের নারীরা প্রেরণা দিয়েছে।
প্রশ্ন ১০। আজ কিসের যুগ?
উত্তর: আজ সাম্যের যুগ।
প্রশ্ন ১১। ‘সিঁথির সিঁদুর দিল’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: স্বামী হারানোকে বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন ১২। কারা হৃদয় উপাড়ি দিল?
উত্তর: মাতারা হৃদয় উপাড়ি দিল।
প্রশ্ন ১৩। পাপ-তাপ-বেদনা সৃষ্টিতে নারীর ভূমিকা কতটুকু?
উত্তর: পাপ-তাপ-বেদনা সৃষ্টিতে নারীর ভূমিকা অর্ধেক।
প্রশ্ন ১৪। এ যুগে কেউ কারও কী থাকবে না?
উত্তর: এ যুগে কেউ কারও বন্দি থাকবে না।
প্রশ্ন ১৫। কোন যুগ বাসি হয়েছে?
উত্তর: যে যুগে নারীরা দাসী ছিল, যে যুগ বাসি হয়েছে।
প্রশ্ন ১৬। নরের বীরত্বের কথা কোথায় লেখা আছে?
উত্তর: নরের বীরত্বের কথা ইতিহাসে লেখা আছে।
নারী কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন ১৭। কাজী নজরুল ইসলাম নর-নারী উভয়কে কী হিসেবে দেখেন?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম নর-নারী উভয়কেই মানুষ হিসেবে দেখেন।
প্রশ্ন ১৮। ১ম বিশ্বযুদ্ধে কাজী নজরুল ইসলাম কোন পল্টনে যোগ দেন?
উত্তর: ১ম বিশ্বযুদ্ধে কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালি পল্টনে যোগ দেন।
প্রশ্ন ১৯। মহীয়ান শব্দটি ‘নারী’ কবিতায় কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: মহীয়ান শব্দটি ‘নারী’ কবিতায় মহিমান্বিত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
প্রশ্ন ২০। পুরুষদের বিজয়ের পেছনে কাদের প্রেরণা ছিল?
উত্তর: পুরুষদের বিজয়ের পেছনে নারীদের প্রেরণা ছিল।
প্রশ্ন ২১। কাজী নজরুল ইসলাম কত বছর বয়সে কঠিন রোগে আক্রান্ত হন?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম তেতাল্লিশ বছর বয়সে কঠিন রোগে আক্রান্ত হন।
প্রশ্ন ২২। কত সালে বাঙালি পল্টন ভেঙে দেওয়া হয়?
উত্তর: ১৯১৯ সালে বাঙালি পল্টন ভেঙে দেওয়া হয়।
প্রশ্ন ২৩। ইতিহাসে কোনটি লেখা নেই?
উত্তর: কত নারী সিঁথির সিঁদুর দিল সেই হিসাব ইতিহাসে লেখা নেই।
প্রশ্ন ২৪। নজরুলের রচনায় কিসের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়?
উত্তর: নজরুলের রচনায় সাম্যবাদের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ২৫। কে সাম্যের গান গায়?
উত্তর: কবি সাম্যের গান গায়।
প্রশ্ন ২৬। কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রশ্ন ২৭। কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতাটি সাপ্তাহিক ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন ২৮। ‘নারী’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
উত্তর: ‘নারী’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।
প্রশ্ন ২৯।. ‘ডঙ্কা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ডঙ্কা শব্দের অর্থ হলো জয়ঢাক।
৩০। ‘নারী’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
উত্তরঃ নারী’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।
৩১। বিজয়-লক্ষ্মী নারী’ অর্থ কী?
উত্তরঃ বিজয়-লক্ষ্মী নারী অর্থ হলাে— জয়ের নিয়ন্তা দেবী রূপ নারী।
৩২। ‘নারী’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
নারী’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।
৩৩। মহীয়ান শব্দটি নারী’ কবিতায় কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তরঃ মহীয়ান শব্দটি নারী’ কবিতায় মহিমান্বিত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
৩৪। কাজী নজরুল ইসলাম নর-নারী উভয়কে কী হিসেবে দেখেন?
উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম নর-নারী উভয়কে মানুষ হিসেবে দেখেন।
নারী কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
এখানে নারী কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। যা সৃজনশীল প্রশ্নের খ নাম্বারের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিচের দেওয়া প্রশ্ন গুলোও পড়ে নিবেন।
১। কবি বর্তমান সময়কে ‘বেদনার যুগ” বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ
অধিকারের দিক থেকে নারী ও পুরুষের সমতা বিধানের জন্য কবি, বর্তমান সময়কে বেদনার যুগ বলেছেন।বর্তমান যুগ নারী-পুরুষের সমঅধিকারের যুগ। একসময় নারীরা ছিল পুরুষের দাসী। পুরুষ নারীর ব্যথা-বেদনার প্রতি কোনাে গুরুত্বই দিত না। কিন্তু সময় এখন পাল্টেছে। এ সময়ে এসে নর-নারী পরস্পরের ব্যথার সমভাগী হবে এটাই কবির প্রত্যাশা। আর এ ভাবনা থেকেই কবি এ যুগকে বেদনার যুগ বলেছেন।
২। ‘সাম্যের গান’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ
সাম্যের গান’ বলতে কবি নারী-পুরুষের সমঅধিকারের চেতনাকে বুঝিয়েছেন।মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় নারীর অবদান পুরুষের চেয়ে কোনাে অংশেই কম নয়। কবি কাজী নজরুল ইসলামের কাছে নর-নারীর প্রধান পরিচয় মানুষ হিসেবে। তিনি নর-নারীর সমঅধিকারের প্রতি বিশ্বাসী। এখানে কোনাে ভেদাভেদ রাখতে তিনি আগ্রহী নন। সাম্যের গান বলতে কবি এ বিষয়টিকেই বুঝিয়েছেন।
৩। কবির চোখে পুরুষ-রমণী কোনাে ভেদাভেদ নেই কেন?
উত্তরঃ কবি সাম্যবাদী মানসিকতার অধিকারী বলেই তাঁর দৃষ্টিতে পুরুষরমণীতে কোনাে ভেদাভেদ নেই। সাম্যবাদী কবি নারী-পুরুষ উভয়কেই মানুষ হিসেবে দেখেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, মানবসভ্যতা নির্মাণে নারী-পুরুষের অবদান সমান। তাই তাে নারী-পুরুষে কোনাে ভেদাভেদ দেখন না তিনি।
৪। পীড়ন করিলে সে-পীড়ন এসে পীড়া দেবে তােমাকেই’ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ
নারীর প্রতি অত্যাচার করলে, সে অত্যাচারজনিত ক্ষতির শিকার সমানভাবে হতে হবে পুরুষকেও।বর্তমান যুগ সাম্যের, বর্তমান যুগ বেদনার যুগ। জনগণের সমান অধিকার স্বীকার করে নেওয়ার যুগ। এ যুগে নারী-পুরুষ সবাই সব ক্ষেত্রে সমান মর্যাদার অধিকারী। এখন আর নারীদের প্রতি পূর্বেকার সময়ের মতাে অত্যাচার, নির্যাতন করা চলবে না। নারী-পুরুষ মিলে সমতার ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্রে কাজ করে সভ্যতাকে অগ্রগামী করতে হবে। সমাজে শান্তিশ্রী বৃদ্ধি করতে হবে। আর এ সময় যদি কোনাে পুরুষ নারীর প্রতি পীড়ন বা অত্যাচার করে, তার জন্য ওই পুরুষও সমান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখন সময় সমতার ভিত্তিতে নারী-পুরুষের প্রীতিপূর্ণ সহ অবস্থানের। এ কথাই প্রশ্নোত্ত চরণে বােঝানাে হয়েছে।
৫। পীড়ন করিলে সে-পীড়ন এসে পীড়া দেবে তােমাকেই’ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ
নারীর প্রতি অত্যাচার করলে, সে অত্যাচারজনিত ক্ষতির শিকার সমানভাবে হতে হবে পুরুষকেও।বর্তমান যুগ সাম্যের, বর্তমান যুগ বেদনার যুগ। জনগণের সমান অধিকার স্বীকার করে নেওয়ার যুগ। এ যুগে নারী-পুরুষ সবাই সব ক্ষেত্রে সমান মর্যাদার অধিকারী। এখন আর নারীদের প্রতি পূর্বেকার সময়ের মতাে অত্যাচার, নির্যাতন করা চলবে না। নারী-পুরুষ মিলে সমতার ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্রে কাজ করে সভ্যতাকে অগ্রগামী করতে হবে। সমাজে শান্তিশ্রী বৃদ্ধি করতে হবে। আর এ সময় যদি কোনাে পুরুষ নারীর প্রতি পীড়ন বা অত্যাচার করে, তার জন্য ওই পুরুষও সমান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখন সময় সমতার ভিত্তিতে নারী-পুরুষের প্রীতিপূর্ণ সহ অবস্থানের। এ কথাই প্রশ্নোত্ত চরণে বােঝানাে হয়েছে।
শেষ কথা
আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের অনেক ভালোলেগছে এবং এই পোস্ট থেকে নারী কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম শিক্ষামূলক আরও পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকুন। অষ্টম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্রের অনেক পোস্ট এই ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হয়েছে। পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আরও দেখুনঃ
নারী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – পিডিএফ।
নারী কবিতা- কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা ১ম পত্র ৮ম শ্রেণি