তৈলচিত্রের ভূত জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর

তৈলচিত্রের ভূত জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
ekram145
UX/UI Designer at - Adobe

Sharing is caring!

এই পোস্টে তৈলচিত্রের ভূত জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘তৈলচিত্রের ভূত’ ছােটগল্পটি অতিপ্রাকৃত ঘটনার আশ্রয়ে রচনা করেছেন। এটি কিশাের উপযােগী রচনাসমুহের অন্তর্ভূক্ত একটি ছােটগল্প। সমাজে ভূত প্রেতে বিশ্বাস নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচলিত কুসংস্কার যে ভিত্তিহীন সেই বিষয়টি এ গল্পে প্রতিফলিত হয়েছে।গল্পে নগেন কলেজ পড়ুয়া কিন্তু সে ভূত প্রেতে বিশ্বাস করে। সে বড়লােক মামার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করে।

তবে মামার কৃপণ স্বভাবের কারনে তার প্রতি নগেনের কখনই অন্তর থেকে শ্রদ্ধাভক্তি ছিল না। যেটুকু ছিল তা নিতান্তই দায়ে পড়ে। অথচ মৃত্যুর আগে কী যেন ভেবে মামা তার নিজের ছেলেদের ভাগের সমান অংশের টাকা তার নামেও উইল করে গেছেন কিন্তু জীবিত অবস্থায় মামা তার সংগে যেমন ব্যবহারই করুন না কেন, মৃত্যুর পর মামার এ রকম উদারতার কথা ভেবে পরলােকগত মামার প্রতি শ্রদ্ধভক্তিতে তার মন ভরে ওঠে। সারাজীবন শ্রদ্ধাভক্তির ভান করে আমাকে সে ঠকিয়েছে।

তৈলচিত্রের ভূত জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন-১। পরাশর ডাক্তার কোথায় বসে চিঠি লিখেছিলেন ?
উত্তরঃ পরাশর ডাক্তার নিজের প্রকান্ড লাইব্রেরিতে বসে চিঠি লিখেছিলেন।

প্রশ্ন-২। নগেনের মামার গায়ে কিসের পাঞ্জাবি ছিল ?
উত্তরঃ নগেনের মামার গায়ে মটকার পাঞ্চাবি ছিল ।

প্রশ্ন-১১। ‘উদভ্রান্ত’ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর: উদভ্রান্ত’ শব্দের অর্থ-বিহবল , দিশেহারা, হতজ্ঞান।

প্রশ্ন – ০৩। তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ?
উত্তরঃ ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পটি ‘মৌচাক’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

প্রশ্ন-০৪। লাইব্রেরির দেয়ালে কয়টি তৈলচিত্র ছিল।
উত্তরঃ লাইব্রেরির দেয়ালে তিনটি তৈলচিত্র ছিল।

প্রশ্ন-০৫। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু সাল কত ?
উত্তরঃ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু সাল ১৯৫৬।

প্রশ্ন-৬। পরাশর পেশায় কী ছিলেন ?
উত্তর : পরাশর পেশায় চিকিৎসক ছিলেন।

প্রশ্ন-৭। নগেনদের বাড়ির লাইব্রেরিটি কার আমলের?
উত্তরঃ নগেনদের বাড়ির লাইব্রেরিটি নগেনের দাদামশায়ের আমলের ।

প্রশ্ন-০৮। ‘তৈলচিত্রের ভূত’ কোন জাতীয় রচনা ?
উত্তরঃ ‘তৈলচিত্রের ভূত’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কিশাের – উপযােগী ছােটগল্প।

প্রশ্ন-৯। পরাশর ডাক্তার চোখ বুজে ছিলেন কত মিনিট ?
উত্তরঃ পরাশর ডাক্তার পাঁচ মিনিট চোখ বুজে ছিলেন ।

প্রশ্ন-১০। নগেনের মামার ছবি কোথায় ছিল ?
উত্তরঃ নগেনের মামার ছবি লাইব্রেরিতে ছিল।

প্রশ্ন-১১। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় জন্ম কত সালে ?
উত্তরঃ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৮ সালে জন্ম গ্রহণ করে।

প্রশ্ন-১২। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাঝির ছেলে’ কী ধরনের রচনা ?
উত্তরঃ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাঝির ছেলে একটি কিশাের উপন্যাস।

প্রশ্ন-১৩। রুপার ফ্রেমে বাল্ব দুটো লাগিয়েছিল কে ?
উত্তর : রূপার ফ্রেমে বাল্ব দুটো লাগিয়েছিল নগেনের মামাতাে ভাই পরেশ।

প্রশ্ন-১৪। ‘ভূত’ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ ভূত শব্দের অর্থ হলাে-প্রেতাত্ম ।

প্রশ্ন-১৫। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিশাের-উপযােগী গল্পের সংখ্যা কত ?
উত্তরঃ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিশাের-উপযােগী গল্পের সংখ্যা ২৭।

আরও দেখুনঃ তৈলচিত্রের ভূত MCQ প্রশ্নের উত্তর- PDF

তৈলচিত্রের ভূত অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

এখানে তৈলচিত্রের ভূত গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। এই প্রশ্ন গুলো অনুশীলনের মাধ্যমে সৃজনশীল প্রশ্নের খ নাম্বার সম্পর্কে ধারনা পেয়ে যাবেন।

প্রশ্ন-০১। ‘গাধাও তােমার চেয়ে বুদ্ধিমান’-কথাটি কে, কোন প্রসঙ্গে বলেছিলেন ?

উত্তরঃ উক্তিটি পরাশর ডাক্তার, নগেনের হতবুদ্ধি দেখে করেছিলেন।তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পে নগেন তার মামার ছবি ধরে ধাক্কা খাওয়ার কারণ হিসেবে মনে করে ছবিতে ভূত আছে। এই সমস্যাটি সে পরাশর ডাক্তারের কাছে তুলে ধরে । পরাশর ডাক্তার এ ঘটনার কারণ উদঘাটন করতে গিয়ে দেখেন ছবির ফ্রেমটি রুপার তৈরি এবং তার ভেতরে দুটি ইলেকট্রিক বাল্ব লাগানাে হয়েছে। যার ফলে নগেন ইলেকট্রিক শক খেয়ে বারবার মনে করত যে, ছবি ভেতরে ভূত আছে। তার এমন হতবুদ্ধিতার পরিচয় পেয়ে পরাশর ডাক্তার আলােচ্য উক্তিটি করেন।

প্রশ্ন-০২। “তুমি একটি আস্ত গর্দভ নগেন।”-উক্তিটির কারণ কী?

উত্তরঃ ডাক্তার নগেনকে তার নির্বুদ্ধিতার জন্য তাকে আস্ত গর্দভ বলেছিলেন।আমাদের সমাজের সচারাচর স্থলবুদ্ধির লােককেই গর্দভ বলা হয়। নগেনকে পরাশয় ডাক্তারের গর্দভ বলার কারণ, নগেন তার মামার তৈলচিত্র ধরে ধাক্কা খাওয়ার কার্যকারণ অনুসন্ধান না করে তাকে কোনাে অশরীরী আত্মার ধাক্কা বলে মনে করেছে। অথচ সেখানে ছবির সঙ্গে যে দুটি ইলেকট্রিক বা ফিট করা আছে, সেই তথ্য পরাশর ডাক্তারকে সে দেয়নি। এ কারণে ডাক্তার নগেনকে অম্ভি গর্দভ বলেছে।

প্রশ্ন-০৩। মামার তৈলচিত্রে প্রণাম করার কথা নগেনের মনে হলাে কেন?

উত্তরঃ মামার প্রতি কৃতজ্ঞতায় ও শ্রদ্ধায় মামার তৈলচিত্র প্রণাম করার কথা নগেনের মনে হলাে।মামা মারা যাওয়ার পর নগেন জানতে পারে যে, নিজের ছেলেদের সমান অর্থ তিনি নগেনের জন্য রেখে গেছেন। নগেন বুঝতে পারে মামা বাইরে কঠোর ব্যবহার করলেও নগেনকে নিজের ছেলের মতােই ভালােবাসতেন। কিন্তু নগেন এতদিন তা বুঝতে না পেরে মামার প্রতি শ্রদ্ধার ভান করেছে। এখন বুঝতে পেরে মামার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় মামার তৈলচিত্রে প্রণাম করার কথা নগেনের মনে হলাে।

প্রশ্ন-৪। নগেনের মনে দারুণ লজ্জা আর অনুতাপ জেগেছিল কেন ?

উওরঃ মামাকে সারা জীবন ভক্তি-শ্রদ্ধার ভান করে ঠকিয়েছে ভেবে নগেনের মনে দারুণ লজ্জা আর অনুতাপ জেগেছিল।নগেন তার মামার বাড়িতে থেকে কলেজে পড়ে। মামা বড়লােক কিন্তু কৃপণ। মামার কাছ থেকে খুব একটা স্নেহ -ভালােবাসা নগেন পায় নি। কিন্তু মারা যাওয়ার আগে মামা নগেনকে নিজ ছেলেদের প্রায় সমান টাকাকড়ি দিয়ে গেছেন। এটা জানার পর মামার প্রতি তার ভক্তি-শ্রদ্ধা বেড়েযায় আর সে মনে মনে দারুণ লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়। কারণ সারা জীবণ মামাকে সে ভক্তি আর ভালােবাসার ভান করে ঠকিয়েছে।

শেষ কথা

আশা করছি এই পোস্ট আপনাদের ভালোলেগেছে এবং এখান থেকে তৈলচিত্রের ভূত MCQ প্রশ্নের উত্তর PDF সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য পেতে আমার সাথেই থাকুন। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষামূলক পোস্ট শেয়ার করা হয়।

আরও দেখুনঃ

তৈলচিত্রের ভূত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর। পিডিএফ

তৈলচিত্রের ভূত -মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮ম শ্রেণি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *