নাকের পলিপাস (মাংস) দূর করার প্রাকৃতিক ৫টি উপায়

নাকের পলিপাস দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
BanglaTeach
E-Haq
Digital Marketer at- BanglaTeach

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking,...

Sharing is caring!

নাকের পলিপাস দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
নাকের পলিপাস দূর করার প্রাকৃতিক উপায়

নাকের পলিপাস দূর করার প্রাকৃতিক উপায় – Natural ways to get rid of nasal polyps হলো মূলত আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে একদম প্রাকৃতিক উপায়ে নাকের পলিপাস দূর করা। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, দৈনন্দিন জীবনের কি কি অভ্যাসে পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে? উপায়গুলো জানার পূর্বে নাকের পলিপাস সম্পর্কিত আনুসাঙ্গিক বেশ কিছু জিনিস জেনে নেওয়া যাক।

আপনাকে যদি প্রশ্ন করি, নাকের পলিপাস কেন হয়ে থাকে? নাকের পলিপাস হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো দীর্ঘদিন ধরে নানা রকম পঞ্চ-ইন্দ্রিয়গত সমস্যায় ভোগা বা জর্জরিত থাকা। এটা হতে দীর্ঘদিন ধরে জ্বর থাকা, সর্দি, ঠান্ডা লেগে থাকা, কাঁশিসহ মারাত্মক রকমের এলার্জি থাকার কারণে মূলত নাকের মধ্যে পলিপাস হওয়ার বেশ সম্ভাবনা থাকে। তবে বর্তমানে আমাদের অনেকে সচেতন। যে বিধায় উল্লেখিত সমস্যাগুলো দেখলেই আমরা চিকিৎসা নিয়ে নিই। যদি কেউ উক্ত সমস্যাগুলো নিয়ে অনেকদিন যাবত বিলম্ব করে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে থাকে, তাদের ক্ষেত্রেই নাকের পলিপাস তৈরি হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়।

সবার জ্ঞাতার্থে একটি জিনিস জানিয়ে রাখা ভালো যে, নাকের পলিপাস সাধারণত দুই ধরনর হয়ে  থাকে। তাহেল সেগুলো কি?

  • ইটময়রেল
  • মেক্সিলারি এন্ট্রোকনাল পলিপ

উপরের দুই ধরনের পলিপাস সাধারণত ব্যক্তিবেধে সবার মাঝে লক্ষণীয়।

ইটময়রেল

ইটময়রেল সাধারণত আমাদের নাকের উপর একটি সেতু হিসেবে কাজ করে থাকে। এক এক করে  অনেকগুলো কোষের সমন্বয়ে তৈরি একটি ঝিল্লি। যেহেতু আমাদের দেহের কোষের দেয়ালগুলো সাধারণত পাতলা হয়ে থাকে তাই এগুলোতে সহজেই পানি জমে ফুলে যায়। ফলাফলসরূপ রোগীর নাক প্রায় বন্ধ হয়ে যায় এবং নিঃশ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয়। আর এই পলিপটি হওয়ার জন্য দায়ী মূলত এলার্জি। যা নাকের পরিপাস তৈরিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

মেক্সিলারি এন্ট্রোকনাল পলিপ

মেক্সিলারি এন্ট্রোকনাল পলিপও মূলত এলার্জির কারণেই হয়ে থাকে। তবে এই ক্ষেত্রে যাদের মারাত্মক রকমের এলার্জি রয়েছে, তারাই রিস্কি বেশি। মারাত্মক এলার্জি সংক্রমণের ফলে এনট্রোকনাল পলিপ প্রথমে আমাদের নাকের পেছনের দিকে এরপর গলায় গিয়ে বাড়তে থাকে। যখন গলায় গিয়ে পলিপটি বাড়তে থাকে, তখন আমাদের পুরো নাক বন্ধ হয়ে যায়। ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে একটা সময় অস্ত্রোপচারের ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প উপায় থাকে না। তবে রোগী যদি প্রাথমিক অবস্থায় নাকের পলিপাসটিকে চি‌হ্নিত করতে পারে, তাহলে বেশ কয়েকটি ঘরোয়া কিংবা প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বণ করে নাকের পলিপাস থেকে রেহাই বা মুক্তি পেতে পারে। তাহলে নাকের পলিপাস দূর করার ঘরোয়া কিংবা প্রাকৃতিক সেই উপায়গুলো কি কি? চলুন জানা যাক সেই প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায়গুলো সম্পর্কে।

নাকের মাংস বৃদ্ধি হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়?

যদিও নাকের মাংস বৃদ্ধি হলে প্রাথমিক অবস্থায় প্রকট আকার ধারণ করে না। যে বিধায়, যখন অবস্থার অবনতি হয়, ঠিক সেই মূহর্তেই আমাদের টনক নড়ে। যাইহোক, কিছু কিছু কমন প্রতিক্রিয়া বা লক্ষণ রয়েছে, যেগুলো আপেক্ষিভাবে দেখে আমরা বোঝতে পারবো যে আমাদের নাকের মাংস বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন চলুন এমন কয়েকটি লক্ষণ বা নমুনা সম্পর্কে জানা যাক, যেগুলো আমাদের মধ্যে উপস্থিত দেখলেই বোঝতে পারবো যে আমাদের নাকের মাংস বৃদ্ধি পেয়েছে বা নাকে পলিপাস হয়েছে।

  • প্রথমত, নাকের ঘ্রাণ শক্তি ক্রমেই হ্রাস পায়।
  • নাক দিয়ে সর্দি ঝরা সহ নাক বন্ধ হয়ে আসা।
  • ঘন ঘণ ঢোক গিলা এবং গলা পরিষ্কার করার মতো প্রবণতা তৈরি হতে পারে।
  • কিছুক্ষণ পর পর নাক বন্ধ হয়ে আসা। এবং একবার নাকের এক পাশ এবং পরোক্ষণে অন্য পাশ বন্ধ হয়ে যায়।
  • তুলনামূলক বেশি হাঁচি থাকা। একটু ঠান্ডা বা ধূলোবালির সংস্পর্শে আসলেই এলার্জির ন্যায় চোখ চুলকানি সহ ঠান্ডি হওয়া ও বেশি বেশি হাঁচি দেওয়া।
  • প্রায় সময় নাকে দূর্গন্ধের ন্যায় ঘ্রাণ পাওয়া।
  • প্রাথমিক অবস্থায় মাথা ব্যথা তুলনামূলক কম থাকে। তবে পলিপের আকার যখন ক্রমেই বড় হয়ে উঠে, তখন মাথা ব্যথা প্রকট আকার ধারণ করে। বিশেষ করে কপালের সম্মুখ অংশটুকু।
  • রোগীর গলায় সব সময় খুসখুস একটা ভাব থাকে।
  • মাঝে মাঝে কান বন্ধ হয়ে যাওয়ার একটা ভাব তৈরি হতে পারে। অর্থাৎ মনে হবে কানে কম শুনছেন বা এমন কিছু।
  • প্রায় সময় মাথা ঘুরাতেও পারে।
  • মাঝে মাঝে বমি বমি ভাব তৈরি হতে পারে।
  • ধীরে ধীরে নাকের মাংস বৃদ্ধি পেয়ে নাসিকার ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়।
  • ধীরে ধীরে নাকের পলিপাসটি আাঙ্গুরের ন্যায় আকার ধারণ করে।

উপরোক্ত লক্ষণগুলো হলো হলো নাকের মাংস বৃদ্ধি পাওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। তবে নাকের মাংস বৃদ্ধি বা পলিপাস নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। এক কথায় নাকের পলিপাস বা মাংস বৃদ্ধি হওয়ার জন্য মূল কারণ হলো নাকের এলার্জি। আর এর থেকেই উক্ত লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় এবং ক্রমান্বয়ে মাংস বৃদ্ধি পায়।

নাকের পলিপাস তথা মাংস বৃদ্ধির এর ছবি

নাকের মাংস বৃদ্ধির ছবি
নাকের মাংস বৃদ্ধি ছবি

নাকের পলিপাস দূর করার প্রাকৃতিক ৫টি উপায় – Natural ways to get rid of nasal polyps

নাকের পলিপাস দূর করার প্রাকৃতিক ৫টি উপায়

পাঠকদের বোঝার সুবিধার্থে বলে রাখি, নাকের পলিপাস দূর করার প্রাকৃতিক উপায় জানার পূর্বে সর্বপ্রথম আমাদেরকে এটা হওয়ার কারণগুলো জানতে হবে। যা উপরে আলোচনা করা হয়েছে। এখন আমরা জানি যে, মূলত এলার্জি ঘটিত সমস্যার কারণেই উক্ত রোগ হয়ে থাকে। তাই বলা চলে যে, আমরা যদি উক্ত কারণ তথা এলার্জি থেকে মুক্ত থাকতে পারি, তাহলে তুলনামূলকভাবে নাকের পলিপাস থেকেও মুক্তি পেতে পারি। আলোচনা বিলম্ব না করে চলুন জানা যাক নাকের পলিপাস দূর করার প্রাকৃতিক উপায়গুলো-

  • আদার মাধ্যমে পলিপাস দূর করা।
  • রসূন খাওয়ার মাধ্যমে নাকের পলিপাস দূর করা।
  • হলুদ খাওয়ার মাধ্যমে নাকের পলিপাস দূর করা।
  • ধূলা-বালি হতে দূরে থাকা।
  • এলার্জি তৈরিকারক খাদ্য পরিহার করা।

এগুলোই হলো মূলত বেশ কার্যকারী প্রাকৃতিক উপায়, যেগুলো সঠিকভাবে অ্যাপ্লাইয়ের মাধ্যমে একজন নাকের পলিপাস হতে মুক্ত থাকতে পারে। ডিটেইলস সহ চলুন জানা যাক।

আদার মাধ্যমে পলিপাস দূর করার উপায়

আদার মাধ্যমে পলিপাস দূর করার উপায়

যদিও আদা একটি উদ্ভিদ মূল যা সাধারণত আমরা মসলা এবং ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করে থাকি। তবে দেহের ব্যথা ও প্রদাহ হ্রাস করাতে আদায় রয়েছে বিশেষ প্রদাহ নাশক উপাদান। যুক্তরাষ্ট্রের বৈজ্ঞানিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, আদায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা মূলত আমাদের দেহের অথবা শরীরের সংক্রমণ বিরোধী বিশেষ পুষ্টি উপাদান। আদার এই পুষ্টি উপাদান শরীরের ব্যথা ও সংক্রমণ কমাতে বেশ চমৎকার সাহায্য করে। আর প্রাকৃতিক উপায়ে নাকের পলিপাস দূল করতে আদার ভূমিকা অপরিসীম। এই ক্ষেত্রে আদা একটি ভেষজ ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। এছাড়াও আদায় রয়েছে নানা রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা। যা একজন ব্যক্তি নিয়মিত আদা খাওয়ার মাধ্যমে সে উপকারিতাগুলো উপভোগ করতে পারে। বিশেষ করে নাকের পলিপাস দূর করার জন্য আপনাকে প্রতিদিনের খাদ্যে আদা রাখতে হবে। তরকারিতে আদার গুড়ো কিংবা আদা কেঁটে কেঁটে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আপনি কাঁচাও খেতে পারেন। আপনি যদি চা খেতে পছন্দ করে থাকেন, তাহলে রং চায়ের সাথে আদা মিক্স করে খেতে পারেন। এতে আপনি স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার পাশাপাশি নাকের পলিপাস থেকেও দূরে থাকবেন। সামগ্রিকভাবে বললে, নাকের পলিপাস সহ নানা রকম শারীরিক উপকারিতা পেতে প্রতিনিয়ত আদা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

রসূন খাওয়ার মাধ্যমে পলিপাস দূর করার উপায়

রসূন খাওয়ার মাধ্যমে পলিপাস দূর করার উপায়

আমাদের শরীরে রসূন অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে ‍মূলত  কাজ করে থাকে। এছাড়াও সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসূন খাওয়ার অভ্যাস আপনার হৃদরোগ হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে। আমাদের দেহের সার্বিক কার্য ক্ষমতা সহ দেহের হজম ক্রিয়ার উন্নতি ঘটায় রসূন। প্রতিনিয়ত তৈরি হওয়া দেহের প্রদাহ সহ অনেক পুরোনো প্রদাহ দূর করতে রসূন চমৎকার কাজ করে থাকে। কাঁচা রসূন খাওয়ার মাধ্যমে একজন নাকে পলিপাস আক্রান্ত ব্যক্তি বা রোগী কিছুটা হলেও মুক্ত থাকতে পারে। যেহেতু রসূন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি করে থাকে, সেহেতু সেই দিক থেকে নাকে পলিপাস হওয়া থেকেও রসূন কিছুটা রেহাই দেয়। কিভাবে রসূন খাবেন? প্রতিবেলা খাবারের সাথে কোয়া আকারে আপনি খেতে পারেন। তবে কাঁচা রসূন খাওয়ার চেষ্টা করুণ। এটি আমাদের দেহের জন্য বেশ উপকারক একটি সবজি অথবা পুষ্টিকর উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে। রসূন দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে আমাদের দেহকে ক্লান্ত হওয়া থেকে দূরে রাখে। এছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্র নিয়ন্ত্রণে রাখে। মূলত এখানে এতোগুলো পয়েন্ট তুলে ধরার মূল উদ্দেশ্যই হলো রসূন এর কার্য-ক্ষমতাকে তুলে ধরা এবং নাকে পলিপাস হলে কিংবা হওয়ার আশঙ্কা থাকলে, প্রাকৃতিক উপায়ে রসূন কিভাবে সহায্য করতে পারে, তা বোধগম্য করা।

হলুদ খাওয়ার মাধ্যমে নাকের পলিপাস দূর করা

হলুদ খাওয়ার মাধ্যমে নাকের পলিপাস দূর করা

হলুদে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমূহ আমাদের দেহের এলার্জি দূর করতে প্রচুর পরিমাণে সহায়তা করে থাকে। আমার উপরে জেনেছি যে, এলার্জি এবং মারাত্মক এলার্জির সংক্রমণ নাকের পলিপাস হওয়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাঁচা হলুদ কিংবা গুড়ো হলুদের গুড়ার মূল উপাদান তথা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরির প্রধান  কাজ হলো দেহেকে নানা রকম বাহ্যিক এবং ইন্টার্নাল সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা। আপনি যদি নাকের পলিপাসে সংক্রমণিত হয়ে থাকেন, তাহলে কাঁচা হলুন কিংবা এর গুড়ো ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার পলিপাসের সংক্রমণ কমে আসবে। নাকের পলিপাস প্রাকৃতিক উপায়ে কমাতে কখন এবং কিভাবে হলুদ খাবেন? আপনি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় হলুদ রাখতে পারেন। প্রতিবেলা খাবারের সাথে দুচা- চামচ হলুদের গুড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। আর যারা যারা চা খেতে পছন্দ করেন, তারা হলুদ মিশ্রিত চা খেতে পারেন। হলুদের গুড়ো ফুঁটিয়ে খেতে পারেন। মধু ও হলুদ এক সাথে মিক্স করেও খেতে পারেন। হলুদ আপনার দেহে এলার্জি কমিয়ে দেয়। যাদের দেহে অতিরিক্ত এলার্জি রয়েছে, তাঁরা হলুদ খেতে পারেন। এতে করে এলার্জি দূর হবে এবং পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপায়ে নাকের পলিপাস দূর করতে পারবেন। হলুদের ‍উপকারিতা শুধুমাত্র নাকের পলিপাসেই আবদ্ধ নয় বরং হলুদ আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, স্ক্রিণের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, হার্টের ব্লক দূর করতে সাহায্য করে, মদে কমায় সহ ইত্যাদি উপকারিতা আমরা হলুদ থেকে পেয়ে থাকি। সুতরাং, নাকের পলিপাস দূর করতে হলুদ ব্যবহার করে আমরা একাধিক উপকারিতা দ্ধারা উপকৃত হতে পারি।

ধূলা-বালি হতে দূরে থাকা

যেহেতু আমরা ইতিমধ্যে জেনে গেয়েছি যে, নাকের পলিপাসের জন্য তুলনামূলক ভাবে অন্য সব কারণগুলোর মধ্যে এলার্জি হলো অন্যতম। সেহেতু আমরা যদি প্রাকৃতিক উপায়ে নাকের পলিপাস দূর করতে চাই, তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে এলার্জি কামতে হবে আমাদের শরীর থেকে। এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলাপেরা করতে হয় এবং রাস্তা সহ নানা জায়গায় ধূলা-বালি সং সম্পর্শে আসতে হয়। আর এলার্জি তৈরিতে অন্যতম ভূমিকা রাখে ধূলা-বালি। তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ধূলা-বালি এড়াতে হবে। কিন্তু কিভাবে? বাহিরে চলার সময় অবশ্যই আমাদেরকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। যেহেতু অনেকে বাসায় অধিকাং সময় কাটায়, সেক্ষেত্রে বাসার পরিবেশ ধূলা-বালি মুক্ত রাখতে হবে। বালিশ, বিচানা, ও আসবাবপত্র পরিষ্কার রাখতে হবে। এগুলোতে যেন ময়লা তথা ধূলা-বালি না থাকে সে দিকে নজর রাখতে হবে। এভাবেই আপনি ধূলা-বালি এড়িয়ে চলে এলার্জি থেকে মুক্ত তথা নাকের পলিপাস থেকে ন্যাচারেলি বেঁচে থাকতে পারেন।

এলার্জি তৈরি কারক খাদ্য পরিহার করা

এলার্জি যেহেতু নাকের পলিপাস তৈরিতে অনেকটাই দায়ী, সেহেতু উপরের পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি আমাদেরকে খাদ্যে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। সেগুলো কি? এখানে বেশি কিছু নিয়ম নেই। জাস্ট এলার্জি তৈরিকারক খাদ্য বা খাবারগুলো খাওয়া পরিহার করতে হবে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে কোন কোন খাদ্যে এলার্জি রয়েছে। আর সেই প্রশ্নে উত্তরের ভিত্তিতেই এখানে অনেকগুলো খাদ্যের লিস্ট বা তালিকা দেওয়া হলো-

  • ইলিশ মাছ
  • চিংড়ি মাছ
  • গরুর দুধ
  • কালো বেগুন
  • পাঙ্গাস মাছ
  • হাঁসের ডিম
  • মিষ্টি কুমড়া সহ ইত্যাদি খাদ্যে

এখানে নামমাত্র কয়েকটি খাবারে নাম তুলে ধরা হয়েছে। আপনি ইন্টারনেটে ”এলার্জিমূলক খাবার” লিখে সার্চ দিলেই বেশ অনেকগুলো খাবারের তালিকা পেয়ে যাবেন। যেগুলোকে স্লট আউট করে টুকে রাখবেন, যাতে করে লাইফ-স্টাইল পরিবর্তন করতে সহজ হয়।

মূলত উপরের আলোচনাটিই হলো আজকের আর্টিকেলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। এখানে যেসকল পয়েন্টগুলোর প্রতি ফোকাস করা হয়েছে, সেগুলোকে বিশেষভাবে মান্য করে চললে আশা করি একজন পলিপাস রোগী, প্রাকৃতিক উপায়ে সেটা দূর করতে সক্ষম হবে।

ঔষধের মাধ্যমে নাকের পলিপাস দূর করার উপায়

ঔষধের মাধ্যমে নাকের পলিপাস দূর করার উপায়

যদিও আজকের আর্টিকেলে এই বিষয়টা উল্লেখ করা মোটেও কাম্য নয়, কিন্তু আপনাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করেই এই পয়েন্ট টা অ্যাড করা। আপনি যদি নাকের পলিপাস দূর করতে চেয়ে উপরের তুলে ধরা পয়েন্টগুলো মান্য করেও কোনো রকম সাফল্য না পেয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনি ঔষধের শরণাপন্ন হতে হবে। তবে এটা কোনো ওয়েবসাইট এর নির্দেশে ডিরেক্ট কোনো একটি ফার্মেসী থেকে ক্রয় করা হতে বিরত থাকার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি একজন অভিজ্ঞ নাকের পলিপাস বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করবেন। অন্যথায় ভুল সাজেশনের কারণে আপনার নাকের পলিপাস হতে পারে মৃত্যুর কারণ। সুতরাং এখানে কোনো রকম অনভিজ্ঞ কারো পরামর্শ কাম্য নয়। অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তার সে সম্পর্কে একটি বিস্তর ধারণার পাশাপাশি সঠিক ঔষধ প্রয়োগের জন্য সাজেশন দিতে পারে।

নাকের পলিপাস দূর করার প্রাকৃতিক উপায় নিয়ে শেষ কথা

নাকের পলিপাস দূর করার প্রাকৃতিক উপায় নিয়ে শেষ কথা

প্রাথমিক ভাবে নাকের পলিপাস দূর করতে প্রাকৃতিক উপায়গুলোকে অ্যাপ্লাই করা যেতেই পারে। যদি সংক্রমণের স্টেজটি হয়ে থাকে প্রাথমিক, তবে আশা করি প্রাকৃতিক উপায়গুলো অনুসরণের মাধ্যমে একজন রোগী তাঁর নাকের তৈরি হওয়া পলিপাস হতে রেহাই পেতে পারে। তবে যদি সেটার স্টেজ হয়ে থাকে মারাত্মক অবস্থা, তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে আগাম সতর্ক হিসেবে যদি আমরা উপরে তুলে ধরা তথ্যগুলোকে মান্য করে চলি, তাহলে আশা করা যায় যে, যেকেউ নাকের পলিপাস হতে মুক্ত থাকতে পারবে এবং শারীর অন্য সকল উপকারিতাগুলোও উপভোগ করতে পারবে। তবে অবশ্যই মাত্রাতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। নাকের পলিপাসের সংক্রমণ মারাত্মক লেভেলে যাওয়ার পূর্বেই অবশ্যই আমাদেরকে ডাক্তাররে কনসাল্টেসন নেওয়া জরুরি। সর্বশেষ বলা চলে যে, আজকের আর্টিকেল তথা নাকের পলিপাস দূর করার প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে জেনে পাঠকগণ অবশ্যই উপকৃত হতে পারবে এবং হবে।

নাকের পলিপাস দূর করার উপায় নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

নাকের মাংস বৃদ্ধি অপারেশন খরচ কত?

নাকের মাংস বৃদ্ধির অপারেশন খরচ বেশ অনেক কিছুর উপর নির্ভরশীল। যা হুড়হামিশায় বলে দেওয়া অনেকটাই সম্ভব নয়। বিশেষ করে প্রতিটি অপারেশন হসপিটাল ভিত্তিক হয়ে থাকে। পাশাপাশি ডাক্তারের অভিজ্ঞতা সহ অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তবে যদি আনুমানিক গড় হিসেবে বলে, তাহলে 8-25,30 হাজার টাকা নাকের মাং বৃদ্ধির অপারেশনে খরচে হয়ে থাকে।

নাকের মাংস বৃদ্ধি অপারেশন কিভাবে করা হয়?

বয়স ভেদে যেকোনো অপারেশনের রয়েছে ভিন্নতা। ঠিক একই ভাবে নাকের মাংস বৃদ্ধির অপারেশন এর ক্ষেত্রেও উক্ত নিয়ম অনুসরণ করা হয়। তবে নাকের মাংস বৃদ্ধির হার যখন  বেশি হয়, তখন অপারেশন ছাড়া আর কোনো বিকল্প উপায় থাকে না। এখন প্রশ্ন করতে পারেন যে, উক্ত অপারেশনটি কিভাবে করে থাকে? বস্তুত, আমাদের নাকের ঠিক মাঝখানের পার্টিশন কয়েকটি হাড় এবং কার্টিলেজের সমন্বয়ে গঠিত। আর এই অপারশনে বেঁকে যাওয়া সেপটাম অর্থাৎ নাকের পার্টিশন সোজা করতে হয়। যে বিধায় পরোক্ষণে নাকের মধ্যকার বাতাস চলাচল সহজ করতে। আর এভাবেই নাকের মাংস বৃদ্ধি অপারেশন করে থাকে।

নাকের মাংস কমানো অপারেশনের পর কি করা উচিত?

নাকের মাংস কমানোর অপারেশনের পর অবশ্যই রোগীকে কয়েকদিন বিশ্রাম নিতে হবে। পাশাপাশি ডাক্তারের দেওয়া ঔষধগুলো নিয়ম ম্যানটেইন করে সেবন করতে হবে। নাকে যাতে কোনো কিছুর সাথে ধাক্কা না লাগে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। গরম পরিবেশে থাকতে হবে। কোনো ভাবেই ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না। এলার্জি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে। ধূলাবালি সহ বেশি রৌদ্রে যাওয়া যাবে না। ব্যতিক্রমধর্মী অন্য সকল ঔষধ খাওয়া হতে বিরত থাকতে হবে। আর বেশি প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তা সেবন করতে হবে। উপুড় হয়ে শোয়া যাবে না। ট্যানশন করা যাবে না। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া সহ ইত্যাদি নাকের অপারেশনের পর করা হতে বিরত থাকতে হবে। মূলত একজন ব্যক্তি যখন নাকের মাংস কমানোর অপারেশন করবে, তখন তাকে উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।

নাকের মাংস কমানোর হোমিও ঔষধ কি কার্যকারী?

যদি নাকের মাংস বাড়ার হার সহনীয় পর্যায়ে থাকে, তাহলে সেই ক্ষেত্রে হোমিও ঔষধ কিছুটা হলেও উপকারী। তবে অনেক ভোক্তভোগী হোমিও ঔষধ কে নাকের মাংস কমানোর ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কেননা সর্বপরি তাদেরকে ‍অপারেশন করাতে হয়। প্রাথমিক অবস্থায় হোমিও ঔষধ কিছুটা স্বস্তি ও এই অসুখটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও, লং টার্মের ক্ষেত্রে কাজে তেমন আউটপুট পাওয়া যায় না। তাই এই ক্ষেত্রে হোমিও কে বেশি প্রাধান্য না দিয়ে এলোপ্যাথিকের দিকে ঝঁকাটাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

নাকের পলিপাস হলে ঔষধ খাওয়া কি জরুরি?

যদি নাকের পলিপাস প্রাইমারি স্টেজে থাকে, তাহলে প্রাকৃতিক উপায়ে ভালো করা সম্ভব। কিন্তু যদি তা মারাত্মক অবস্থায় চলে যায়, তখন অভিজ্ঞ একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি এবং অবস্থা উপর নির্ভর করে কোনো কোনো অবস্থায় অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনও হতে পারে।

নাকের পলিপাস প্রাকৃতিক উপায়ে কি দূর করা সম্ভব?

উত্তর হলো হ্যাঁ। তবে যদি নাকের পলিপাসের সংক্রমণ প্রাথমিক স্টেজে থাকে অথবা প্রাথমিক কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তখন থেকে মান্য করে চললে। প্রকৃত পক্ষে প্রাথমিক অবস্থায় নাকের মাংস কমানোর ঘরোয়া উপায় হরো সবচেয়ে বেস্ট। তখন থকে যদি আপনি লক্ষণ দেখেই বোঝে নিতে পারেন যে, আপনার নাকের মাংস বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাহলে খুব সহজেই ঘরোয়া উপায়গুলো অ্যাপ্লাই করার মাধ্যমে নাকের পলিপাস তথা মাংস কমাতে পারেন।

নাকের পলিপাস দূর করার প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে জানতে

BanglaTeach
E-HaqDigital Marketer at- BanglaTeach

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.

About E-Haq

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.

View all posts by E-Haq →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *