এই পোস্টে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হয়েছে। এই সৃজনশীল গুলো মূল পাঠ্য বইয়ে দেওয়া নেই। গাইড বই থেকে পড়তে হবে। যাদের কাছে গাইড নেই তারা এখান থেকে পড়ে নিবেন। নিচে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলো দেওয়া আছে। যারা অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন পড়তে চান , তারা এখান থেকে পড়ুন।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন
এখানে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া আছে। এই ধরনের প্রশ্ন বিভিন্ন পরীক্ষায় দেওয়া হয়। তাই এই সৃজনশীল গুলো পড়ে প্রশ্ন সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারবেন।
সৃজনশীল ১ঃ
নিপুণ শারীরিক প্রতিবন্ধী। পা দিয়ে লিখে এইচএসসি পরীক্ষা পাস করেছে। লেখাপড়া করে এইটুকু আসতে তাকে অনেক বাধা পার হতে হয়েছে। মা-বাবার সহযােগিতা ছাড়া যা কখনােই সম্ভব ছিল না। সমাজের কিছু মানুষের মুখের কথা শুনলে তার হয়তাে পড়ালেখাই হতাে না। পাস করার পর নিপুণ অতি আনন্দে কেঁদে কেঁদে বলেছিল, “আমাদের মতাে মানুষদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করুন।”
ক. কীসে কবির ব্যথা প্রশমিত হয়?
খ. আড়ালে আড়ালে থাকি, নীরবে আপনা ঢাকি’ কেন?
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত সমাজের কিছু মানুষের আচরণে ‘পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতার যে বিশেষ দিকটি ফুটে উঠেছে, তা ব্যাখ্যা করাে।
ঘ. “নিপুণের মতাে দৃঢ়চেতা মনােভাব সৃষ্টিই পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতার মূলভাব” —মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করাে।
সৃজনশীল ২ঃ
মিলনের অমায়িক ব্যবহারে সকল মানুষ মুগ্ধ। সে ধনী-গরিব, ছােটো-বড়াে সবার সাথে সুন্দর ব্যবহার করে। শ্রমজীবীদের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করতে দেখে তার বন্ধু শিপন বলে ‘হােটো লােকদের এত আস্কারা দিতে নেই। কিন্তু মিলন শিপনকে বলে, ‘সকল মানুষের সাথে সুন্দর ব্যবহার করলে সম্মান কমে না, বরং বাড়ে।
ক. হৃদয়ে বুদবুদের মতাে কী ওঠে?
খ. একটি স্নেহের কথা প্রশমিতে পারে ব্যথা’- ব্যাখ্যা করাে।
গ. শিপনের মধ্যে ‘পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেমেহে? ব্যাখ্যা করাে।
ঘ. উদ্দীপকের মিলনের মানসিকতা ও ‘পাছে লােকে কিছু বলে কবিতার কবির মানসিকতা একসূত্রে গাঁথা”- মূল্যায়ন করাে।
সৃজনশীল ৩ঃ
১.আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।’
২. নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালাে
যুগ-জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরের আলাে।
সবাই মােরে ছাড়তে পারে বন্ধু যারা আছে।
নিন্দুক সে ছায়ার মতাে থাকবে পাছে পাছে।
নিন্দুক সে বেঁচে থাকুক বিশ্বহিতের তরে,
আমার আশা পূর্ণ হবে তাহার কৃপা ভরে। (সংক্ষেপিত)
ক. প্রশমিতে’ শব্দটির অর্থ কী?
খ. ‘সংশয়ে সংকল্প সদা টলে’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করাে।
গ. উদ্দীপকের প্রথম অংশের বক্তব্য ‘পাছে লােকে কিছু বলে কবিতার কোন স্তবকের বিপরীত ভাব ধারণ করেছে? ব্যাখ্যা করাে।
ঘ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় অংশের নিন্দুক ও ‘পাছে লােকে কিছু বলে কবিতার নিন্দুকের তুলনামূলক আলােচনা করাে।
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
এখানে উপরের দেওয়া সৃজনশীল গুলোর উত্তর দেওয়া হয়েছে। অনেকে নিজে নিজে উত্তর গুলো লিখতে পারবেন না। এজন্য তারা নিচের অংশ থেকে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করে নিবেন।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ১ঃ
ক। একটি স্নেহের কথায় কবির ব্যথা প্রশমিত হয়।
খ। লােকলজ্জা ও সমালােচনার ভয়ে কবি আড়ালে নিজেকে ঢেকে রাখেন। পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় কবি সমালােচনার ভয়ে ভীত। তাই তিনি কোনাে কাজ করতে গেলে দ্বিধাবিভক্ত হন। কোনাে ভালাে কাজ করতে গিয়ে কে কী মনে করবে বা কে কী বলবে ভেবে কবি পিছু হটে যান। সমালােচকদের ভয়ে কবির আর সে কাজ করা হয়ে ওঠে না। তাদের ভয়েই মূলত কবি নিজেকে আড়ালে লুকিয়ে রাখেন।
গ।
উদ্দীপকে উল্লেখিত সমাজের কিছু মানুষের আচরণে ‘পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতার সমালােচকদের স্বরূপ ফুটে উঠেছে।
আলােচ্য কবিতায় কবি সমালােচকদের স্বরূপ তুলে ধরেছেন। এই শ্রেণির মানুষের কাজই হলাে সমালােচনা বা নিন্দা করা। তাদের এই মানসিকতার কারণে অনেক সময় ভালাে কাজ করতে গিয়েও অনেকে পিছিয়ে যায়। কেউ সমাজের জন্য কোনাে অবদান রাখতে চাইলে এ ধরনের মানুষ তাদের সমালােচনা করে। ফলে লােকলজ্জা ও সংকোচের কারণে ভালাে কাজ করতে গিয়েও পিছিয়ে আসতে হয়।
উদ্দীপকে সমাজের কিছু মানুষের আচরণে নিন্দুকের স্বভাব প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে নিপুণ শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও পা দিয়ে লিখে এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে। কিন্তু নিপুণের এই উদ্যমী মানসিকতাকে সমাজের একশ্রেণির মানুষ দমিয়ে দিতে চেয়েছিল। তারা সমালােচনা করে নিপুণের উদ্যমে ব্যঘাত ঘটাতে চায়। আর এরূপ মানসিকতা পাছে লােকে কিছু বলে কবিতায়ও পরিলক্ষিত হয়। সেখানে সমালােচক শ্রেণির মানুষের মাঝে এই বৈশিষ্ট্য প্রকট হয়ে উঠেছে। ফলে উদ্দীপকের কিছু মানুষের আচরণ পাহে লােকে কিছু বলে’ কবিতার সমালােচক শ্রেণির মানুষের দিকটিকেই ধারণ করেছে।
ঘ।
পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতার কবির প্রত্যাশা দৃঢ় মনােভাব নিয়ে ভয়ভীতি ও লােকলজ্জাকে উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়া, যা উদ্দীপকের নিপুণের মাঝে প্রকাশ পাওয়ায় প্রশ্লোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ হয়ে উঠেছে।
পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় কবি সমালােচকদের স্বরূপ তুলে ধরেছেন। সমাজের জন্য ভালাে কাজ করতে গেলে এই সমালােচক শ্রেণির মানুষদের উপেক্ষা করা প্রয়ােজন। তাদের ভয়ে ঘরে বসে থাকলে লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া যাবে না। তাই সব ভয়ভীতি সংকোচ উপেক্ষা করেই এগিয়ে যেতে হবে। আর তাহলেই সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে সবাই অবদান রাখতে পারবে। কবিতায় প্রচ্ছন্নভাবে কবি সেই প্রত্যাশাই প্রকাশ করেছেন।
উদ্দীপকে নিপুণের মাঝে লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় পরিলক্ষিত হয়। এক্ষেত্রে তার মা-বাবার অবদানও কম নয়। সমাজের একশ্রেণির মানুষের সমালােচনা উপেক্ষা করে নিপুণ পা দিয়ে লিখেই এইচএসসি পাস করেছে। কারাে কথায় দমে না গিয়ে সব বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে নিপুণ দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে গিয়েছে। আর এই দৃঢ়চেতা মনােভাবই নিপুণকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় কবি সবার মাঝে দৃঢ় মনােভাব সৃষ্টির আকাক্ষা ব্যক্ত করেছেন। তিনি প্রত্যাশা করেছেন সৰ ভয়ভীতি সংকোচ উপেক্ষা করে সবাই দৃঢ় মনােভাব নিয়ে লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। আর এই মনােভাব উদ্দীপকের নিপুণের মাঝেও সমভাবে প্রকাশ পেয়েছে। মূলত কবি সমাজ বিনির্মাণে উদ্দীপকের নিপুণের মতােই মানুষের কামনাই করেছেন। তাই বলা যায়, “নিপুণের মতাে দৃঢ়চেতা মনােভাব সৃষ্টিই পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতার মূলভাব” -প্রশ্নোত, এই মন্তব্যটি যথার্থ।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২ঃ
ক। হৃদয়ে বুদবুদের মতাে শুভ্র চিন্তা ওঠে।
খ। মানুষের জীবনে দুঃখ-যন্ত্রণা নেমে আসলে একটু স্নেহপূর্ণ কথাই মনের ব্যথাকে প্রশমিত করতে পারে।
মানবজীবন পুষ্পসজ্জা নয়। জীবনে নানা ঘাত-প্রতিঘাত আসবে, আসবে দুঃখ-যন্ত্রণা। নিজের অসহায় মুহূর্তে মানুষ শুনতে চায় কারাে স্নেহপূর্ণ কথা। সে পেতে চায় মমতা, যা তাকে মানসিকভাবে একটুখানি শান্তি দিতে পারে। আলােচ্য অংশে এ বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে।
গ।
উদ্দীপকের শিপনের মধ্যে পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতার দ্বিধা ও সংকোচবােধের দিকটি উঠে এসেছে। পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় সমাজের একশ্রেণির মানুষের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে, যারা কোনাে কাজ করতে গেলে মানুষের সমালােচনার ভয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে কাজ এগােয় না। ফলে তাদের দ্বারা সমাজের কোনাে উন্নতি সাধিত হয় না।
উদ্দীপকে দ্বিধাহীন ও দৃঢ় মনােবলসম্পন্ন মিলনের আচরণের কথা প্রতিফলিত হয়েছে। শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের সাথে তার সুন্দর ব্যবহার মুগ্ধ করে সকলকে। কিন্তু মিলনকে তার বন্ধু
শিপন ছােটোলােকদের সাথে এমন ব্যবহার করা ঠিক নয় বলে উল্লেখ করে। শিপন মনে করে শ্রমজীবী মানুষদের বেশি আস্কারা দিতে নেই। তার মধ্যে এক ধরনের দ্বিধা ও সংকোচবােধ কাজ করে বলেই সে এমন ধারণা পােষণ করে। আলােচ্য কবিতায় সংশয়গ্রস্ত মানুষের ভীতু স্বভাবের দরুন জীবনে উন্নতি না হওয়ার কথা ব্যক্ত হয়েছে। নিন্দুকের ভয়ে কাজ করতে না পারা দুর্বলচিত্তের অধিকারী মানুষের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। এক্ষেত্রে উদ্দীপকের শিপনের মধ্যে আলােচ্য কবিতার ভাবগত ঐক্য পরিলক্ষিত হয়।
ঘ।
ভয়-ভীতি সমালােচনাকে উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বানের দিক থেকে উদ্দীপকের মিলনের মানসিকতা ‘পাছে লােকে কিছু বলে কবিতার কবির মানসিকতার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠে এসেছে।
আলােচ্য কবিতায় কবি দুর্বলচিত্তের মানুষের কথা ব্যক্ত করেছেন যারা সমালােচনার ভয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে না। কে কী মনে করবে, কে কী সমালােচনা করবে এই ভেবে তারা শঙ্কিত থাকে। এর ফলে অনেক সুন্দর চিন্তার অপমৃত্যু ঘটে। অর্থাৎ এর মাধ্যমে কবি মূলত এসব ভীতিকে উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
উদ্দীপকের মিলনের মানসিকতার মাঝে দৃঢ়চিত্তের পরিচয় পাওয়া যায়। সে সকলের সমালােচনাকে উপেক্ষা করে সর্বস্তরের মানুষের সাথে সুন্দর ব্যবহার করে। এতে সকলে তার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়। সে দ্বিধাগ্রস্ত না হয়ে সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে সকলের ভালােবাসার পাত্র হয়। সে তার বন্ধুকে বােঝায় শ্রমজীবী মানুষদের সঙ্গে ভালাে ব্যবহার করলে সম্মান কমে না, বরং বাড়ে।
আলােচ্য কবিতায় কবির মানসিকতা ও উদ্দীপকের মিলনের মানসিকতা একই ধারায় প্রবাহিত। কবি আহ্বান করেছেন দ্বিধাগ্রস্ত না হয়ে সমালােচনা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার। তার মতে, দৃঢ় মনােবল নিয়ে লোকলজ্জাকে দূর করতে পারলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। মানুষের কল্যাণে মহৎ কাজ করতে হলে ভয়-ভীতি-সংকোচ উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে। উদ্দীপকের মিলনও বিশ্বাস করে যে, সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের মর্যাদাহানি হয় না, বরং বাড়ে— যা কবির মানসিকতার অনুরূপ। অতএব বলা যায়, উদ্দীপকের মিলন ও কবি কামিনী রায়ের মানসিকতা একই সূত্রে গাঁথা।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ৩ঃ
ক। প্রশমিতে’ শব্দটির অর্থ-উপশম ঘটাতে বা নিবারণ করতে।
খ। অন্যের সমালােচনার ভয়ে সংশয়ে সংকল্প টলে। সমাজে কোনাে কাজ করতে গেলে নানা জন নানারকম সমালােচনা করে থাকে। এটি আমাদের মনে দ্বিধা ও. সংকোচ তৈরি করে। ফলে আমরা ঠিকভাবে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি না। দৃঢ় মনােবল না থাকলে অন্যের সমালােচনা আমাদের কাবু করে ফেলে। আর এজন্যই আমরা আমাদের মনের সংকল্প থেকে বিচ্যুত হই।
গ।
উদ্দীপকের প্রথম অংশের বক্তব্য ‘পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতার প্রথম স্তবকের বিপরীত ভাব ধারণ করেছে।
পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতার প্রথম স্তবকে অন্যের সমালােচনার ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত ও সংকুচিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখানে কেউ কোনাে মহৎ কাজ করতে গেলে কিছু লােকের সমালােচনা শােনার ভয় করে। এজন্য কোনাে কাজেই তারা নিজেদের সংকল্প স্থির রাখতে পারে না।
উদ্দীপকের প্রথম অংশের বক্তব্যে বলা হয়েছে নিজেকে বিব্রত করার জন্য কারাে জন্ম হয়নি। প্রত্যেক ব্যক্তিই তার কাজের মাধ্যমে অন্যের কল্যাণ সাধন করতে পারে। বিপদে-আপদে একে অন্যের সহযােগিতায় কোনাে লজ্জা বা সংকোচ থাকার কথা নয়। সুতরাং বলা যায়, পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় সমালােচনার নেতিবাচক দিক দেখানাে হয়েছে, কিন্তু উদ্দীপকের প্রথম অংশের বক্তব্যের মাঝে এর বিপরীত ভাব প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ।
উদ্দীপকের দ্বিতীয় অংশ এবং ‘পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতার নিন্দুকের প্রভাবকে পুরােপুরিভাবে একসূত্রে গাঁথা যায় না।
উদ্দীপক হিসেবে প্রদত্ত কবিতাংশে উল্লিখিত নিন্দুকের প্রভাবে মানুষ নিজের ভুল সংশােধন করার প্রেরণা পায়। কিন্তু কবিতায় উল্লিখিত নিন্দুকের কারণে মানুষ কাজের উৎসাহই হারাতে পারে।
নিন্দুক ও তার কথাবার্তা আমাদের জীবনেরই এক অপরিহার্য অংশ। নিজের ইচ্ছে থেকেই নিন্দুকেরা অন্যের সমালােচনা করে থাকে। এর ফলে কখনাে ভালাে আবার কখনাে খারাপ অবস্থা তৈরি হয়। উদ্দীপক ও ‘পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় যে দুই প্রকার নিন্দুকের কথা বলা হয়েছে তাদের কাজও এই অর্থে আলাদা ধরনের। সমাজের জন্য বা অন্যের জন্য কিছু করতে গেলে নানারকম বাধা-বিপত্তি আসে। তবে অনেক ক্ষেত্রে সেসব বাধা ও সমালােচনার ফলে আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পারি। উদ্দীপকে তেমন নিন্দুকদের কথাই শ্রদ্ধাভরে বলা হয়েছে। অন্যদিকে পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় যাদের কথা বলা হয়েছে, তাদের সমালােচনার ভয়ে অনেক সময় আমরা কর্তব্য থেকে পিছিয়ে আসি। এসব বিচারে এ দুই প্রকার নিন্দুকের প্রভাব সম্পূর্ণ আলাদা।
শেষ কথা
আশা করছি এই পোস্ট থেকে পাছে লোকে কিছু বলে কবিতা সংগ্রহ পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকবেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল শ্রেণির শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা হয়। আমার সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আরও দেখুনঃ
পাছে লোকে কিছু বলে কবিতা- কামিনী রায়। অষ্টম শ্রেণি