রুপাই কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর। অষ্টম শ্রেণি

রুপাই কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন
ekram145
UX/UI Designer at - Adobe

Sharing is caring!

এ কবিতায় কবি গ্রাম-বাংলার প্রকৃতি, কৃষকের রূপ ও কর্মোদ্যোগ অসাধারণ ভাষায় প্রকাশ করেছেন। গ্রাম-বাংলার প্রকৃতির মধ্যে কালাে ভ্রমর, রঙিন ফুল, কাঁচা ধানের পাতা এবং কচি মুখের মায়াবী কৃষককে প্রায়শই দেখতে পাওয়া যায়। কৃষকের বাহু দুইখানি লাউয়ের কচি ডগার মতাে বলে মনে হয়। রােদে পুড়ে কৃষকের শরীরের রং কালাে হয়ে যায়। নিচে থেকে রুপাই কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন।

রুপাই কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন

এখানে রুপাই কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। যারা যারা সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সংগ্রহ করতে চান, তারা এই অংশ থেকে সংগ্রহ করুন। এই প্রশ্ন গুলো মূল পাঠ্য বইয়ে দেওয়া নেই।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ঃ 

সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা
দেশ মাতারই মুক্তিকামী, দেশের সে যে আশা
দধীচি কি তাহার চেয়ে সাধক ছিল বড়?
পুণ্য অত হবে নাক সব করিলেও জড়।

ক. ‘রুপাই’ কবিতায় উল্লিখিত ‘পাগাল’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘শাল-সুন্দি-বেত কোন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করাে।
গ. উদ্দীপকের সাথে রুপাই’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করাে।
ঘ. উদ্দীপকের বিষয়টি ছাড়াও রুপাই’ কবিতায় রুপাই’ এর আরও গুণের কথা উল্লেখ আছে।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ঃ 

সময় পাল্টেছে। দুর্ভিক্ষ-বুভুক্ষায় ডরা কৃষক পাল্টে দিয়েছে দেশের খাদ্য ঘাটতির বদনাম। উদয়াস্ত পরিশ্রমে ভরেছে খাদ্যগুদাম। কিন্তু অনিশ্চয়তা পিছু হটেনি তাদের। দেশের মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া এই নায়কেরা বিভিন্ন প্রতিকূলতায় আজ দিশেহারা। অর্ধ নগ্নতার যুগ পেরুলেও ফেরেনি আর্থিক নিশ্চয়তার কাল। ভেজাল সার আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় হারিয়ে গেছে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাওয়ার অধিকার। সব মিলিয়ে ভালাে নেই বাংলার কৃষক।

ক. কবি মরণকে কোন রঙের সাথে তুলনা করেছেন?
খ. তারির পদ-রজের লাগি লুটায় বৃন্দাবন’ চরণটি ব্যাখ্যা করাে।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে রুপাই’ কবিতার সাদৃশ্য আলােচনা করাে।
ঘ. “উদ্দীপকটি রুপাই’ কবিতার সামগ্রিকতাকে ধারণ করতে পারেনি” – মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করাে।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ঃ 

উদ্দীপক-১:

কৃষ্ণকলি আমি তারে বলি
কালাে তারে বলে গাঁয়ের লােক
মেঘলা দিনে দেখেছিলাম মাঠে
কালাে মেয়ের কালাে হরিণ চোখ।
ঘােমটা মাথায় ছিল না তার মােটে
মুক্ত বেণি পিঠের পরে লুটে।

উদ্দীপক-২:

ময়মনসিংহের অজপাড়াগাঁয়ের কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিশােরী ফুটবল দল বঙ্গমাতা গােল্ডকাপ চ্যাম্পিয়ন হলে সারাদেশে কলসিন্দুরের নাম ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তাদের কারণে ওই গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে। এখন কলসিন্দুর একটি আদর্শ গ্রাম। এখানকার মেয়েরা এখন বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের নাম ছড়াচ্ছে। গ্রামবাসী এখন তাদের জন্য গর্ববােধ করে।

ক. রুপাই-এর শরীর কেমন ছিল?
খ. রুপাইকে ‘শাল-সুন্দি-বেত’ কেন বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করাে।
গ. উদ্দীপক-১-এ রুপাই’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটির বর্ণনা করাে।
ঘ. উদ্দীপক-২ ‘রুপাই’ কবিতার মূলভাবকে তুলে ধরে কি? যুক্তি দাও।

রুপাই কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

এখানে রুপাই কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর গুলো দেওয়া হয়েছে। যারা নিজে নিজে উপরের দেওয়া সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবেন না, তারা এখান থেকে উত্তর দেখে নিন।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ১ঃ 

ক। ‘রুপাই’ কবিতায় উল্লিখিত ‘পাগাল’ শব্দের অর্থ ইস্পাত।

খ। বিবিধ কাজে পারদর্শিতার কারণে রুপাইকে শাল-সুন্দি-বেত’ বলা হয়েছে।

শালগাছ, শ্বেতপদ্ম এবং বেত হলাে বিবিধ কাজের প্রয়ােজনীয় উপকরণ। তেমনি আলােচ্য কবিতায় রুপাইও বিবিধ কাজে পারদশী এক তরুণ। সে কৃষিকাজে দক্ষ। আখড়াতে বাঁশের লাঠি খেলায় তার জুড়ি মেলা ভার। জারিগানের আসরেও সবার আপে তার কণ্ঠ শােনা যায়। একই সাথে এতসব গুণের অধিকারী বলেই তাকে উদ্দেশ্য করে উত্ত কথাটি বলা হয়েছে।

গ।

কৃষকের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের দিক থেকে উদ্দীপকটি রুপাই কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

‘রুপাই’ কবিতায় কবি গ্রাম-বাংলার প্রকৃতির মাঝে কৃষকের রূপ ও, কর্মনিষ্ঠার বর্ণনা অসাধারণ ভাষায় প্রকাশ করেছেন। কবি রুপাইয়ের রূপ বর্ণনা করতে গিয়ে মূলত বাংলার কৃষকের প্রতি তার ভালােবাসার পরিচয় দিয়েছেন। অন্যদিকে, রুপাইয়ের বিশ্বজয়ের কথা প্রকাশ করে কৃষকদের প্রতি নিজের শ্রদ্ধাবােধ প্রকাশ করেছেন তিনি।

উদ্দীপকেও কৃষকের প্রতি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটেছে। কৃষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম দ্বারা ফসল উৎপাদন করে। তারা দেশের মানুষের খাদ্যের চাহিদা মেটায়। এ কারণে আমরা কৃষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ঠিক এমনই দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় আমরা পেয়েছি রুপাই’ কবিতায়। এদিক বিবেচনায় উদ্দীপকটি রুপাই’ কবিতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ।

উদ্দীপকের বিষয়টি ছাড়াও রুপাই’ কবিতায় রুপাই এর আরও গুণের কথা উল্লেখ আছে”- মন্তব্যটি যথার্থ।

‘রুপাই কবিতার রূপাই গ্রামবাংলার প্রকৃতি লালিত কৃষক শ্রেণির সার্থক প্রতিনিধি। আলােচ্য কবিতায় কবি রূপাইয়ের মধ্য দিয়ে কৃষকের কর্মোদ্যোগ অত্যন্ত চমৎকার ভাষায় প্রকাশ করেছেন। কবির মতে, কৃষকের শ্রমেই সভ্যতা টিকে আছে।

উদ্দীপকে কৃষকদের অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্বীকার করে তাদের সাধক বলে উপমিত করা হয়েছে। কৃষকদের সেবাধর্মী কাজের জন্য সকলেই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। দেশের উন্নয়নে তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অক্লান্ত পরিশ্রম করে তারা যে শস্য উৎপাদন করে তা আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। উদ্দীপকে দেশের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ কৃষকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথাই বলা হয়েছে।

আলােচ্য কবিতায় দেখা যায়, কৃষকের শ্রমেই সভ্যতার ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। কৃষক সমাজের সার্থক প্রতিনিধি রুপাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে কেবল নিজের জন্যই খাদ্য উৎপাদন করে না বরং মানুষের জন্য খাদ্যের জোগান দেয়। সর্বদা পরের কল্যাণে সে নিজেকে নিয়ােজিত করেছে। এছাড়াও রুপাই গ্রামের শিল্প সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। লাঠি খেলায় তার মতাে খেলােয়াড় পাওয়া দুষ্কর। এমনকি জারি গানের আসরেও সে সমান পারদশী। উদ্দীপকে দেশের কল্যাণে নিয়ােজিত কৃষকদের স্তুতি গাওয়া হয়েছে। তাদের অক্লান্ত শ্রম ও সাধনার চিত্র উদ্দীপকে ফুটে উঠলেও রুপাই কবিতার অন্যান্য বিষয় এখানে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২ঃ 

ক। কবি মরণকে কালাে রঙের সাথে তুলনা করেছেন ।

খ। প্রশ্নোত্ত চরণটির মধ্য দিয়ে কবি হিন্দু ধর্মের অবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্য বৃন্দাবনবাসীর ব্যাকুলতার দিকটি উপস্থাপন করেছেন।

হিন্দু ধর্মে শ্রী কৃষ্ণকে অবতার হিসেবে আরাধ্য মনে করা হয়। তিনি ছিলেন কৃষ্ণ বর্ণের। কালাে রূপেই তিনি বৃন্দাবনবাসীর নয়নের মণি হয়ে উঠেছিলেন। আলােচ্য অংশটিতে তরুণ কৃষক রুপাইয়ের কালাে রূপের মাহাত্ম্যকে প্রকাশ করতে কবি প্রশ্নোত্ত চরণটির অবতারণা করেছেন।

গ।

কৃষকদের অবদান তুলে ধরার দিক থেকে উদ্দীপকের সঙ্গে রুপাই’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে।

রুপাই’ কবিতায় কবি রুপাই চরিত্রের মধ্য দিয়ে বাংলার কৃষকদের রূপ এবং শ্রমনিষ্ঠার দিকটিকে তুলে ধরেছেন। এ কবিতায় তিনি দেখিয়েছেন যে, রােদে পুড়ে কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে কৃষকরা ফসল ফলায়। তাদের উৎপাদিত ফসলেই আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হয়।

উদ্দীপকটিতে কৃষকদের অবদান সম্পর্কে আলােচনা করা হয়েছে। শত প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা ফসল উৎপাদনে অগ্রগতি এনেছে। তাদের কর্মপ্রচেষ্টার ফলেই বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, ঘুচেছে খাদ্য ঘাটতির বদনাম। একইভাবে, আলােচ্য উদ্দীপকেও কবি কৃষকদের কর্মদ্যোগ এবং শ্রমনিষ্ঠার দিকটি তুলে ধরেছেন। সেখানে কবি এক তরুণ কৃষক রূপাইয়ের কর্মদোগের চিত্র তুলে ধরার মধ্য দিয়ে তিনি কৃষকদের অবদানকে মূর্ত করে তুলেছেন। এদিক থেকে উদ্দীপকের সঙ্গে আলােচ্য কবিতাটির সাদৃশ্য প্রতীয়মান হয়।

ঘ|

“উদ্দীপকটি রুপাই’ কবিতার সামগ্রিকতাকে ধারণ করতে পারেনি – মন্তব্যটি যথার্থ বলেই আমি মনে করি।

রুপাই’ কবিতায় রুপাই একজন তরুণ কৃষক। বহু গুণে গুণান্বিত রূপাই তার স্বভাবসুলভ আচরণের মধ্য দিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছে। খেলাধুলা থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সকল ক্ষেত্রেই তার অবাধ পদচারণা। কবি মনে করেন, রূপাইয়ের মতাে কৃষকদের কর্মোদ্যমই একদিন সমাজে পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

উদ্দীপকে আমাদের দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণের ক্ষেত্রে কৃষকদের অনবদ্য ভূমিকা সম্পর্কে আলােচনা করা হয়েছে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং চেষ্টার কারণেই ফসল উৎপাদনে উল্লেখযােগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। কিন্তু এতকিছুর পরও তারা যথাযথ মূল্যায়িত হয়নি। উল্টো ভেজাল সার, রাজনৈতিক অস্থিরতা, ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়াসহ নানামুখী প্রতিবন্ধকতায় তারা আজ দিশেহারা। আলােচ্য কবিতায় কবিতায় রুপাই

চরিত্রের মধ্য দিয়ে কৃষকদের অবদানের দিকটি উঠে আসলেও এটিই এ কবিতার একমাত্র দিক নয়।

‘রূপাই’ কবিতায় কবি রুপাইকে উপস্থাপন করেছেন গ্রামবাংলার কৃষকদের প্রতিনিধিত্বকারী চরিত্র হিসেবে। এ কবিতায় রুপাই একজন শ্রমনিষ্ঠ ও আদর্শ কৃষক। কৃষিকাজের পাশাপাশি খেলাধুলা বা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও সে সমান পারদর্শী। স্বভাবসুলভ সরলতায় সে সকলের প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, কবিতাটিতে নানা উপমার মধ্য দিয়ে কবি রুপাইয়ের কালাে রূপের মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছেন। সর্বোপরি, গ্রামবাংলার কৃষকদের কর্মোদ্যম এবং রূপই আলােচ্য কবিতাটির মূল বিষয়। উদ্দীপকের বক্তব্যে তা সম্পূর্ণ উঠে আসেনি। সে বিবেচনায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ৩ঃ 

ক। রুপাইয়ের শরীর ছিল শ্রাবণ মাসের তমালগাছের মতাে।

খ। বিবিধ কাজে পারদর্শিতার কারণে রুপাইকে শাল-সুন্দি-বেত’ বলা হয়েছে।

শালগাছ, শ্বেতপদ্ম এবং বেত হলাে বিবিধ কাজের প্রয়ােজনীয় উপকরণ। তেমনি আলােচ্য কবিতায় রুপাইও বিবিধ কাজে পারদশী এক তরুণ। সে কৃষিকাজে দক্ষ। আখড়াতে বাঁশের লাঠি খেলায় তার জুড়ি মেলা ভার। জারিগানের আসরেও সবার আপে তার কণ্ঠ শােনা যায়। একই সাথে এতসব গুণের অধিকারী বলেই তাকে উদ্দেশ্য করে উত্ত কথাটি বলা হয়েছে।

গ।

রুপাই’ কবিতায় কৃষক রুপাইয়ের গায়ের কালাে রং ঘিরে কবির যে মুগ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে তা উদ্দীপক-১-এর ক্ষেত্রেও পাওয়া যায়।

‘রূপাই’ কবিত্রায় কবি গায়ের এক তরুণ কৃষকের কথা বলেছেন। কৃষকের গায়ের রং কালাে। কালাে হলেও সে তথাকথিত অসুন্দরের তকমা পায়নি। বরং কবির চোখে সে অসাধারণ সুন্দর হয়ে ধরা পড়েছে।

উদ্দীপক-১-এর কবি কালাে বর্ণের নারীর কথা বলেছেন, যাকে তিনি কৃষ্ণকলি নামে অভিহিত করেছেন। গাঁয়ের লোেকের কাছে মেয়েটি সাধারণ এক কালাে মেয়ে হলেও কবির কাছে সে অসাধারণ সুন্দরী এক নারী। মেঘলা দিনে এক মাঠে কবি মেয়েটির হরিণ চোখ ও চুলের লম্বা বেণি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। রুপাই কবিতার কবিও রুপাইকে দেখে এমনই মুগ্ধ হয়েছেন । কবির মতে, ভ্রমর যেন রঙিন ফুল রেখে রুপাইয়ের কালাে মুখশ্রীর প্রতিই বেশি আকৃষ্ট হয়। কালাে ছেলেটি কালাে রং দিয়েই সবকিছু আলাে করে রাখে। এভাবে কালাে বর্ণের মানুষের প্রতি মুগ্ধতা উদ্দীপক-১ ও আলােচ্য কবিতার মাঝে সাদৃশ্যের সেতুবন্ধন তৈরি করেছে।

ঘ।

উদ্দীপক-কবিতার মূলভাবকে তুলে ধরে না বলেই আমি মনে করি।

‘রুপাই কবিতায় রুপাই নামের গ্রামের এক তরুণ কৃষকের কথা বলা হয়েছে। কবিতাটিতে তার শারীরিক সৌন্দর্যসহ নানা ক্ষেত্রে পারদর্শিতার কথা বিধৃত হয়েছে। একইসাথে ফুটিয়ে তােলা হয়েছে গ্রামীণ প্রকৃতির নানা সৌন্দর্যের দিকও।

উদ্দীপক-২-এর কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেয়েরা ফুটবল খেলে বঙ্গমাতা গােল্ডকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। এর মাধ্যমে কলসিন্দুরের নাম সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে। গ্রামবাসীরা এ প্রতিভাবান মেয়েদের নিয়ে গর্ব করে।

‘রুপাই’ কবিতায় কবি এক তরুণ কৃষকের প্রশংসায় পঞমুখ হয়েছেন। রুপাই নামের ছেলেটির গায়ের কালাে বর্ণ তার চোখে অসাধারণ হয়ে ধরা পড়েছে। তিনি এ সৌন্দর্য প্রকাশে যে উপমাগুলাে ব্যবহার করেছেন তা থেকে গ্রামীণ পরিবেশের সৌন্দর্যের পরিচয় মেলে। ফুলের কালাে ভ্রমর, কাঁচা ধানের মতাে কচি মুখ, শ্রাবণ মাসের তমালগাছ, জালি লাউয়ের ডগার মতাে সরু বাহু তেমনই কিছু উপমা। নানান কাজে পারদর্শী রুপাই একদিন গায়ের নাম উজ্জ্বল করবে বলেও কবি বিশ্বাস করেন। এই তরুণ কৃষকের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করতে গিয়ে কবি সমস্ত কৃষকসমাজেরও প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, সভ্যতার ইতিহাস সৃষ্টিতে কৃষকের শ্রমের গুরুত্বের কথাও। এসব দিক উদ্দীপক-২ এ ফুটে ওঠেনি। সেখানে কেবল কিশােরী ফুটবলারদের গৌরব ও প্রশংসার কথাই বিধৃত হয়েছে। তাই উদ্দীপক-২ ‘রুপাই’ কবিতার মূলভাব তুলে ধরে না।

শেষ কথা

আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের অনেক ভালোলেগছে এবং এই পোস্ট থেকে রুরুপাই কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম শিক্ষামূলক আরও পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকুন। অষ্টম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্রের অনেক পোস্ট এই ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হয়েছে। পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আরও দেখুনঃ

রুপাই কবিতা– জসীমউদ্দীন। বাংলা ১ম পত্র অষ্টম শ্রেণি

আবার আসিবো ফিরে – জীবনানন্দ দাশ। বাংলা ১ম পত্র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *