E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking,...
ডাটা এন্ট্রি কি – What is Data entry জানার আগ্রহের পাশাপাশি আমাদের অনেকের মাঝে এই কাজের ভবিষ্যৎ কেমন এবং ডাটা এন্ট্রি করে কিভাবে মার্কেটপ্লেসগুলোতে ভালো পরিমাণ ইনকাম করা যায়, তা নিয়ে রয়েছে নানা রকম প্রশ্ন। এরকম খুঁটিনাটি সকল প্রশ্নের উত্তরের পাশাপাশি ডাটা এন্ট্রি নিয়ে সঠিক একটি গাইড লাইন দেওয়ার চেষ্টা করবো আজকের এই আর্টিকেলে। ( ইন্টারনেট থেকে আয় করার কয়েকটি উপায় এবং এডসেন্স থেকে টাকা তোলার উপায় সম্পর্কে জানুন )
সাধারণত Data entry (ডাটা এন্ট্রি) কাজ করতে তেমন আহামরি কোন দক্ষতা কিংবা স্কিলড এর দরকার প্রয়োজন হয় না। যে কারণে মার্কেটপ্লেস কিংবা লোকালি অনায়াসে যেকেউ উক্ত কাজটি করে সাবমিট করে বেশ স্মার্ট একটি স্যালারি পেতে পারে। জেনে অবাক হবেন যে, এই ২০২২-২৩ সালেও বাংলাদেশের অনেক কোম্পানি সহ এরকম পৃথিবীর বেশ বড় বড় জায়ান্ট কোম্পানিগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে ডাটা এন্ট্রির জন্য পারমানেন্ট চাকুরিজীবী নিয়োগ দিচ্ছে। এর অন্যতম একটি বাংলাদেশীমুখী উদাহরণ হলো বাংলাদেশ বিদ্যুৎ অফিস সমূহ। ( নতুন গুগল একাউন্ট সহজেই খোলার নিয়ম )
যাইহোক, যেহেতু আজকের আর্টিকেলটি ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কিত, সেহেতু পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমরা ডাটা এন্ট্রি কি তা জানার পাশাপাশি ডাটা এন্ট্রির কিভাবে করতে হয়? ডাটা এন্ট্রির মার্কেটপ্লেস, ডাটা এন্টির কাজ করতে কি কি স্কিল বা দক্ষতা থাকতে হয়, ডাটা এন্ট্রির ভবিষ্যৎ কেমন সহ ডাটা এন্ট্রি করে কেমন পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন, ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে কি কি প্রয়োজন, ডাটা এন্ট্রির কাজ কোথায় শিখতে পারবেন সহ ইত্যাদি এরকম জাতীয় প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। আলোচনা বিলম্ব না করে তাহলে চলুন, আজকের আর্টিকেল তথা ডাটা এন্ট্রি কি সম্পর্কিত সকল তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
ডাটা এন্ট্রি কি – What is Data entry?
ডাটা এন্ট্রি কি? Data মানি তথ্য এবং Entry অর্থ কোনো কিছুকে লিপিভুক্ত করা। এক কথায় বললে ডাটা এন্ট্রি Data Entry অর্থ হলো তথ্য সমষ্টি কোনো কিছুকে লিখে অথবা টাইপ করে লিপিভুক্ত করা। তাহলে ডাটা এন্ট্রির সংজ্ঞা কি? ডাটা এন্ট্রি হলো মূলত একজন টাইপিস্ট দ্ধারা যথাযাথভাবে কোনো কিছুর হার্ড কপি থেকে সফ্ট কপিতে কনভার্ট করা। অর্থাৎ তথ্য সম্মেলিত কোনো কিছুকে কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোন দ্ধারা নির্ভুল টাইপিং এর মাধ্যমে সফটওয়্যার কিংবা অ্যাপস এর মাধ্যমে সফ্ট কপিতে রূপান্তারিত করাকেই ডাটা এন্ট্রি বলে।
স্বল্প কিছু দক্ষতা নিয়েই আপনি ডাটা এন্ট্রির মতো কাজ করা শুরু করা দিতে পারেন। আপনি জানলে অবাক হবেন যে, আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকার ডাটা এন্ট্রির কাজ সম্পাদন হয়ে থাকে। একদম একজন নিউবি, ব্যাসিক কিছু নলেক বা জ্ঞান নিয়েই সে মার্কেটপ্লেসগুলোর পাশাপাশিও লোকলি তাঁর ডাটা এন্ট্রি সার্ভিস Data Entry Service দিতে পারে। এটা কিভাবে কিংবা অন্যসকল প্রশ্নের উত্তর নিম্নে বিস্তারিত দেওয়া রয়েছে। চলুন জেনে নিই।
ডাটা এন্ট্রি কত প্রকার ?
ডাটা এন্ট্রি কত প্রকার কিংবা ডাটা এন্ট্রির প্রকারভেদ নিয়ে যদিও অনেক কন্ট্রোভার্সি রয়েছে, তবে ক্ষেত্র ও কাজ ভেদে বিশেষজ্ঞরা ডাটা এন্ট্রিকে নিম্নোক্ত কয়েকটি প্রকারে ভাগ করেছেন। যেহেতু বর্তমানে ইন্টারনেট ভিত্তিক অধিকাংশ কাজই কম্পিউটার নির্ভর, সেহেতু আপনিও ডাটা এন্ট্রি কাজের ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন এবং তাতে আপনি মাইক্রোসফট এক্সেল – MS Excel, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড – MS Word সম্পর্কিত উক্কত কম্পিউটার সফটওয়্যাগুলো Computer Softwares ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনের তুলনায় মানুষগণ আলাদা কাজের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা Database style এবং Software ব্যবহার করে থাকে। যে বিধায় ডাটা এন্ট্রির কাজও অনেক প্রকার হয়ে থাকে। তাহলে এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, ডাটা এন্ট্রির প্রকারভেদগুলো কি কি? চলুন জেনে নিই, ডাটা এন্ট্রির প্রকারভেদগুলো হলো-
- MS-excel data entry
- Spelling checking
- Paper documentation
- Job posting
- Translation
- Data conversion
- Database creation
এখানে যে কয়েকটি ডাটা এন্ট্রির প্রকারভেদ উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে চলমান আরো কিছু যোগা হয়েছে এবং হচ্ছে। তবে ডাটা এন্ট্রির জনপ্রিয় প্রকারভেদগুলো এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। চলুন সংক্ষিপ্তে উল্লেখিত প্রকারভেদগুলোর বিস্তারিত ডিটেইলস জেনে নেওয়া যাক।
MS-excel data entry
একটি কোম্পানির জরিপের সকল তথ্য হোক সেটা sales, purchase, customer review, feedback অথবা record জাতীয় কোনো কিছুর তথ্য MS-excel এ সংরক্ষিত করা। এটা এমনও হতে পারে যে আপনি পেপর শিটের কোনো কিছু মাইক্রোসফট এক্সেলে তুলে ধরলেন।
মাইক্রোসফট এক্সেলের কাজ জানা থাকলে আপনার জন্য উক্ত কাজটি করতে অনেক সহজ। বর্তমানে মার্কেটগুলোতে এটি নিয়ে প্রচুর পরিমাণে কাজ রয়েছে। আপনি জাস্ট Fiverr গিয়ে এর সার্চ বক্সে লিখুন Data Entry এবং এরপর যে গিগ গুলো সামনে আসবে, সেগুলো একটু অ্যানালাইসিস করলেই আপনি প্রাপ্ত উত্তর পেয়ে যাবেন। এবং তাদের অর্ডার ও আয় সম্পর্কেও ধারণা পেয়ে যাবেন। শুধুমাত্র MS-excel দ্ধারা ডাটা এন্ট্রির কাজ করে তাঁরা হাজার হাজার ডলার আয় করছে।
Spelling checking
এটি বোধ-হয় অন্য সবগুলো টাস্ক থেকে সবচেয়ে সহজ। Spelling checking হলো মূলত পূর্বের লেখা কোনো বই, হিস্টোরির বানান, লেখা, উপন্যাস সহ কবিতা ইত্যাদি জাতীয় ডাটার বানানের মধ্যে কোনো রকম ভুল রয়েছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা। আপনি যদি বাংলা-ভাষি হোন, তাহলে তো কাজটি আরো সহজ। আর যদি ইংলিশে পারদর্শী হোন, তাহলে Spelling checking নামক ডাটা এন্ট্রি কাজটি আরো সহজ। মূলত এটিই হলো ডাটা এন্ট্রি কাজের আরেকটি সহজ মাধ্যম।
Paper documentation
Paper documentation নাম শুনেই অনেকে ধারণা করতে পেরেছেন যে কাজটি মূলত কি? সহজ ভাষায় এটি হলো ফিজিক্যাল একটি হার্ড কপি আপনাকে দেওয়া হবে, এবং আপনি সেটি দেখে দেখে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কিংবা এক্সেলে টাইপিং করে উঠাবেন। এটি হলো অত্যান্ত সহজ একটি কাজ। জাস্ট টাইপিং করা। এই ক্ষেত্রে আপনার যদি যথেষ্ট টাইপিং স্পিড থেকে থাকে, তাহলে আপনি বেশ ভালো পরিমাণ কাজ দৈনিক কাভার করতে সক্ষম হবেন। বেশি কাজ মানিই হলো বেশি টাকা উপার্জন করা।
Job posting
Job posting article লিখেকেই মূলত Job posting বলে থাকে। সাধারণত বাংলাদেশেই প্রতিদিন হাজার হাজার চাকুরির নিয়োগ দিয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে যে সমস্ত সাইট প্রতিনিয়ত জব পোস্ট Job Post করে থাকে, তাদেরকে প্রচুর পরিমাণে পোস্ট দিতে হয় এবং একই সাথে ইউনিক তথ্যগুলোও তুলে ধরতে হয়।কিন্তু সেই সাইটের মালিক দ্ধিতীয়জনকে হায়ার করতে হয়। সেখানে আপনি ইন্টারনেট থেকে সেই job circular রিলেটেড নতুন পোস্টগুলো থেকে টাইপিং করে ক্লাইন্টের সাইটে পোস্ট করবেন। মূলত এটিই হলো ডাটা এন্ট্রির Job posting এর কাজ।
Translation
যদিও Translation একটি কঠিন কাজ নতুনদের জন্য তবে যদি কেউ নির্দিষ্ট একটি ভাষায় পারদর্শী হয়ে থাকে, তাহলে সে খুব সহজেই উক্ত কাজটি করে টাকা ইনকাম করতে পারে। তাহলে Translation কাজটি কি? এটি হলো আপনি কোনো একটি অনলাইন কিংবা হার্ডকপি বাই, পিডিএফ কিংবা যেকোনো কিছুকে সেই ভাষা থেকে নির্দিষ্ট একটি লোকাল ভাষায় রূপান্তরিত করা। ধরুণ একটি ইংরেজি বইয়ের একটি গল্পকে আপনি বাংলায় ট্রান্সলেট করলেন, এটিই হলো ডাটা এন্ট্রির Translation কাজ। সেটা যে শুধু ইংরেজীতে হবে কিংবা ইন্টারনেট নির্ভর হবে, তাই না। হতে পারে সেটা ফিজিক্যালি।
Data conversion
এক কথায় Data conversion হলো কোনো একটি ডাটার শিটের ফরমেট চেঞ্জ করে দেওয়া। অর্থাৎ ফাইলটি যদি দি ইমেইজে থাকে, তাহলে আপনি সেটা ওয়ার্ডে কনভার্ট করে দিবেন। অথবা ফরমেটটি যদি পিডিএফ ফাইলে থাকে, সেটা আপনি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কিংবা এক্সেলে পরিবর্তন করে দিবেন।
Database creation
Database creation কাজটি মূলত বেশিরভাগ সময়ে সরকারি কাজের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন আসতে পারে যে Database creation কি? সাধারণত Database creation হলো ফিজিক্যালি কোনো একটি ডাটা শিট থেকে সেটা ডিজিটাল ডাটায় রূপান্তর করা অর্থাৎ একটি পেপার থেকে দেখে দেখে সে ডাটাগুলো কম্পিউটার টাইপিং এর মাধ্যমে ওয়ার্ড কিংবা যেকোনো ফরমেটে কনভার্ট করা এবং ডিজিটালি সেটাকে রক্ষিত করা। আমাদের দেশেও আদম-শুমারি সহ নানা রকম পরিসংখ্যান হয়ে থাকে। উক্ত পরিসংখ্যান থেকে যে ডাটাগুলো কর্মীরা খাতায় নোট করে থাকে, সেটা টাইপিং এর মাধ্যমে কম্পিউটারে সংরক্ষণ করাকেই Database creation বলে থাকে।
ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা কি?
যদিও ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য আহামরি তেমন কোনো দক্ষতার প্রয়োজন নেই। উপরে ডাটা এন্ট্রির কয়েকটি প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন আপনি এখান থেকে সহজটিও বেঁচে নিয়ে ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু করে দিতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে যদিও তেমন কোনো দক্ষতার প্রয়োজন নেই, কিন্তু আপনাকে কি-বোর্ড টাইপিং এ বেশ ভালো দক্ষতা রাখতে হবে এবং একই সাথে বানান নির্ভুলতায় মনোযোগ রাখার ক্ষমতা থাকতে হবে। চলুন পয়েন্ট আকারে জানা যাক একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কি কি দক্ষতা প্রয়োজন সেগুলো-
- টাইপিং স্পিডে দক্ষতা
- বানান নির্ভুলতা
- ভাষাগত দক্ষতা
- কম্পিউটার ব্যাসিক স্কিল
- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল সহ খুঁটিনাটি কিছু স্কিল
- কনভার্সন করার জন্য ব্যাসিক ইংলিশ জানা থাকা
মূলত উপরের জিনিসগুলো যদি কোনো একজন ব্যক্তির দক্ষতা হিসেবে থাকে, তাহলে সে অনায়াসে ডাটা এন্ট্রির কাজ মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রোভাইড করতে পারে।
ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে কি কি প্রয়োজন?
যেহেতু ডাটা এন্ট্রি কাজটি মূলত সহজ একটি কাজ, সেহেতু ব্যাসিক কিছু জিনিসপত্র থাকলেই আপনি ডাটা এন্ট্রি কাজটি শুরু করে দিতে পারেন। এখন যদি বলেন নির্দিষ্টভাবে কি কি প্রয়োজন? চলুন সেগুলো জেনে নিই।
- কম্পিউটার
- ইন্টারনেট সংযোগের সু-ব্যবস্থা
- ব্যাসিক কম্পিউটারের নলেজ
- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল সম্পর্কে জ্ঞান
- গুগল ওয়ার্ড ও এক্সেল সম্পর্কে ব্যাসিক সকল জ্ঞান
- এক্সেলের সুত্রসমূহ সম্পর্কে ব্যাসিক জ্ঞান
- ভাষাগত নির্ভুল হওয়া
- বানান নির্ভুলে দক্ষতা অর্জন করা
- ইংরেজিতে কমিউনিকেশন করার দক্ষতা
- মার্কেটিং দক্ষতা
- মার্কেটপ্লেস থেকে বায়ার খুজে কাজ পাওয়ার যোগ্যতা।
মূলত উপরে উল্লেখক করা দক্ষতাগুলো অর্জন করার মাধ্যমে একজন নিউবি ইচ্ছা করলে মার্কেটপ্লেসগুলোতে একাউন্ট করে তাঁর ডাটা এন্ট্রি সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারে।
ডাটা এন্ট্রি কাজের ওয়েবসাইট – মার্কেটপ্লেস কোনগুলা?
শুধুমাত্র ডাটা এন্ট্রি কাজের মার্কেটপ্লেসগুলোই নয়, বরং ফ্রিল্যান্সিং করার সকল মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারবেন। সুতরাং ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস মানিই হলো ডাটা এন্ট্রির কাজের ক্ষেত্র। চলুন ডাটা এন্ট্রি কাজের ওয়েবসাইট সম্পর্কে একটা আইডিয়া নেওয়া যাক।
- Upwork
- Fiverr
- Freelancer
- Guru
- People Per Hour
- Toptal
- FlexJobs
- 99designs
- SimplyHired
- Aquent
- PubLoft
উপরোক্ত মার্কেটপ্লেসগুলোর যেকোনো একটিতে আপনি একাউন্ট করে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন। এখানে বেশ কয়েকটি ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, এর মধ্য থেকে আপনি যেকোনো একটিকে চয়েজ করতে পারন। ধরুণ আপনি আপওয়ার্কে সার্ভিস প্রোভাইড করতে চাচ্ছেন, সুতরাং আপনি সেখানেই একটি একাউন্ট করে কম্পিটিটরদের কে বিড করতে পারেন। এছাড়াও আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ লোকালি পেতে পারেন। বাংলাদেশে প্রচুর পরিমানে ডাটা এন্ট্রি করার জন্য মাসে মাসে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ পেতে পারেন।
ডাটা এন্ট্রি কাজ কিভাবে শিখবো?
এতোক্ষণ দীর্ঘ আর্টিকেলটি পড়ে এখন অবশ্য আপনাদের মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ডাটা এন্ট্রির কাজ কিভাবে শিখবো? আপনি জেনে অবাক হবেন যে, প্রকৃতপক্ষে ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য সেরকম কোনো স্কিল থাকা অপরিহার্য নয়। অর্থাৎ ব্যাসিক কিছু জ্ঞান নিয়েই আপনি ডাটা এন্ট্রি সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারেন মার্কেটপ্লেসগুলোতে।
এখন কিভাবে শিখবেন ডাটা এন্ট্রির কাজ? সাধারণত ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখার জন্য সবচেয়ে বেস্ট উপায় হলো ইউটিউবের ডাটা এন্ট্রি টিউটোরিয়াল । আপনি যদি সিম্পলি ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করেন যে, Data entry অথবা ডাটা এন্ট্রি কি বা ডাটা এন্ট্রি টিউটোরিয়াল বাংলা লিখে, তাহলে আপনি অসংখ্য ভিডিও কন্টেন্ট পেয়ে যাবেন ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড। এখান থেকে আপনি যেকোনো একটি ইউটিউব চ্যানেলকে অনুসরণ করুণ এবং প্রথম হতে শেষ অবধি তাদের পাবলিশড সকল ভিডিওগুলো দেখুন। আশা করি এই টুকু করতে পারলেই আপনি ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে বিস্তর একটি ধারণা পাওয়ার পাশাপাশি কিভাবে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে হয় এবং ডাটা এন্ট্রি জব পেতে হয়, সব কিছু সম্পর্কেই ধারণা পেয়ে যাবেন। মূলত উক্ত পদ্ধতি অবলম্বণ করে আপনিও ডাটা এন্ট্রির কাজ খুব সহজেই ইউটিউব থেকে শিখতে পারেন এবং এভাবেই ডাটা এন্ট্রি শিখুন। তবে প্রথমে আপনি যেকোনো একটি ইউটিউব চ্যানেলকে সিলেক্ট করুণ এবং তাঁর দেওয়া সকল ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কিত কন্টেন্ট দেখা শেষ করুন। এরপর আপনার চাহিদা অনুযায়ী অন্য চ্যানেলের ভিডিও দেখতে পারেন। এছাড়াও ইন্টারনেটে ডাটা এন্ট্রি বই pdf নামেও অনেক বই রয়েছে। এগুলোও পড়তে পারেন এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে একটি জিনিস লক্ষণীয় যে, অবশ্যই আপনাকে আপনার প্র্যাক্টিস বজায় রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে প্র্যাক্টিস করে যেতে হবে। এভাবেই আপনি অনলাইন হতে ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখতে পারবেন।
ডাটা এন্ট্রি করে কত টাকা আয় করা যায়?
ডাটা এন্ট্রি করে কেমন উপার্জন করা সম্ভব সেটা সম্পূর্ণ আপনার কাজের উপর নির্ভর করে থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি মনোযোগ সহকারে কাজ করে থাকেন এবং উক্ত কাজের উপর আপনার প্রচন্ড অভিজ্ঞতা থেকে থাকে, তাহলে অনায়াসে আপনি মাস শেষে বেশ ভালো একটি পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।
তবে আপনি যদি আইডিয়া নিতে চান,তাহলে আপনি অনলাইন ইনকাম সোর্স তথা ফাইবারে চলে যান এবং সেখানে সার্চ করুণ Data Entry লিখে। যে রেজাল্টগুলো আপনার সামনে শো করবে, সেগুলো নিয়ে একটু অ্যানালাইসিস করলে আপনিও ডাটা এন্ট্রির ইনকাম সম্পর্কে বেশ ভালো একটি ধারণা পেয়ে যাবেন। ডাটা এন্ট্রি করে কত টাকা আয় করা যায়, সেটা এক্সেক্ট কেউ বলতে পারবে না। তবে আপনি যদি ক্লাইন্ট হ্যান্ডেলিং ভালো পেরে থাকেন এবং টাইপিং ও উপরে উল্লেখিত অন্য সকল বিষয়ে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি মাস শেষে ভালো এমাউন্টের টাকা আয় করতে পারেন ডাটা এন্ট্রি করে।
ডাটা এন্ট্রি কাজের ভবিষ্যত কেমন?
এবার আসি ডাটা এন্ট্রি নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত প্রশ্নটি নিয়ে। সেটা কি? ডাটা এন্ট্রির ভবিষ্যৎ কেমন? দেখুন শুধু মাত্র ডাটা এন্ট্রিই নয়, বরং পৃথিবীতে থাকা কোনো কাজেরই ভবিষ্যৎ কেউ নিশ্চিত করতে পারবে না। তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর এই বিশ্ব খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় আমাদেরকেও তাল মিলাতে হচ্ছে। যদি একটি উদাহরণ দেই তাহলে ব্যাপারটি বোঝতে সহজ হবে। ২০১০ সালেও মুভির শুটিং এর জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা লাগতে এবং সেই ক্যামারা হেন্ডেলিং এর জন্য একজন ক্যামেরা –ম্যানের ও দরকার লাগতো। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন ড্রোন এসেছে। এবং সেই হেলিকপ্টারের এখন প্রয়োজন পড়ছে না পাশাপাশি সেই ক্যামেরাম্যানেরও। বিষয়টি হয়তো আপনার এতোক্ষণে বোঝতে পেরেছেন। তবে শ্রীঘই যে ডাটা এন্ট্রির কাজ চলে যাবে কিংবা যাচ্ছে, তা কিন্তু নয়। যদি মার্কেটে এমন কোনো প্রিমিয়াম সফটওয়্যার বা অ্যাপস আসে, যা অটোমেটিক উক্ত কাজগুলো করতে পারবে, তখন হয়তো এই শঙ্কা সত্য হবে। তবে সবচেয়ে ভালো গাইড হলো- যেহেতু ডাটা এন্ট্রি কাজটি অত্যধিক সহজ কাজ, তাই আপনি পাশাপাশি ভবিষ্যৎ নির্ভর এমন একটি ভালো ও উজ্জ্বল কাজ শিখেন। এতে করে আপনি কিছুটা হলেও সেইভ থাকলেন।
মূলত এটিই হলো ডাটা এন্ট্রি নিয়ে ভবিষ্যৎ এর বিষয়বস্তু। যদিও এখানে বেশ সংক্ষিপ্তে বিষয়গগুলোকে তুলে ধরেছি, তবে আশা করি বোঝতে আপনাদের সমস্যা হয় নি।
ডাটা এন্ট্রি কি নিয়ে শেষ কথা
যদিও Data entry bangla tutorial নিয়েও অনেক কন্টেন্ট YouTube রয়েছে, তাই আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আপনি যেকোনো একটি চ্যানেলের উপর ফোকাস রেখে খুব সহজেই ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখে ফেলতে পারেন।
ইতিমধ্যে ডাটা এন্ট্রি কি সহ ডাটা এন্ট্রি নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন ও তাঁর উত্তর সম্পর্কে জেনেছেন। এখন আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখতে চান এবং তা ক্লাইন্টদের প্রোভাইড করে স্মার্ট অ্যামাউন্ট অর্থ উপার্জন করতে চান, তাহলে উপরোক্ত গাইডলাইনগুলোকে ভালোভাবে অনুসরণ করতে পারেন। পাশাপাশি আপনার দৃঢ় প্র্যাক্টিস চালিয়ে যান।
যখনই আপনি আপনার স্কিল ডেভোলাপ করতে পারবেন এবং হিউজ কাজ পাবেন, তখন আপনার স্কিলের উপর নির্ভর করবে আপনার মাসিক ইনকাম। অনলাইন থেকে কাজ করার বোধহয় সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা। যেহেতু ডাটা এন্ট্রির কাজটিই হলো মূলত টাইপিং রিলেটেড এবং তা এটার সাথে খুবই সংস্পর্শি, তাই আপনি আপনার টাইপিং স্পিডে যতটা উন্নতি করতে পারেন, মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি ততো ভালো করতে পারবেন।
কাজের দক্ষতা তথা কম্পিউটার কিবোর্ড টাইপেং এ আপনাকে প্রচুর পরিমাণে এক্সপার্ট হতে হবে, এটা এতাক্ষণে আপনি যেহেতু বোঝে গিয়েছেন, সেহেতু আপনি ইচ্ছা করলেই ডাটা এন্ট্রি রিলেটেড কয়েকটি ভালো ও বিশ্বাস যোগ্য চ্যানেল ও তাদের ভিডিও গুলোকে অনুসরণ করতে পারেন। যদি প্রয়োজন বোধ হয়, তাহলে সে ভিডিওগুলো ডাউনলোডও করে ফেলতে পারেন। মূলত প্রথম দিকে বেশ কিছু কষ্ট করে টাইপিং ও ফোকাস দক্ষতাকে উন্নতি করতে পারলে, মাস শেষে ভালো পরিমাণ ইনকাম করা সম্ভব শুধুমাত্র ডাটা এন্ট্রি করেই।
সুতরং, আশা করি আজকের আর্টিকেল তথা ডাটা এন্ট্রি কি দ্ধারা পাঠকগণ ব্যাপক ভাবে উপকৃত হতে পেরেছে এবং কি কি কাজ দক্ষতা অর্জন সহ আনুসাঙ্গিক সকল ধরণের প্রশ্নের উত্তরগুলো সে এখানে থেকে পেয়েছে। তাই বিলম্ব না করে, সম্ভব হলেও এখনই ডাটা এন্ট্রি কাজ এ লেগে পড়ুন।
ডাটা এন্ট্রি কি নিয়ে প্রশ্ন-উত্তর
হ্যাঁ, ডাটা এন্ট্রির কাজ আপনি হাতের স্মার্টফোনের মাধ্যমেই করতে পারেন। তবে এখানে কিছু প্রতি-বান্ধকতা রয়েছে। যেমন আপনি নির্ভুলভাবে টাইপিং করতে সমস্যা ফেস করাতে পারেন কিংবা স্ক্রিন নির্দিষ্ট হওয়ায় টাইপিং মিস্টেক হওয়ার সম্ভাবণা থাকে। তবে উক্ত সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে, আশা করি ডাটা এন্ট্রির কাজ data entry job মোবাইল দ্ধারাও করতে পারেন।
ডাটা এন্ট্রি করে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়, তা সম্পূর্ণভাবে আপনার উপর নির্ভর করে। সাধারণত ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো ঘণ্টা কিংবা শিটের উপর নির্ভর করে। যদি আপনি ক্লাইন্টকে ভালোভাবে কনভেন্স করতে পারেন এবং আপনার কাজের মধ্যে দ্রুততা থাকে, তাহলে অ্যাভারেজ মাসিক ৩০কে + টাকা আয় করা সম্ভব শুধুমাত্র ডাটা এন্ট্রির কাজ করেই।
ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ হলো কোনো নির্দিষ্ট একটি সফটওয়্যারের সাহায্য কোনো কিছুর তথ্যকে টাইপিং করে সফ্ট কপিতে রূপান্তর করা। মূলত টাইাপং হলো একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের মূল কাজ।
ডাটা এন্ট্রি কি সম্পর্কে আরো জানতে
E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.