প্রার্থনা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর। অষ্টম শ্রেণি

প্রার্থনা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
ekram145
UX/UI Designer at - Adobe

Sharing is caring!

এই পোস্টে প্রার্থনা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর দেওয়া আছে। যা মূল বইয়ে দেওয়া নেই। এই ধরনের প্রশ্ন থেকে সৃজনশীলের ক নাম্বার তৈরি করা হয়। এজন্য আপনাদের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন গুলো পড়তে হবে। অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের জন্য গাইড ফলো করতে হবে। তবে অনেকের কাছে গাইড নেই। তারা নিচের দেওয়া প্রশ্ন গুলো পড়ে নিবেন। এই প্রশ্ন গুলো মূলত গাইড এর সাথে মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

প্রার্থনা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

এখানে প্রার্থনা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন গুলো কবিতা অনুসরণ করে তৈরি করা। তাই প্রথমে আপনারা পার্থনা কবিতা ও এর ব্যাখ্যা গুলো পড়ে নিবেন। এখান থেকে জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর জেনেনিন।

প্রশ্ন-১। ‘প্রসাদ’ অর্থ কী?
উত্তর: ‘প্রসাদ’ অর্থ অনুগ্রহ।

প্রশ্ন-২। ‘চারু’ মানে কী?
উত্তর: ‘চারু’ মানে ‘সুন্দর’।

প্রশ্ন-৩। ‘শােকানল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘শােকানল’ শব্দের অর্থ শোকরূপ অনল।

প্রশ্ন-৪। স্তুতি কথার অর্থ কী?
উত্তর: স্তুতি কথার অর্থ প্রশংসা।

প্রশ্ন-৫। ‘আরতি’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: আরতি’ শব্দটির অর্থ প্রার্থনা’।

প্রশ্ন-৬। প্রার্থনা’ কবিতার রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘প্রার্থনা’ কবিতার রচয়িতা কায়কোবাদ।

প্রশ্ন-৭। ‘প্রার্থনা’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?
উত্তর: প্রার্থনা’ কবিতাটি ‘অশ্রুমালা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে।

প্রশ্ন-৮। ‘প্রার্থনা কবিতায় কবি কার মহিমার কথা বর্ণনা করেছেন?
উত্তর: প্রার্থনা’ কবিতায় কবি স্রষ্টার মহিমার কথা বর্ণনা করেছেন।

প্রশ্ন-৯। ‘প্রার্থনা’ কবিতায় কবি কার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা জানিয়েছেন?
উত্তর: ‘প্রার্থনা’ কবিতায় কবি স্রষ্টার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা জানিয়েছেন।

প্রশ্ন-১০। ‘প্রার্থনা কবিতার কবি চোখের জলে নিজেকে কার কাছে নিবেদন করেন?
উত্তর: প্রার্থনা কবিতার কবি কেমন করে নিজেকে স্রষ্টার কাছে নিবেদন করেন।

প্রশ্ন-৩৩। কায়কোবাদ কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: কায়কোবাদ ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন-১১। কায়কোবাদ কোন থানায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: কায়কোবাদ নবাবগঞ্জ থানায় জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন ১২। কায়কোবাদের আসল নাম কী?
উত্তর: কায়কোবাদের আসল নাম মুহম্মদ কাজেম আল কুরায়শী।

প্রশ্ন-১৩। ‘শিবমন্দির’ কায়কোবাদের লেখা কোন ধরনের গ্রন্থ?
উত্তর: ‘শিবমন্দির’ কায়কোবাদের লেখা কাব্যগ্রন্থ।

প্রশ্ন-১৪। কায়কোবাদ কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: কায়কোবাদ ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

প্রশ্ন-১৫। কবি কায়কোবাদ নিজ গ্রামে কোন দায়িত্ব পালন করেন?
উত্তর: কবি কায়কোবাদ নিজ গ্রামে পােস্টমাস্টারের দায়িত্ব পালন করেন।

প্রশ্ন-১৬। কায়কোবাদের কবিতা লেখার হাতেখড়ি কখন থেকে?
উত্তর: কায়কোবাদের কবিতা লেখার হাতেখড়ি ছেলেবেলা থেকে।

প্রশ্ন-১৭। কবি কায়কোবাদ রচিত মহাকাব্যের নাম কী?
উত্তর: কবি কায়কোবাদ রচিত মহাকাব্যের নাম— মহাশ্মশান।

প্রশ্ন-১৮। কবি কায়কোবাদ রচিত ‘মহাশশান’ কী ধরনের গ্রন্থ?
উত্তর: কবি কায়কোবাদ রচিত ‘মহাশ্মশান’ হচ্ছে একটি বিখ্যাত মহাকাব্য।

প্রশ্ন-১৯. বিপদে-আপদে, সুখে-শান্তিতে কবি বিধাতার কাছ থেকে কী কামনা করেন?
উত্তর: বিপদে-আপদে, সুখে-শান্তিতে কবি বিধাতার কাছ থেকে শক্তি কামনা করেন।

প্রশ্ন-২০। কার অফুরন্ত দয়ায় জগতের সবকিছু চলছে?
উত্তর: সষ্টার অফুরন্ত দয়ায় জগতের সবকিছু চলছে।

প্রার্থনা কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন-২১। কবি কাকে হৃদয়ে বল দিতে বলেছেন?
উত্তর: কবি সষ্টাকে হৃদয়ে বল দিতে বলেছেন।

প্রশ্ন-২২। কে নিঃসম্বল হয়ে প্রভুর দুয়ারে দাঁড়িয়েছেন?
উত্তর: কবি নিঃসম্বল হয়ে প্রভুর দুয়ারে দাঁড়িয়েছেন।

প্রশ্ন-২৩। কবি কাকে এক মুহূর্তও ভােলেন না?
উত্তর: কবি স্রষ্টাকে এক মুহূর্তও ভােলেন না।

প্রশ্ন-২৪৷ কবি প্রভুকে হৃদয়ে কী দিতে বলেছেন?
উত্তর: কবি প্রভুকে হৃদয়ে বল দিতে বলেছেন।

প্রশ্ন-২৫। ‘প্রার্থনা’ কবিতায় কবি কী করতে জানেন না?
উত্তর: প্রার্থনা’ কবিতায় কবি ভক্তি বা সুতি করতে জানেন না।

প্রশ্ন-২৬। জীবনে-মরণে, শয়নে-স্বপনে কবির পথের সম্বল কে?
উত্তর: জীবনে-মরণে, শয়নে-স্বপনে কবির পথের সম্বল হলেন সষ্টা।

প্রশ্ন-২৭। সষ্টার গুণগানে কারা সর্বদা আত্মহারা?
উত্তর: সষ্টার গুণগানে পাখিরা সর্বদা আত্মহারা।

প্রশ্ন-২৮। একাগ্র হৃদয়ে স্রষ্টাকে স্মরণ করলে কী নিভে যায়?
উত্তর: একাগ্র হৃদয়ে সষ্টাকে স্মরণ করলে শশাকের আগুন নিভে যায়।

প্রশ্ন-২৯। বসন্তের বায়ুকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর: বসন্তের বায়ুকে কবি স্রষ্টার নিঃশ্বাসের সাথে তুলনা করেছেন।

প্রশ্ন-৩০। একাগ্র হৃদয়ে স্রষ্টাকে স্মরণ করলে কী নিভে যায়?
উত্তর: একাগ্র হৃদয়ে স্রষ্টাকে স্মরণ করলে শশাকের আগুন নিভে যায়।

প্রশ্ন-৩১। জগতের কোন জিনিস স্রষ্টার স্নেহ কণা?
উত্তর: জগতের আয়ু স্রষ্টার স্নেহ কণা।

প্রশ্ন-৩২। কবি স্রষ্টার কাছে কী সমর্পণ করতে চান?
উত্তর: কবি স্রষ্টার কাছে আঁখিজল সমর্পণ করতে চান।

প্রশ্ন-৩৩। কার নাম স্মরণ করলে অশেষ মঙ্গল হয়?
উত্তর: স্রষ্টার নাম স্মরণ করলে অশেষ মাল হয়।

প্রশ্ন-৩৪। ক্রোড়’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘ক্রোড়’ শব্দের অর্থ কোল।

প্রশ্ন-৩৫। প্রভুর গুণগানে আত্মহারা কে?
উত্তর: নানা জাতের পাখিরা প্রভুর গুণগানে আত্মহারা।

প্রশ্ন-৩৬। ‘প্রার্থনা কবিতায় সষ্টার নিঃশ্বাসকে কীসের সাথে তুলনা করা হয়েছে?
উত্তর: প্রার্থনা’ কবিতায় স্রষ্টার নিঃশ্বাসকে বসন্তের বায়ুর সাথে তুলনা করা হয়েছে।

প্রশ্ন-৩৭। ‘পল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘পল’ শব্দের অর্থ – মুহূর্তকাল।

প্রশ্ন-৩৭। ‘বিভাে’ অর্থ কী?
উত্তর: ‘বিভাে’অর্থ- সষ্টা’।

প্রশ্ন-৩৮। কারা আনন্দে বিহ্বল?
উত্তর: পাখিরা আনন্দে বিহ্বল।

প্রশ্ন-৩৯। পেষণে’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘পেষণে’ শব্দের অর্থ অত্যাচারে।

প্রার্থনা কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

এখানে প্রার্থনা কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন শেয়ার করা হয়েছে। এই প্রশ্ন গুলো সৃজনশীল প্রশ্নের খ নাম্বারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনারা এই প্রশ্ন গুলোও পড়ে নিবেন।

প্রশ্ন-১। কবি বিধাতার কাছে নিজেকে চোখের জলে নিবেদন করেছেন কে?

উত্তর: হৃদয়ে শক্তি লাভের আশায় কবি সষ্টার কাছে চোখের জলে নিজেকে নিবেদন করেছেন।
কবি কায়কোবাদ শূন্য হাতে স্রষ্টার কাছে শক্তি প্রার্থনা করেন। কীভাবে স্রষ্টার ভক্তি-শ্রদ্ধা ও প্রশংসা করতে হবে তা কবির জানা নেই। তাই তিনি চোখের জল নিবেদন করে স্রষ্টার কাছে আবেদন করেন মনে শক্তি জোগানাের জন্য।

প্রশ্ন-২। ‘সদা আত্মহারা তব গুণগানে’- কেন বলা হয়েছে?

উত্তরঃ ‘সদা আত্মহারা তব গুণগানে’- উক্তিটিতে মূলত পাখির গুঞানকে স্রষ্টার গুণগান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
কবি প্রকৃতির মাঝে স্রষ্টার উপস্থিতি তীব্রভাবে উপলব্ধি করেন। ফুলফল, তরু-লতা-জল যেন প্রভুর মূর্তিমান দানের প্রতীক হয়ে ওঠে তার কল্পনায়। তার কাছে মনে হয় সমগ্র সৃষ্টি যেন ষ্টার প্রার্থনায় নিমগ্ন। তাকে ভুলে থাকলে মনে অবসাদ তৈরি হয়। জগতে স্রষ্টার মহিমার কোনাে অন্ত নেই। তাই প্রকৃতি যেন স্রষ্টার গুণগানে আত্মহারা।

প্রশ্ন-৩। ‘তব নামে অশেষ মাল।’—উক্তিটির তাৎপর্য কী?

উত্তর: ঘষ্টার মাম স্মরণ করলে মঙ্গল সাধিত হয় বলে কবি আলােচ্য উক্তিটি করেছেন।
স্রষ্টার অফুরন্ত দয়ায় জগতের সবকিছু চলছে। তার অপার করুণা লাভ করেই বিশ্ব সংসারের প্রতিটি জীব ও উদ্ভিদ প্রাণধারণ করে আছে। তাই সর্বদয়াময় স্রষ্টাকে স্মরণ করলে কষ্ট দূর হয়। তাঁর নাম জপলেই মঙ্গল সাধিত হয় সবার জীবনে। আলােচ্য পর্ভূক্তিতে এই দিকটিই বিবৃত হয়েছে।

প্রশ্ন-৪। ‘তুমি মাের পথের সম্বল’ বলতে কী বোঝানাে হয়েছে? 

উত্তর:সষ্টাকে কবি তার পথের সম্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
পথের সম্বল বলতে বােঝায় পথ চলার অবলম্বন। স্রষ্টাকে কবি তার জীবনের পথ চলার বড় সহায় বা অবলম্বন মনে করেন। কারণ যষ্টা সর্বশক্তিমান। তাঁর করুণায় জগৎ গতিশীল। ফলে তাঁর সহায়তা ছাড়া কেউ সফল হতে পারে না। জীবনে বন্ধুর পথ সফলভাবে পাড়ি দিতে হলে স্রষ্টাকে স্মরণ করতে হয়। এ বিশ্বাস থেকেই কবি যটাকে তার পথের সম্বল বলে অভিহিত করেছেন।

শেষ কথা

আশা করছি এই পষ্ট টি আপনাদের অনেক ভালোলেগছে এবং এই পোস্ট থেকেপ্রার্থনা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম শিক্ষামূলক আরও পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকুন। অষ্টম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্রের অনেক পোস্ট এই ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হয়েছে।

আরও দেখুনঃ

 PDF প্রার্থনা কবিতার বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর। MCQ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *