হাসবুনাল্লাহু এর বিষ্ময়কর ফজিলত

হাসবুনাল্লাহু এর বিষ্ময়কর ফজিলত
BanglaTeach
E-Haq
Digital Marketer at- BanglaTeach

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking,...

Sharing is caring!

হাসবুনাল্লাহু এর বিষ্ময়কর ফজিলত
হাসবুনাল্লাহু এর বিষ্ময়কর ফজিলত

হাসবুনাল্লাহু এর বিষ্ময়কর ফজিলত – hasbunallahu wa ni’mal wakeel bangla সম্পর্কে জেনে আপনি অবাক হবেন যে, মহান আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের রক্ষার্থে এবং মঙ্গল চেয়ে কত আমল ও দোয়া পবিত্র কোরআনে দিয়েছেন। আল্লাহ তা’আলার বান্দারা দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে প্রতিনিয়ত নানা রকম বিপদ-আপদের সম্মুখীন হয় এবং হবে, আর জিনিসটিকে কাটিয়ে উঠতে মহান আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের রাসূল সা: এর মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন। দুনিয়াবী সকল ধরনের মারাত্মক বিপদ-আপদ থেকে বেঁচে থাকতে হাসবুনাল্লাহু এর আমলটি আমাদেরকে দিয়েছেন।

দুনিয়াবী সকল ধরনের ক্ষতি, বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে, আর্থিক ক্ষতি কিংবা শারীরিক ক্ষতি, মানসিক ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকতে এবং সকল ধরনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পবিত্র কুরআনের দুটি আয়াতাংশের সমন্বয়ে একটি উত্তম তাসবিহ তথা দোয়া রয়েছে। এই দোয়া কিংবা আমলটি একজনের জন্য সফলতা অর্জনে বেশ সহায়ক। যে বিধায় এই দোয়াটিকে হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল বলে থাকি। যেহেতু জীবনে সফলতা লাভের জন্য হাসবুনাল্লাহ দোয়াটির ফজিলত বেশ কার্যকর, তাই অনেক মুমিন ব্যক্তিগণ হাসবুনাল্লাহু এর আমলটি শিখতে চায় এবং পাশাপাশি এর বিষ্মকর ফজিলত সমূহ সম্পর্কেও জ্ঞাত হতে চায়। আর এই বিধায় আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মধ্যে দিয়ে আপনি হাসবুনাল্লাহু আমল এর নিয়ম এবং বিষ্মকর ফজিলত সম্পর্কে জেনে যাবেন।

হাসবুনাল্লাহু দোয়া

হাসবুনাল্লাহু দোয়া

হাসবুনাল্লাহু এর আমলটি কিভাবে করবেন কিংবা কখন কখন করবেন, তা জানার পূর্বে অবশ্যই আমাদের জানা জরুরি যে,হাসবুনাল্লাহু এর দোয়াটি সম্পর্কে। পবিত্র আল কোরআনে মহান আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাদের জন্য সকল ধরনের বালা-বিপদ থেকে রক্ষার্থে পবিত্র সূরা আল ইমরানের ১৭৩ নাম্বার আয়াতে হাসবুনাল্লাহু এর দোয়াটিকে উল্লেখ করেছেন। আর ঐ আমলটিকেই আমরা হাসবুনাল্লাহু আমল বলে অভিহিত করে থাকি। তাহলে এখন নিশ্চয় প্রশ্ন আসতে পারে যে, হাসবুনাল্লাহু এর দোয়া কোনটি? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক হাসবুনাল্লাহু দোয়াটি। হাসবুনাল্লাহু দোয়াটি হলো-

” حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ “
উচ্চারণ: ” হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল। ”
অর্থ: ” আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম সাহায্যকারী, কার্যসম্পাদনকারী “

উপরোক্ত দোয়াটি কিংবা আয়াতটিই হলো হাসবুনাল্লাহু এর দোয়া। যেহেতু আজকের আর্টিকেলটি হলো হাসবুনাল্লাহু এর বিষ্মকর ফজিলত সম্পর্কে, সেহেতু ফজিলত জানার পূর্বে দোয়াটি জানা আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু হাসবুনাল্লাহু দোয়াটি জেনে নিলাম, তাহলে চলুন এবার জানা যাক, হাসবুনাল্লাহু এর ফজিলত সম্পর্কে।

হাসবুনাল্লাহু দোয়া

হাসবুনাল্লাহু এর বিষ্ময়কর ফজিলত ও আমল

হাসবুনাল্লাহু এর বিষ্ময়কর ফজিলত ও আমল

‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকীল’- এই অংশটি পবিত্র ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। হযরত ইবরাহীম (আঃ)-কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হলো এবং তখন প্রিয় রাসূল (সা:) (মুশরিকদের হামলা হবে এমন খবর শুনে হামরাউল আসাদে) উক্ত দো‘আটি অর্থাৎ হাসবুনাল্লাহু দোয়াটি পাঠ করেন (বুখারী হা/৪৫৬৩; আলে ইমরান ৩/১৭৩) ।

আবার অন্যত্র রাসূল (সা:) এই বিশেষ দোয়াটি পাঠ করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন (তিরমিযী হা/৩২৪৩; ছহীহাহ হা/১০৭৯)। তবে ‘নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান নাছীর বাক্যটি বা আয়াতটি আল্লাহর প্রশংসাসূচক কুরআনের আয়াত (আনফাল ৪০; হজ্জ ৭৮), যা কোন দোয়ার সাথে যুক্ত করে পাঠ করায় কোন বাধা নেই। যেকোন দুঃখ, কষ্ট, বিপদ, দুশ্চিন্তায় মহান আল্লাহ তা’আলার উপরে সম্পূর্ণ তাওয়াক্কুল প্রকাশের জন্য এখানে উল্লেখিত উপরোক্ত দোয়াটি পাঠ করা যায় আর তাঁর ফজিলতও পাওয়া যায়। আর এই কারণেই এখন অবধি সকল মুমিন মুসলমান উক্ত দোয়াটি পড়ে এর ফজিলত ও আমল দ্ধারা উপকৃত হচ্ছে।

হাসবুনাল্লাহ এর আমল সমূহ

হাসবুনাল্লাহ এর আমল সমূহ

বিশেষ করে নামাজের আগে ও পরে ১১ বার দুরূদ শরীফ পড়ে হাসবুনাল্লাহু দোয়াটি পাঠ করা। তবে আপনি সওয়াবের আশায় যেকোনো সময় দোয়াটি পড়তে পারেন।

حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ

  • সকল ধরনের ফিতনা ও বিপদ মুক্তির জন্য ৩৪১ বার।
  • বিশেষ কোন মকছুদ বা ইচ্ছা পূরণের জন্য ১১১ বার।
  • বিভিন্ন পেরেশানী, টেনশন, দুচিন্তা দূর হওয়ার জন্য ১৪০ বার।
  • হালাল রিযিকের প্রশস্ততা , আর্থিক  অভাব অনটন দূর করা এবং করজ আদায়ের জন্য ৩০৮ বার।

আমাদের সকল মুসলিমদের উচিত যেকোনো মূহর্তে, যেকোনো বিপদ কিংবা দুঅবস্থায় মহান আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করা এবং তাঁর আনুগত্য করা। আর এর মধ্যেই রয়েছে সকল ধরনের নিয়ামত। যদি কোনো বান্দাকে আল্লাহ ত’আলা বিপদে পতিত করতে চান, তাহলে পৃথিবীর কোনো শক্তি কিংবা বাঁধা নেই যে, ঐ বিপদকে ঠেঁকিয়ে সেই বান্দাকে রক্ষা করবে আবার একইভাবে যদি মহান আল্লাহ তা’আলা কোনো বান্দাকে সকল ধরনের বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করতে চান, তাহলে একই ভাবে পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই যে, ঐ বান্দাকে বিপদে পতিত করবে। মূলত এটাই হলো আল্লাহ তা’আলার শক্তি ও নিয়ামত। যা এককজন বান্দা প্রতি নিয়ত এবং প্রতি মূহর্তে উক্ত দোয়া বা আমল অর্থাৎ হাসবুনাল্লাহু এর আমল করার মাধ্যমে সংরক্ষিত থাকতে পারে। পরকালে জান্নাত পেতে হলে দুনিয়াবী সকল ধরনের বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পেতে শুধুমাত্র আল্লাহ তা’আলার নিকট সাহায্য চাইতে হবে। আর তা নির্দিষ্ট কিছু দোয়া বা আমলের মাধ্যমেও করা যায়। সুতরাং বিপদ-আপদ-মুসিবতে আল্লাহর শেখানো শব্দমালা দ্বারাই তাঁর কাছে সাহায্য কামনা করা উত্তম এবং উচিত। যেহেতু মহান আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে তাঁরই তাসবিহ-তাহলিল ও তাওবা-ইসতেগফারের বিকল্প নেই।

হাসবুনাল্লাহু এর বিষ্ময়কর ফজিলত শেষ কথা

হাসবুনাল্লাহু এর বিষ্ময়কর ফজিলত শেষ কথা

মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা, ধন-সম্পদের ক্ষতি ও প্রাণহানি এবং ফল-ফসলের ক্ষতি দ্বারা পরীক্ষা করব। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৫৫) অর্থাৎ উক্ত আয়াত থেকে একটি বিষয় শিক্ষণীয় যে, মহান আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই আমাদেরকে এই জীবনে পরীক্ষা করবেন, যেন কর্মে কে উত্তম হয়, তার জন্য। এখন এমতোবস্থায় আমাদের করণীয় কি? অবশ্যই ধৈর্যের সাথে মহান আল্লাহ তা’আলার আনুগত্য করা। আর এই আনুগত্য করা যায়, আল্লাহ তা’আলার নির্দেশিত পথে চলার মাধ্যমে। আপনার জীবনে অনেক দুঃখ-কষ্ট আসবে, তা দেখে মনোকষ্টে আল্লাহ তা’আলাকে ভুলে গেলে চলবে না। এটা বোঝতে হবে যে, এটাও আল্লাহ তা’আলার একটি পরীক্ষা মাত্র। এর থেকে দ্রুত সেড়ে উঠতে আল্লার নিকট দোয়া ও আমলের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা চাইতে হবে। বিপদ আপদ সহ নানা রকম মুসিবত থেকে রক্ষার্থে আল্লাহ নির্দেশিত পথে ও নবীর দেখানো পথে চলে আল্লার নিকট সাহায্য চাইতে হবে। তাই পরিশেষে বলা চলে যে, হাসবুনাল্লাহু এর বিষ্ময়কর ফজিলত কিংবা হাসবুনাল্লাহু এর আমল দ্ধারা যেকোনো মুমিন ব্যক্তি ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারে পাশাপাশি শেয়ারের মাধ্যমে অন্যকেও উপকৃত করতে পারে। সুতরাং পরিশেষে বলা চলে যে, আমাদের মুসলিম উম্মাদের সকলকেই যেন, নিয়মিত আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে হাসবুনাল্লাহু দুরুদটি পড়তে পারি, সে তৌফিক দান করুক, আমিন। আশা করি মনোযোগ সহকারে আজকের আর্টিকেল তথা হাসবুনাল্লাহু এর বিষ্মকর ফজিলত – hasbunallahu wa ni’mal wakeel bangla পড়লে, দৈনন্দিন জীবনে আমলের দিক দিয়ে উপকৃত হতে পারবেন।

হাসবুনাল্লাহু এর বিষ্ময়কর ফজিলত সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর

হাসবুনাল্লাহু এর দোয়া কোনটি?

হাসবুনাল্লাহু এর দোয়া হলো- حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ

হাসবুনাল্লাহু আমলটি কিসের জন্য?

মূলত আল্লাহ পদত্ত দুনিয়াবী সকল ধরনের বিপদ-আপদ, দুঃখ-কষ্ট, সকল ধরনের আর্থিক অনাটন সহ ইত্যাদি রকমের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে হাসবুনাল্লাহু আমলটি।

হাসবুনাল্লাহু এর অর্থ কি?

হাসবুনাল্লাহু এর বাংলা অর্থ হলো – হাসবুনাল্লাহু ওয়া নে’মাল ওয়াকিল; নে’মাল মাওলা ওয়া নে’মান নাছির। ‘ অর্থ : আল্লাহ তাআলাই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই হলেন উত্তম কর্মবিধায়ক; আল্লাহ তাআলাই হচ্ছে উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী

হাসবুনাল্লাহু এর বিষ্ময়কর ফজিলত সম্পর্কে আরো জানতে

BanglaTeach
E-HaqDigital Marketer at- BanglaTeach

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.

About E-Haq

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.

View all posts by E-Haq →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *