দৈনিক পড়ার রুটিন ssc – পড়ার রুটিন

দৈনিক পড়ার রুটিন ssc
BanglaTeach
E-Haq
Digital Marketer at- BanglaTeach

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking,...

Sharing is caring!

দৈনিক পড়ার রুটিন ssc
দৈনিক পড়ার রুটিন ssc

দৈনিক পড়ার রুটিন ssc লিখে থাকে বিশেষ করে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রয়োজনবোধে একটি সঠিক ও আদর্শসম্পূর্ণ রুটিন ভালো রেজাল্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটা যে শুধু মাত্র একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী কিংবা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দরকার, তা কিন্তু নয়, বরং একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পড়ার রুটিন বেশ কার্যকারী একটি ভালো রেজাল্ট তৈরিতে। সুতরাং আপনি যে শ্রেণীতেই পড়েন না কেন, চেষ্টা করবেন, আপনার সময়, পরিস্থিতি, অবস্থান, কাজ-কর্ম ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে একটি সঠিক পড়ার রুটিন তৈরি করতে। এতে করে আপনার যেমন দৈনন্দিন জীবনে টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে সুবিধা হবে, তেমনি একইভাবে দিন শেষে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর সেই প্রেক্ষিতেই আজকের আমাদের এই আর্টিকেল তথা দৈনিক পড়ার রুটিন SSC. আশা করি আজকের আর্টিকেলটি দ্ধারা একজন শিক্ষার্থী, হোক সে ক্লাস চতুর্থ কিংবা দশম, যেই ক্লাসেই পড়ুন, তাঁর জন্য একটি উপযুক্ত পড়ার রুটিন হবে। আলোচনা লম্বা না করে, চলুন তাহলে মূল আলোচনায় প্রবেশ করা যাক। ( দৈনিক পড়ার রুটিন HSC দেখুন এবং একই সাথে বেশ কিছু শিক্ষণীয় উক্তি বা কথা সম্পর্কে জানুন )

দৈনিক পড়ার রুটিন ssc or everyone

দৈনিক পড়ার রুটিন ssc or everyone

পূর্বের আর্টিকেলে আমরা স্পেশালি একজন এইচএসসি শিক্ষার্থী তাঁর পড়ার রুটিনকে কিভাবে সাজাতে পারে, সে সম্পর্কে জেনেছি। তারই ধারাবাহিকতায় একটু ব্যতিক্রমি ওয়েতে আজকের আর্টিকেল তথা পড়ার রুটিনটি সাজানোর চেষ্টা করবো। আশা করি আজকে যে পড়ার রুটিনটি তুলে ধরবো, তা শুধুমাত্র এসএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং এটি প্রত্যেকের জন্য। মূলত একটি পড়ার রুটিন তৈরি করার সময় কয়েকটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি করতে হয়। এর মধ্যে সময়, পরিস্থিতি ও অবস্থাকে অবশ্যই বেশি প্রাধান্য দিতে হয়। আর সেই ধারাবাহিকতায় আজকের পড়ার রুটিনটি তৈরি করা হবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। ( প্রতিবেদন লেখার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানুন )

পড়ার রুটিন

পড়ার রুটিন

একটি পড়ার রুটিন তৈরি করার পূর্বে আমরা ২৪ ঘন্টাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিতে পারি। এমনিতে দীর্ঘ ২৪ ঘন্টা কোনো হিউম্যান অ্যাক্টিভ থাকতে পারে না। তাই যেটুকু সময় মানুষ কাজে লাগাতে পারে, সে সময়টুকু ধরে একটি যথাযথ রুটিন তৈরি করা যাক। সুবিধার্থে আমরা প্রতিদিনকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিতে পারি। আর সেগুলো হলো-

  • দিনের প্রথম ভাগ অর্থাৎ সকালবেলা
  • দিনের মধ্য ভাগ বা দুপুর/বিকাল
  • দিনের শেষ ভাগ অথবা সন্ধ্যা/রাত্র

উপরোক্ত এই তিনটি ভাগকে কেন্দ্র করেই আজকের আমাদের এই পড়ার রুটিনটি তৈরি করা হবে। বিশেষত, আজকের আর্টিকেলটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হতে শুরু করে মাধ্যমিক ক্লাসের শিক্ষার্থীকে ফোকাসড করে তৈরি। অর্থাৎ আজকের রুটিনটিকে আপনি প্রাথমিক শ্রেণীর রুটিন কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য পড়ার রুটিন মনে করতে পারেন। সর্বপরি, সবাই উক্ত রুটিনটিকে মান্য বা অনুসরণ করতে পারে।

দিনের প্রথম ভাগ অর্থাৎ সকালবেলা

দিনের প্রথম ভাগ অর্থাৎ যখন সকাল হয়, কিন্তু আপনাকে আরো আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে এবং যথা নিয়ম অনুযায়ী ফজরের নামাজ আদায় করতে হবে। এতে করে দিনে আপনি এক্সট্রা কিছু সময় পেয়ে যাবেন। যা কাজে লাগাতে পারলে অন্য সকলদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে থাকবেন। নামাজ পড়ার পর অবশ্যই কিছু সময় ব্যায়াম-হাঁটা-হাঁটি করে কাটিয়ে দিতে হবে। নিয়মিত উক্ত রুটিন ফলো করতে হবে। ব্যায়ম + হাঁটা তে আপনি ২০-২৫ মিনিট সময় নিতে পারেন। এরপর সাথে সাথেই আপনি পড়াতে বসে পড়বেন। হাতের লেখা সহ পড়া গুলো শেষ করে ফেলতে হবে। যতক্ষণ না সকাল ৮ – ৮:৩০ মিনিট হয়। এবার আপনি সকালের নাস্তা করে ফেলুন। নাস্তা করার পর সামান্য ৫ মিনিট হেঁটে পুনরায় বাকি কয়েক মিনিট সকল পড়াগুলো সংক্ষিপ্তে একবার রিবিশন দিন।

এবার আপনি ফ্রেস হয়ে রেডি হোন বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য। যদি কোনো রকম কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকে, তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনি দুপুর হওয়া পর্যন্ত পড়া+ পারিবাহিক কাজে ব্যয় করতে পারেন। তবে এখানে একটি বিষয়, দীর্ঘক্ষণ এক নাগাড়ে না পড়ে পড়ার মাঝ বরাবর একটু রেস্ট নিন অথবা বিরতি দিন। এতে করে ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর আরেকটা জিনিসি। ছোটরা অথবা বড়রা, কেউ আপনারা পড়ার সময় মোবাইল কাছে নিয়ে পড়বেন না। এবং কি যদি বিরতির টাইমে কোনো নোটিফিকেশন আসে, বেশি ইমার্জেন্সে না হলে মোবাইল ধরার দরকার নেই। এই ক্ষেত্রে না হয় ব্রেইনের উপর উল্টো বেশি চাপ পড়বে। সামগ্রিকভাবে সবগুলো বিষয় একজন পড়ুয়া শিক্ষার্থীর মনে রাখতে হবে। এভাবে আপনি দিনের প্রথমে ভাগের পড়ার রুটিনটিকে সাজিয়ে নিতে পারেন। এবার আসি পরের স্টেপে।

দিনের মধ্য ভাগ বা দুপুর/বিকাল

দিনের মধ্য ভাগ তথা দুপুরে বা বিকালে আপনি বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে আসবেন। তখন এসেই ফ্রেস হয়ে যোহরের নামাজ পড়ে নিবেন। এরপর নামাজ শেষে দুপুরের খাবার খেয়ে নিবেন। দুপুরের খাবার খাওয়ার শেষে সামান্য সময় ঘুমিয়ে নিবেন। এতে করে আপনার শরীর শান্ত হয়ে যাবে। ঘুম থেকে উঠে আসর অবধি পড়া-লেখা করবেন রুটিন মোতাবেক। এই সময় আপনার যেকোনো একটি পছন্দের সাবজেক্ট বা বিষয়কে কাভার করতে পারেন। অথবা বিদ্যালয়ে দিয়ে দেওয়া লেখাগুলো লিখে ফেলতে পারেন। এরকম শিক্ষামূলক কাজগুলো অল্প সময়ে করে নিতে পারেন। অথবা লেখা সুন্দর করার জন্য প্র্যাক্টিস করতে পারেন। এরপর যখন আছরের আজান দিবে, ঠিক তখন আপনি আছরের নামাজ পড়ে নিবেন এবং তখন থেকে মাগরিব পর্যন্ত আর কোনো রকম পড়ালেখার দরকার নেই। এই সময় আপনি বাহিরে ঘুরাপেরা করতে পারেন। পারিবারিক কাজ-কর্ম কিংবা বাগান থাকলে সেখানে সময় দিতে পারেন। এছাড়া সামাজিক কাজকর্ম কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সাথে সময় ব্যয় করতে পারেন। এবার চলুন পরের স্টেপে যাওয়া যাক।

দিনের শেষ ভাগ অথবা সন্ধ্যা/রাত্র

এটা হলো মাগরিবের পরের সময়টাই। এর সময়টা শুরু হবে মাগরিবের নামাজ পড়ার পরে মূহর্তেই। তখন সামান্য নাস্তা খেয়ে পড়তে বসে যেতে হবে। অন্য কোথায় মন না দিয়ে মনোযোগ সহকারে টানা এশার আগ পর্যন্ত পড়া-লেখা চালিয়ে যেতে হবে। এরপর এশার নামাজ পড়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করতে হবে। খাওয়ার পর পুনরায় পড়তে বসতে হবে। যতক্ষণ না আপনার পড়াগুলো কাভার করতে পাচ্ছেন, চেষ্টা করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত পড়া-লেখা চালিয়ে যেতে। এভাবে পড়া শেষ করার পর রাত্রে ঘুমের জন্য বিচানায় শুয়ে পড়বেন এর্ং পুনরায় পরের দিন দ্রুত সকাল বেলা উঠতে চেষ্টা করবেন এবং এই ক্রম বজায় রাখবেন।

মূলত উপরের বিষয়টিই হলো আজকের আর্টিকেলের উত্তর বা প্রধান বিষয়। ইতিমধ্যে আমরা জেনে নিয়েছি যে, একজন এসএসসি সহ সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীর জন্য উপযুক্ত একটি পড়ার রুটিন। আশা করি উক্ত রুটিন অনুসরণ করার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী হোক সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিংবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের, আশা করি সে উপকৃত হবে।  সুতরাং আপনার ইচ্ছানুযায়ী এখানে উল্লেখিত পড়ার রুটিনটি আপনিও অনুসরণ করতে পারেন। এতে করে আশা করি লাভবান হবেন।

দৈনিক পড়ার রুটিন ssc নিয়ে শেষ কথা

দৈনিক পড়ার রুটিন ssc নিয়ে শেষ কথা

দৈনিক পড়ার রুটিন ssc দ্ধারা আশা করি শিক্ষার্থীগণ ব্যাপকভাবে ‍উপকৃত হতে পারবে। এখানে যে রুটিনটিকে আমরা উল্লেখ করেছি, সেটি প্রায় সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায় সব ক্লাসের শিক্ষার্থীরাই এটার সাথে নিজেকে খাপ-খাইয়ে নিতে পারবে। এখানে যে যে সময়গুলোকে কেন্দ্র করে পড়ার রুটিনটি তৈরি করেছি, সেগুলো সব ধর্মবলম্বীদের নিকটই গুরুত্বপূর্ণ। অথবা এখানে যে যে ধর্মাবলম্বীর, সে তার ধর্মের প্রর্থনার সময় অনুযায়ী কিংবা পরিস্থিতি, সময় ও অবস্থা অনুযায়ী ভালো একটি পড়ার রুটিন তৈরি করে নিতে পারে। এটা  সম্পূর্ণ ডিপেন্ড করে একজন শিক্ষার্থীর সময় জ্ঞানের উপর। কতটুকু সময়কে মূল্যায়ন করে থাকে তার উপরও। সুতরাং সর্বশেষ বলা চলে যে, আজকের আর্টিকেলটি তথা দৈনিক পড়ার রুটিন ssc দ্ধারা একজন শিক্ষার্থী তথা ছাত্র-ছাত্রী তার পড়ার সময় মূল্যায়ণে ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারবে।

দৈনিক পড়ার রুটিন ssc সম্পর্কে আরো জানতে

BanglaTeach
E-HaqDigital Marketer at- BanglaTeach

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.

About E-Haq

E-Haq is the founder of BanglaTeach. He is expertise on Education, Health, Financial, Banking, Religious and so on.

View all posts by E-Haq →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *